ঢাকা ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম টাঙ্গাইলে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি গঠিত সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত  স্টার লাইন বাসের ধাক্কায় মাইক্রোবাস উল্টে নিহত ৪ গণধিকার পরিষদ জাতীয় সরকারকে সমর্থন করে- গাজীপুরে রাশেদ খান পঞ্চগড়ে আট দফা দাবিতে চা চাষীদের মানববন্ধন গাজীপুরে কাউন্সিলরের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকতি মির্জাগঞ্জের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান পুনর্গঠনের দাবি মেম্বারদের কালিহাতীতে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নব কমিটির সভাপতি মফিদুল, সম্পাদক শফিক ১০ জেলা রেজিস্ট্রার সহ পদোন্নতি পাওয়া ১০ সাব রেজিস্ট্রারকে জেলা রেজিস্ট্রার পদে বদলি

ইউক্রেন ইস্যুতে ফের ‘বন্ধু’ রাশিয়ার পাশেই থাকল ভারত

অনলাইন ডেস্ক:

ইউক্রেন ইস্যুতে ফের ‘বন্ধু’ রাশিয়ার পাশেই থাকল ভারত। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব আনা হলে সেই ভোটাভুটিতে যোগ দিল না নয়াদিল্লি। ৯৪টি দেশ প্রস্তাবের সপক্ষে রায় দিলেও বিরোধিতা করেছে ১৪টি দেশ। নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখে ভারত-সহ ৭৩টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে।

এদিন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করে ইউক্রেন। ওই প্রস্তাবে মস্কোর বিরুদ্ধে আগ্রাসন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে কিয়েভ। পুতিন প্রশাসনকে ধাক্কা দিয়ে ভোটাভুটিতে আমেরিকা-সহ ৯৪টি দেশ প্রস্তাবের সপক্ষে ভোট দেয়। বিপক্ষে ভোটদান করে রাশিয়া, চিন, উত্তর কোরিয়া, ইরান ও সিরিয়া, কিউবা ও বেলারুশ-সহ ১৪টি দেশ। নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখে ভোটদানে বিরত থাকে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইজরায়েল, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ ৭৩টি দেশ।

রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদান নয় কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রসংঘের কর্মপদ্ধতির উপরই প্রশ্ন তুলেছে ভারত। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রস্তাব চাইলেই কি ইউক্রেনে যুদ্ধ থেমে যাবে, পালটা প্রশ্ন তুলে নয়াদিল্লি। শুধু তাই নয়, এহেন প্রস্তাবের আইনি বৈধতা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করে ভারত। এই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী দূত রুচিরা কম্বোজ। তিনি বলেন, “এটা স্পষ্ট হওয়া দরকার যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রস্তাব পাশ করলে কি ইউক্রেন সমস্যার সমাধান হবে। তাই পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ও আইনি বৈধতা ছাড়া এভাবে প্রস্তাব পাশ করে ভবিষ্যতের জন্য উদাহরণ তৈরি করা উচিত নয়।”

উল্লেখ্য, এর আগে গত অক্টোবর মাসেও মস্কোর বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকে দিল্লি। সেবার মিন্সক চুক্তি ও নরম্যান্ডি ফরম্যাটে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে চলা আলোচনার পক্ষে সওয়াল করে ভারতের প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেছিলেন, “ভারতের স্বার্থ হল এমন একটি সমাধান খুঁজে বের করা যা তাৎক্ষণিকভাবে উত্তেজনা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। সমস্ত দেশের বৈধ নিরাপত্তা স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে এবং এই অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ করা উচিত।”

জনপ্রিয় সংবাদ

যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম

ইউক্রেন ইস্যুতে ফের ‘বন্ধু’ রাশিয়ার পাশেই থাকল ভারত

আপডেট টাইম : ০৭:২২:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

অনলাইন ডেস্ক:

ইউক্রেন ইস্যুতে ফের ‘বন্ধু’ রাশিয়ার পাশেই থাকল ভারত। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব আনা হলে সেই ভোটাভুটিতে যোগ দিল না নয়াদিল্লি। ৯৪টি দেশ প্রস্তাবের সপক্ষে রায় দিলেও বিরোধিতা করেছে ১৪টি দেশ। নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখে ভারত-সহ ৭৩টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে।

এদিন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করে ইউক্রেন। ওই প্রস্তাবে মস্কোর বিরুদ্ধে আগ্রাসন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে কিয়েভ। পুতিন প্রশাসনকে ধাক্কা দিয়ে ভোটাভুটিতে আমেরিকা-সহ ৯৪টি দেশ প্রস্তাবের সপক্ষে ভোট দেয়। বিপক্ষে ভোটদান করে রাশিয়া, চিন, উত্তর কোরিয়া, ইরান ও সিরিয়া, কিউবা ও বেলারুশ-সহ ১৪টি দেশ। নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখে ভোটদানে বিরত থাকে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইজরায়েল, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ ৭৩টি দেশ।

রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদান নয় কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রসংঘের কর্মপদ্ধতির উপরই প্রশ্ন তুলেছে ভারত। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রস্তাব চাইলেই কি ইউক্রেনে যুদ্ধ থেমে যাবে, পালটা প্রশ্ন তুলে নয়াদিল্লি। শুধু তাই নয়, এহেন প্রস্তাবের আইনি বৈধতা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করে ভারত। এই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী দূত রুচিরা কম্বোজ। তিনি বলেন, “এটা স্পষ্ট হওয়া দরকার যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রস্তাব পাশ করলে কি ইউক্রেন সমস্যার সমাধান হবে। তাই পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ও আইনি বৈধতা ছাড়া এভাবে প্রস্তাব পাশ করে ভবিষ্যতের জন্য উদাহরণ তৈরি করা উচিত নয়।”

উল্লেখ্য, এর আগে গত অক্টোবর মাসেও মস্কোর বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকে দিল্লি। সেবার মিন্সক চুক্তি ও নরম্যান্ডি ফরম্যাটে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে চলা আলোচনার পক্ষে সওয়াল করে ভারতের প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেছিলেন, “ভারতের স্বার্থ হল এমন একটি সমাধান খুঁজে বের করা যা তাৎক্ষণিকভাবে উত্তেজনা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। সমস্ত দেশের বৈধ নিরাপত্তা স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে এবং এই অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ করা উচিত।”