ঢাকা ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাজীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ পঞ্চগড়ে ৬ বছর পর বিএনপির জনসভা নিজ বাড়ির উঠানে ট্রাক্টরের চাপায় প্রাণ গেল শিশুর নওগাঁয় নার্সিং ইনষ্টিটিউটে পরিক্ষায় নকল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা: সমালোচনার জট কালিহাতীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী’র স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র  উপদেষ্টার শোক গাজীপুরে জামায়াতের কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সাভার আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রার্থী আলহাজ্ব মাদবর উপর সন্ত্রাসী হামলা গাজীপুরে সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময়

পঞ্চগড়ে সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ 

মো; বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো.মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়,জাল খারিজে জমি রেজিস্ট্রি ও অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে অচেতন ব্যক্তির জমি কমিশনে রেজিস্ট্রি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।কর্তৃপক্ষ বলছে এরকম হওয়ার কোন সুযোগ নাই।
ভুক্তভোগীরা জানান,জমি রেজিস্ট্রি করতে সরকারি রাজস্বের বাইরে দলিল প্রতি এক হাজার টাকা না দিলে কোনো জমি রেজিস্ট্রি হয় না এ অফিসে। শুধু তাই নয় সমেনা খাতুন দলিল লেখক ইসলাম উদ্দিনের সহযোগিতায় ১২ শতক জমি খারিজ করে ১৬ শতক বিক্রি রেজিস্ট্রি করেছেন যা নিয়ম বহির্ভূত।ঘুষ দিলেই খাজনা খারিজ ছাড়াই জমি রেজিস্ট্রি করে দেন সাব রেজিস্ট্রার।এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব হয়রানিতে পড়ছে সাধারন মানুষ।
জানা যায়,গত ৫ ডিসেম্বর সাব-রেজিস্টার মো.মিজানুর রহমান ঢাকায় কমিশনে আটটি দলিল রেজিস্ট্রেশন করার জন্য চুক্তি হয় ২ লাখ টাকা,পরে ঢাকায় গিয়ে জমি দাতা অচেতন অবস্থা দেখায় সাব রেজিস্ট্রার আরো ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন। টাকা না দিলে জমি রেজিস্ট্রি করবেন না।উপায় না পেয়ে আরো ৫০ হাজার টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রি করে নেন।জমি কমিশনে রেজিস্ট্রি করতে সাব রেজিস্ট্রার প্রতি কিঃমিঃ ভ্রমনভাতা
১০ টাকা ও তার অফিসের রাজস্ব একজন কর্মচারীর জন্য প্রতি কিঃমিঃ ৬ টাকা নেয়ার নিয়ম থাকলেও অতিরিক্ত অর্থ দাবী করে নেয়ায় ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
দলিল লেখক ইসলাম উদ্দিন সরকারের মাধ্যমে জমি বিক্রেতা আফরোজ হোসেন ও মোছা.রোকেয়া খাতুন প্রায় সাড়ে তিন বিঘা জমি আটজনের কাছে বিক্রি করে কমিশনে রেজিস্ট্রি করে দেন। দলিল নং ৪৪৪৮ থেকে ৪৪৫৫ পর্যন্ত। অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন দলিল লেখক।
ঘুষের টাকা প্রতিটি দলিল লেখককে সরকারি ফিসের সাথে হিসাব করে আলাদা বুঝিয়ে দিতে হয়।সেই অর্থ যায় সাব রেজিস্ট্রারের হাতে। অভিযোগ আছে টাকা না দিলে পদে পদে হয়রানি হতে হয় তাদের।
জমিদাতা আফরোজ হোসেনের তত্বাবধায়ক তাহিরুল ইসলাম জানান,ঢাকায় কমিশনে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য প্রথমে দুই লাখ টাকা চুক্তি হয়। পরে সাব রেজিস্ট্রার জমি দাতাকে অচেতন দেখায় আরো ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন, না দিলে জমি রেজিষ্ট্রেশন হবেনা।উপায় না পেয়ে আরো ৫০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলিল লেখক বলেন, আমরা এখানে অসহায়, আমদের কিছুই করার নাই। আমরা যদি দলিল প্রতি নির্ধারিত অতিরিক্ত টাকা হিসাব করে বুঝিয়ে না দেই। তবে দলিলই গ্রহণ করবেন না।
আটোয়ারী উপজেলার সাব- রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান বলেন, ঢাকায় গিয়ে কমিশনে কোন জমি রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি। আগে থেকেই অর্থ নেয়ার বিষয়টি চালু ছিল, সেটা বন্ধ করলে দলিল লেখকরাই মানছেনা। আমি কি করব।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পঞ্চগড়ে সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ 

আপডেট টাইম : ০৪:২১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩
মো; বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো.মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়,জাল খারিজে জমি রেজিস্ট্রি ও অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে অচেতন ব্যক্তির জমি কমিশনে রেজিস্ট্রি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।কর্তৃপক্ষ বলছে এরকম হওয়ার কোন সুযোগ নাই।
ভুক্তভোগীরা জানান,জমি রেজিস্ট্রি করতে সরকারি রাজস্বের বাইরে দলিল প্রতি এক হাজার টাকা না দিলে কোনো জমি রেজিস্ট্রি হয় না এ অফিসে। শুধু তাই নয় সমেনা খাতুন দলিল লেখক ইসলাম উদ্দিনের সহযোগিতায় ১২ শতক জমি খারিজ করে ১৬ শতক বিক্রি রেজিস্ট্রি করেছেন যা নিয়ম বহির্ভূত।ঘুষ দিলেই খাজনা খারিজ ছাড়াই জমি রেজিস্ট্রি করে দেন সাব রেজিস্ট্রার।এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব হয়রানিতে পড়ছে সাধারন মানুষ।
জানা যায়,গত ৫ ডিসেম্বর সাব-রেজিস্টার মো.মিজানুর রহমান ঢাকায় কমিশনে আটটি দলিল রেজিস্ট্রেশন করার জন্য চুক্তি হয় ২ লাখ টাকা,পরে ঢাকায় গিয়ে জমি দাতা অচেতন অবস্থা দেখায় সাব রেজিস্ট্রার আরো ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন। টাকা না দিলে জমি রেজিস্ট্রি করবেন না।উপায় না পেয়ে আরো ৫০ হাজার টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রি করে নেন।জমি কমিশনে রেজিস্ট্রি করতে সাব রেজিস্ট্রার প্রতি কিঃমিঃ ভ্রমনভাতা
১০ টাকা ও তার অফিসের রাজস্ব একজন কর্মচারীর জন্য প্রতি কিঃমিঃ ৬ টাকা নেয়ার নিয়ম থাকলেও অতিরিক্ত অর্থ দাবী করে নেয়ায় ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
দলিল লেখক ইসলাম উদ্দিন সরকারের মাধ্যমে জমি বিক্রেতা আফরোজ হোসেন ও মোছা.রোকেয়া খাতুন প্রায় সাড়ে তিন বিঘা জমি আটজনের কাছে বিক্রি করে কমিশনে রেজিস্ট্রি করে দেন। দলিল নং ৪৪৪৮ থেকে ৪৪৫৫ পর্যন্ত। অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন দলিল লেখক।
ঘুষের টাকা প্রতিটি দলিল লেখককে সরকারি ফিসের সাথে হিসাব করে আলাদা বুঝিয়ে দিতে হয়।সেই অর্থ যায় সাব রেজিস্ট্রারের হাতে। অভিযোগ আছে টাকা না দিলে পদে পদে হয়রানি হতে হয় তাদের।
জমিদাতা আফরোজ হোসেনের তত্বাবধায়ক তাহিরুল ইসলাম জানান,ঢাকায় কমিশনে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য প্রথমে দুই লাখ টাকা চুক্তি হয়। পরে সাব রেজিস্ট্রার জমি দাতাকে অচেতন দেখায় আরো ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন, না দিলে জমি রেজিষ্ট্রেশন হবেনা।উপায় না পেয়ে আরো ৫০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলিল লেখক বলেন, আমরা এখানে অসহায়, আমদের কিছুই করার নাই। আমরা যদি দলিল প্রতি নির্ধারিত অতিরিক্ত টাকা হিসাব করে বুঝিয়ে না দেই। তবে দলিলই গ্রহণ করবেন না।
আটোয়ারী উপজেলার সাব- রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান বলেন, ঢাকায় গিয়ে কমিশনে কোন জমি রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি। আগে থেকেই অর্থ নেয়ার বিষয়টি চালু ছিল, সেটা বন্ধ করলে দলিল লেখকরাই মানছেনা। আমি কি করব।