ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কালিহাতীতে সাতুটিয়া গোরস্থান নূরানী মাদ্রাসায় শিক্ষা বৃত্তি পুরস্কার বিতরণ সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় প্রান ফিরে পেল ভারসাম্যহীন নারী ফেসবুকে সরকার বিরোধী পোষ্ট দিয়েও চাকুরীতে বহাল সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাশেদ! তারেক রহমান খেলাধুলায় সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছেন -আমিনুল হক ইজতেমায় কোনো ডেভিল পেলে ধরিয়ে দিন -জিএমপি কমিশনার গাজীপুরে পারিবারিক কবরস্থানে শহীদ কাশেমের দাফন সম্পন্ন মির্জাগঞ্জে পিঠা উৎসব ২০২৫ আদমদীঘিতে আ.লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেপ্তার কালিহাতীতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন সরকারি বাঙলা কলেজস্থ ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা

ফের যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছে গেলেন ভলোদিমির জেলেনস্কি

অনলাইন ডেস্ক:

কমেডিয়ান থেকে রাষ্ট্রনেতা হয়েছেন তিনি। ‘বিনাযুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী’ হুঙ্কারে রুখে দিয়েছেন প্রবল প্রতাপশালী রুশ সেনাকে। এবার ফের যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছে গেলেন সেই ভলোদিমির জেলেনস্কি। সদ্য রুশ সেনার হাতছাড়া খেরসনে ফৌজিদের মনোবল বাড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

জানা গিয়েছে, সোমবার দখলমুক্ত খেরসনে যান জেলেনস্কি। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জেলেনস্কির এই সফরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে। ভিডিওয় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে বলতে শোনা যায়, “(খেরসন) যাওয়া জরুরি ছিল।” যুদ্ধক্ষেত্রে বিপদ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “সেনারা প্রতিদিন এমন বিপদের মুখোমুখি হন। সাংবাদিকরাও একই পরিস্থিতিতে কাজ করছেন। তাই আমি মনে করি, আমার এখানে এসে মানুষের সঙ্গে কথা বলা এবং তাদের মনোবল বৃদ্ধি করার প্রয়োজন রয়েছে।” রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা এগিয়ে চলেছি। তবে শান্তির জন্য এখনও আমরা তৈরি।”

শুরুর দিক থেকেই খেরসন অঞ্চলে আধিপত্য বজায় রেখেছিল রুশ সেনা। প্রায় ন’মাস কেটে যাওয়ার পরে প্রবল প্রত্যাঘাতের সেখান থেকে ফৌজ সরিয়েছে রাশিয়া। গত শুক্রবারেই খেরসন অঞ্চল পুনরুদ্ধার করার কথা জানায় ইউক্রেনীয় সেনা। এদিকে, পুতিন বাহিনী বিদায় নেওয়ার পরে খুশিতে মেতে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জাতীয় সংগীত বাজিয়ে কার্যত উৎসবে মেতেছেন হাজার হাজার ইউক্রেনবাসী। প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগেই গণভোটের মাধ্যমে খেরসনকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন পুতিন। কিন্তু শহরটি দখল করে রাখতে পারেননি রুশ প্রেসিডেন্ট।

এদিকে, যুদ্ধের আঘাত সহ্য করতে গিয়ে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে খেরসন। প্রায় ধ্বংসস্তূপ হয়ে যাওয়া শহরকে ফের গড়ে তুলতে হিমশিম খেতে হবে প্রশাসনকে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। মৃত্যুপুরী খেরসনে বর্তমানে পানীয় জল, ওষুধ, খাবারের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের জোগান কার্যত নেই বললেই চলে। এই অঞ্চল ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে যাবতীয় পরিকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে রুশ সেনা, এমনটাই দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ক্রমাগত যুদ্ধের মাঝে কীভাবে ফের এই শহরকে গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে জেলেনস্কি প্রশাসনকে।

কালিহাতীতে সাতুটিয়া গোরস্থান নূরানী মাদ্রাসায় শিক্ষা বৃত্তি পুরস্কার বিতরণ

ফের যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছে গেলেন ভলোদিমির জেলেনস্কি

আপডেট টাইম : ০৭:৩৪:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

অনলাইন ডেস্ক:

কমেডিয়ান থেকে রাষ্ট্রনেতা হয়েছেন তিনি। ‘বিনাযুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী’ হুঙ্কারে রুখে দিয়েছেন প্রবল প্রতাপশালী রুশ সেনাকে। এবার ফের যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছে গেলেন সেই ভলোদিমির জেলেনস্কি। সদ্য রুশ সেনার হাতছাড়া খেরসনে ফৌজিদের মনোবল বাড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

জানা গিয়েছে, সোমবার দখলমুক্ত খেরসনে যান জেলেনস্কি। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জেলেনস্কির এই সফরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে। ভিডিওয় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে বলতে শোনা যায়, “(খেরসন) যাওয়া জরুরি ছিল।” যুদ্ধক্ষেত্রে বিপদ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “সেনারা প্রতিদিন এমন বিপদের মুখোমুখি হন। সাংবাদিকরাও একই পরিস্থিতিতে কাজ করছেন। তাই আমি মনে করি, আমার এখানে এসে মানুষের সঙ্গে কথা বলা এবং তাদের মনোবল বৃদ্ধি করার প্রয়োজন রয়েছে।” রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা এগিয়ে চলেছি। তবে শান্তির জন্য এখনও আমরা তৈরি।”

শুরুর দিক থেকেই খেরসন অঞ্চলে আধিপত্য বজায় রেখেছিল রুশ সেনা। প্রায় ন’মাস কেটে যাওয়ার পরে প্রবল প্রত্যাঘাতের সেখান থেকে ফৌজ সরিয়েছে রাশিয়া। গত শুক্রবারেই খেরসন অঞ্চল পুনরুদ্ধার করার কথা জানায় ইউক্রেনীয় সেনা। এদিকে, পুতিন বাহিনী বিদায় নেওয়ার পরে খুশিতে মেতে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জাতীয় সংগীত বাজিয়ে কার্যত উৎসবে মেতেছেন হাজার হাজার ইউক্রেনবাসী। প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগেই গণভোটের মাধ্যমে খেরসনকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন পুতিন। কিন্তু শহরটি দখল করে রাখতে পারেননি রুশ প্রেসিডেন্ট।

এদিকে, যুদ্ধের আঘাত সহ্য করতে গিয়ে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে খেরসন। প্রায় ধ্বংসস্তূপ হয়ে যাওয়া শহরকে ফের গড়ে তুলতে হিমশিম খেতে হবে প্রশাসনকে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। মৃত্যুপুরী খেরসনে বর্তমানে পানীয় জল, ওষুধ, খাবারের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের জোগান কার্যত নেই বললেই চলে। এই অঞ্চল ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে যাবতীয় পরিকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে রুশ সেনা, এমনটাই দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ক্রমাগত যুদ্ধের মাঝে কীভাবে ফের এই শহরকে গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে জেলেনস্কি প্রশাসনকে।