বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
১৬ ভিক্ষুক ভিক্ষা করতে ওমরা ভিসা নিয়ে যাচ্ছিলেন সৌদি আরব, বিমানবন্দরে আটক পেট্রোল পাম্প মালিকদের কমিশন ও পরিবহন ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন বেশি স্যাংশন দিলে আমরাও দিয়ে দেব: প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে ইসি শেখ হাসিনার জন্মদিন বিশেষ ভাবে পালন করলেন মনোনয়ন প্রত্যাশী—হাসিব আলম তালুকদার বিএনপি মাহুত ছাড়া পাগলা হাতিতে পরিনত হয়েছে—জাহাঙ্গীর কবির নানক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর শ্রীপুর কুছাইছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতভাগ ভালো কাজ হচ্ছে জানালেন এলাকাবাসী ত্রিশালে চরিত্রহীন শিক্ষককে মাদ্রাসায় ফিরিয়ে আনতে ইমামকে লাঞ্চিত করলো কমিটি! আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ফাঁস, ২ রাজস্ব কর্মকর্তা প্রত্যাহার

ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ফাঁস, ২ রাজস্ব কর্মকর্তা প্রত্যাহার

মাদারীপুর প্রতিনিধি :

ঘুষ লেনদেনের ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় মাদারীপুরের কাস্টমস্, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের দুই রাজস্ব কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও ইমরান কবিরকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।

এর আগে রোববার সন্ধ্যায় খুলনা ভ্যাট অফিসের কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেনের সই করা চিঠিতে ওই দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়। অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে খুলনা ভ্যাট অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ভ্যাট অফিসের দুই রাজস্ব কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

১০ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, অফিস কক্ষে বসেই ঘুষের টাকা গ্রহণ করছেন রফিকুল ইসলাম ও ইমরান কবির। শুধু তাই নয়, প্রতি মাসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘুষ চেয়ে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে দর-কষাকষিও করছিলেন তারা।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় পুরো জেলায় সমলোচনার ঝড় ওঠে। এ নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নজরে এলে অভিযুক্ত দুই রাজস্ব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

আজ দুপুরে খুলনা ভ্যাট অফিসের কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেনের সই করা চিঠিটি মাদারীপুর সার্কেল অফিসকে দেওয়া হলে অভিযুক্ত দুই রাজস্ব কর্মকর্তা খুলনায় চলে যান। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি বিভাগীয় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম লিখন বলেন, ‘শুনেছি ওই দুই রাজস্ব কর্মকর্তার বদলি হয়েছে। তবে এতে তো দোষীদের কোনো বিচার হলো না। বরং মাদারীপুর জেলার চেয়ে বড় জেলায় তাদের বদলি হলো। তাদের সেখানে রেখে তদন্ত করা হলে বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত করলে আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে।’

এ বিষয়ে জানতে মাদারীপুরের কাস্টমস্, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের বিভাগীয় কর্মকর্তা ও ডেপুটি কমিশনার মো. এনামুল হকের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved 2018-2022 khoborbangladesh.com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com