ঢাকা ০৮:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পে অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধের দাবিতে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ পঞ্চগড়ে আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত সিরাজদিখানে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের শীতবস্ত্র বিতরণ মাগুরার গোপালগ্রাম ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ পঞ্চগড়ে কমেছে শীতের তীব্রতা পঞ্চগড়ে চাল চুরির আসামি মোটরসাইকেল চুরির মামলায় কারাগারে মির্জাগঞ্জে প্রবাসী অ্যাসোসিয়েশনের পরিচিতি সভা ও সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্রকারী বিএনপির ক্ষতি করতে পারবে না : আমিনুল হক তেল মারা বন্ধ করুন, ভবিষ্যতে কে এমপি হবে তখন দেখা যাবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সান্তাহারে ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে টাকা নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা

বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ভারতীয় হাই কমিশনারের মতবিনিময়

তরিকুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধি:

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার শ্রী প্রণয় ভার্মা সোমবার ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও চেম্বারসমূহের সাথে মতবিনিময় করেন।

হাই কমিশনার তার বক্তব্যে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার গুরুত্বারোপ করেন যা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে রূপান্তরিত করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, গত পাঁচ বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গত অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছানোতে ভারত এশিয়ায় বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য হয়ে উঠেছে।

হাই কমিশনার ভার্মা কমপ্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সেপা)-র গুরুত্বের ওপর জোর দেন যা উভয়পক্ষই আলোচনায় সম্মত হয়েছিল এবং একটি নতুন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও সাপ্লাই চেইন সংযোগ তৈরি করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি সীমান্তে উন্নত যোগাযোগ এবং বাণিজ্য অবকাঠামোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন যা ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েরই দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে উদ্ভূত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সহায়তা করবে। এই প্রেক্ষাপটে, তিনি অন্যান্য স্থলবন্দরে অবকাঠামোগত উন্নতির মাধ্যমে আইসিপি পেট্রাপোল-বেনাপোল-এর ওপর চাপ কমানো এবং বিধিনিষেধহীন বন্দরের সংখ্যা বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন, যা স্থলবন্দরে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে। এসময় তিনি সড়ক, রেলপথ, অভ্যন্তরীণ নৌ-পথ ও কোস্টাল শিপিংয়ের মাধ্যমে এই উপ-অঞ্চলের বৃহত্তর সহযোগিতা, একীভূতকরণ এবং বহুমুখী সংযোগের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন।

এই ইন্টারঅ্যাক্টিভ সেশনে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ী চেম্বার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। ঢাকায় আগত সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (SIAM)-এর একটি প্রতিনিধি দলও এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।

জনপ্রিয় সংবাদ

পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পে অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধের দাবিতে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ

বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ভারতীয় হাই কমিশনারের মতবিনিময়

আপডেট টাইম : ০৬:৫৭:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

তরিকুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধি:

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার শ্রী প্রণয় ভার্মা সোমবার ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও চেম্বারসমূহের সাথে মতবিনিময় করেন।

হাই কমিশনার তার বক্তব্যে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার গুরুত্বারোপ করেন যা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে রূপান্তরিত করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, গত পাঁচ বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গত অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছানোতে ভারত এশিয়ায় বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য হয়ে উঠেছে।

হাই কমিশনার ভার্মা কমপ্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সেপা)-র গুরুত্বের ওপর জোর দেন যা উভয়পক্ষই আলোচনায় সম্মত হয়েছিল এবং একটি নতুন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও সাপ্লাই চেইন সংযোগ তৈরি করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি সীমান্তে উন্নত যোগাযোগ এবং বাণিজ্য অবকাঠামোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন যা ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েরই দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে উদ্ভূত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সহায়তা করবে। এই প্রেক্ষাপটে, তিনি অন্যান্য স্থলবন্দরে অবকাঠামোগত উন্নতির মাধ্যমে আইসিপি পেট্রাপোল-বেনাপোল-এর ওপর চাপ কমানো এবং বিধিনিষেধহীন বন্দরের সংখ্যা বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন, যা স্থলবন্দরে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে। এসময় তিনি সড়ক, রেলপথ, অভ্যন্তরীণ নৌ-পথ ও কোস্টাল শিপিংয়ের মাধ্যমে এই উপ-অঞ্চলের বৃহত্তর সহযোগিতা, একীভূতকরণ এবং বহুমুখী সংযোগের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন।

এই ইন্টারঅ্যাক্টিভ সেশনে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ী চেম্বার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। ঢাকায় আগত সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (SIAM)-এর একটি প্রতিনিধি দলও এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।