ঢাকা ১০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সরকারি নথি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে: ভূমি উপদেষ্টা সিরাজদিখানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল মুন্সীগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সাবেক নেত্রীবৃন্দের স্বরণে দোয়া ও আলোচনা সভা টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন গাজীপুরে চাঁদার দাবিতে বাড়ি ঘর ভাংচুরের অভিযোগ গোপালগঞ্জের হালিমের কথায় চলছে নন্দী পাড়া ভুমি অফিস গাজীপুরে StepUp অ্যাপ- এর প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালা অনুষ্ঠিত আদমদীঘিতে মাদকসেবনের দায়ে চার জনকে ভ্রাম্যমাণ দিল ইউএনও আগরতলায় হাইকমিশনে হামলায় বাংলাদেশের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া গাজীপুরে অনুর্ধ ১৭ ফুটবল খেলায় বিকেএসপি ২-১ গোলে হারালো গাজীপুরকে

ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ফাঁস, ২ রাজস্ব কর্মকর্তা প্রত্যাহার

মাদারীপুর প্রতিনিধি :

ঘুষ লেনদেনের ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় মাদারীপুরের কাস্টমস্, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের দুই রাজস্ব কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও ইমরান কবিরকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।

এর আগে রোববার সন্ধ্যায় খুলনা ভ্যাট অফিসের কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেনের সই করা চিঠিতে ওই দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়। অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে খুলনা ভ্যাট অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ভ্যাট অফিসের দুই রাজস্ব কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

১০ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, অফিস কক্ষে বসেই ঘুষের টাকা গ্রহণ করছেন রফিকুল ইসলাম ও ইমরান কবির। শুধু তাই নয়, প্রতি মাসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘুষ চেয়ে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে দর-কষাকষিও করছিলেন তারা।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় পুরো জেলায় সমলোচনার ঝড় ওঠে। এ নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নজরে এলে অভিযুক্ত দুই রাজস্ব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

আজ দুপুরে খুলনা ভ্যাট অফিসের কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেনের সই করা চিঠিটি মাদারীপুর সার্কেল অফিসকে দেওয়া হলে অভিযুক্ত দুই রাজস্ব কর্মকর্তা খুলনায় চলে যান। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি বিভাগীয় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম লিখন বলেন, ‘শুনেছি ওই দুই রাজস্ব কর্মকর্তার বদলি হয়েছে। তবে এতে তো দোষীদের কোনো বিচার হলো না। বরং মাদারীপুর জেলার চেয়ে বড় জেলায় তাদের বদলি হলো। তাদের সেখানে রেখে তদন্ত করা হলে বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত করলে আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে।’

এ বিষয়ে জানতে মাদারীপুরের কাস্টমস্, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের বিভাগীয় কর্মকর্তা ও ডেপুটি কমিশনার মো. এনামুল হকের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি নথি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে: ভূমি উপদেষ্টা

ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ফাঁস, ২ রাজস্ব কর্মকর্তা প্রত্যাহার

আপডেট টাইম : ০১:৩৮:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩

মাদারীপুর প্রতিনিধি :

ঘুষ লেনদেনের ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় মাদারীপুরের কাস্টমস্, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের দুই রাজস্ব কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও ইমরান কবিরকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।

এর আগে রোববার সন্ধ্যায় খুলনা ভ্যাট অফিসের কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেনের সই করা চিঠিতে ওই দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়। অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে খুলনা ভ্যাট অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ভ্যাট অফিসের দুই রাজস্ব কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

১০ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, অফিস কক্ষে বসেই ঘুষের টাকা গ্রহণ করছেন রফিকুল ইসলাম ও ইমরান কবির। শুধু তাই নয়, প্রতি মাসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘুষ চেয়ে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে দর-কষাকষিও করছিলেন তারা।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় পুরো জেলায় সমলোচনার ঝড় ওঠে। এ নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নজরে এলে অভিযুক্ত দুই রাজস্ব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

আজ দুপুরে খুলনা ভ্যাট অফিসের কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেনের সই করা চিঠিটি মাদারীপুর সার্কেল অফিসকে দেওয়া হলে অভিযুক্ত দুই রাজস্ব কর্মকর্তা খুলনায় চলে যান। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি বিভাগীয় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম লিখন বলেন, ‘শুনেছি ওই দুই রাজস্ব কর্মকর্তার বদলি হয়েছে। তবে এতে তো দোষীদের কোনো বিচার হলো না। বরং মাদারীপুর জেলার চেয়ে বড় জেলায় তাদের বদলি হলো। তাদের সেখানে রেখে তদন্ত করা হলে বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত করলে আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে।’

এ বিষয়ে জানতে মাদারীপুরের কাস্টমস্, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের বিভাগীয় কর্মকর্তা ও ডেপুটি কমিশনার মো. এনামুল হকের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।