ঢাকা ০৭:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিলমারীতে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও তথ্য দেয়নি কৃষি কর্মকর্তা

হাবিবুর রহমান:

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে তথ্য অধিকার ফর্মের মাধ্যমে আবেদন করতে গেলে ও আবেদনকারীকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ নুর আলম। এদিকে কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাশকে বিষয়টি জানালে তিনি তেমন ভাবে কোন উত্তর না দিয়ে, দায় সারা ভাবে কথা বলেছেন। সোমবার সকালে এবং দুপুরে দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ ও দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার প্রতিনিধি এস এম রাফি ও ফয়সাল হক তথ্য অধিকারে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের কৃষি প্রণোদনার বীজ ও সার এর তালিকা চেয়ে আবেদন করতে গেলে দায়িত্বরত স্টাফ ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ নুর আলম আবেদন টি গ্রহন না করে সাংবাদিকদের ফিরয়ে দিয়েছেন। এতে করে চিলমারীতে সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এ বলা হয়েছে, তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করণের নিমিত্ত বিধান করিবার লক্ষ্যে প্রণীত আইন। যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা নাগরিকগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃত এবং তথ্য প্রাপ্তির অধিকার চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং যেহেতু জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। সাংবাদিক রাফি বলেন, ১ম দফায় আবেদন নিয়ে গেলে দায়িত্বরত স্টাফ আমাকে বলেন আবেদন জমা দিয়ে যেতে পারেন। তবে রিসিভ করে নেয়া যাবে না বলে তিনি জানান। অপর দিকে সাংবাদিক ফয়সাল হক জানান, তারা আবেদন রেখে যেতে বলেছেন। সেই সাথে এটাও জানিয়েছেন যে উপরের কর্মকর্তার (কৃষি অফিসার) নিষেধ থাকায় আবেদন গ্রহন করেন নি। এ দিকে ক্ষোভ প্রকাশ করে, চিলমারী অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোঃ মমিনুল ইসলাম বাবু বলেন, তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ সনের ২০ নম্বর আইনে বলা আছে, যেহেতু জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। সুতরাং তথ্য অধিকারে যে কেউ আবেদন করতে পারেন। কিন্তু তারা আবেদন গ্রহন করেন না কেন, সেটা আমার বোধ গম্য হচ্ছে না। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাশের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আবেদনটি রেখে যেতে বললেও রিসিভ কপি দেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়েই তিনি বাইরে আছেন বলে মুঠোফোনের লাইন কেটে দিয়েছেন।

চিলমারীতে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও তথ্য দেয়নি কৃষি কর্মকর্তা

আপডেট টাইম : ০৬:৩৪:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

হাবিবুর রহমান:

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে তথ্য অধিকার ফর্মের মাধ্যমে আবেদন করতে গেলে ও আবেদনকারীকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ নুর আলম। এদিকে কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাশকে বিষয়টি জানালে তিনি তেমন ভাবে কোন উত্তর না দিয়ে, দায় সারা ভাবে কথা বলেছেন। সোমবার সকালে এবং দুপুরে দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ ও দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার প্রতিনিধি এস এম রাফি ও ফয়সাল হক তথ্য অধিকারে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের কৃষি প্রণোদনার বীজ ও সার এর তালিকা চেয়ে আবেদন করতে গেলে দায়িত্বরত স্টাফ ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ নুর আলম আবেদন টি গ্রহন না করে সাংবাদিকদের ফিরয়ে দিয়েছেন। এতে করে চিলমারীতে সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এ বলা হয়েছে, তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করণের নিমিত্ত বিধান করিবার লক্ষ্যে প্রণীত আইন। যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা নাগরিকগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃত এবং তথ্য প্রাপ্তির অধিকার চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং যেহেতু জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। সাংবাদিক রাফি বলেন, ১ম দফায় আবেদন নিয়ে গেলে দায়িত্বরত স্টাফ আমাকে বলেন আবেদন জমা দিয়ে যেতে পারেন। তবে রিসিভ করে নেয়া যাবে না বলে তিনি জানান। অপর দিকে সাংবাদিক ফয়সাল হক জানান, তারা আবেদন রেখে যেতে বলেছেন। সেই সাথে এটাও জানিয়েছেন যে উপরের কর্মকর্তার (কৃষি অফিসার) নিষেধ থাকায় আবেদন গ্রহন করেন নি। এ দিকে ক্ষোভ প্রকাশ করে, চিলমারী অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোঃ মমিনুল ইসলাম বাবু বলেন, তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ সনের ২০ নম্বর আইনে বলা আছে, যেহেতু জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। সুতরাং তথ্য অধিকারে যে কেউ আবেদন করতে পারেন। কিন্তু তারা আবেদন গ্রহন করেন না কেন, সেটা আমার বোধ গম্য হচ্ছে না। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাশের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আবেদনটি রেখে যেতে বললেও রিসিভ কপি দেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়েই তিনি বাইরে আছেন বলে মুঠোফোনের লাইন কেটে দিয়েছেন।