ঢাকা ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নড়াইলে আওয়ামিলীগ নেতার কাছে প্রশাসন জিম্মি? মনপুরার ইতিহাসে রেকর্ড পরিমান বজ্রপাত :কাকড়া শিকারীর মৃত্যু সহ ৬ গরু মহিষের মৃত্যু মির্জাগঞ্জে অসহায় প্রতিবন্ধীকে চায়ের দোকান দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লালনের তিরোধান দিবস জাতীয় দিবস ঘোষণায় কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের অভিনন্দন বাউফলে মাদ্রাসার তালা ভেঙ্গে চেয়ার ও কাগজপত্র তছনছসহ লাঞ্ছিতের অভিযোগ কালীগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময় গাজীপুর কালীগঞ্জে ট্রেন-অটোরিকশা সংঘর্ষ জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো দিয়ামনি ই – কমিউনিকেশন স্টার এ্যাওয়ার্ড নৌ-অধিদপ্তরের চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন গিয়াসের নামে দুদকের মামলার অনুমোদন মাদারীপুরে সরকারী ক্ষমতার অপব্যবহার করে সমাজ সেবা কর্মকর্তা ও তার বেকার স্বামীর দাদাগিরি!

ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ফাঁস, ২ রাজস্ব কর্মকর্তা প্রত্যাহার

মাদারীপুর প্রতিনিধি :

ঘুষ লেনদেনের ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় মাদারীপুরের কাস্টমস্, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের দুই রাজস্ব কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও ইমরান কবিরকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।

এর আগে রোববার সন্ধ্যায় খুলনা ভ্যাট অফিসের কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেনের সই করা চিঠিতে ওই দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়। অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে খুলনা ভ্যাট অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ভ্যাট অফিসের দুই রাজস্ব কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

১০ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, অফিস কক্ষে বসেই ঘুষের টাকা গ্রহণ করছেন রফিকুল ইসলাম ও ইমরান কবির। শুধু তাই নয়, প্রতি মাসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘুষ চেয়ে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে দর-কষাকষিও করছিলেন তারা।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় পুরো জেলায় সমলোচনার ঝড় ওঠে। এ নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নজরে এলে অভিযুক্ত দুই রাজস্ব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

আজ দুপুরে খুলনা ভ্যাট অফিসের কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেনের সই করা চিঠিটি মাদারীপুর সার্কেল অফিসকে দেওয়া হলে অভিযুক্ত দুই রাজস্ব কর্মকর্তা খুলনায় চলে যান। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি বিভাগীয় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম লিখন বলেন, ‘শুনেছি ওই দুই রাজস্ব কর্মকর্তার বদলি হয়েছে। তবে এতে তো দোষীদের কোনো বিচার হলো না। বরং মাদারীপুর জেলার চেয়ে বড় জেলায় তাদের বদলি হলো। তাদের সেখানে রেখে তদন্ত করা হলে বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত করলে আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে।’

এ বিষয়ে জানতে মাদারীপুরের কাস্টমস্, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের বিভাগীয় কর্মকর্তা ও ডেপুটি কমিশনার মো. এনামুল হকের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।

ট্যাগস

নড়াইলে আওয়ামিলীগ নেতার কাছে প্রশাসন জিম্মি?

ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ফাঁস, ২ রাজস্ব কর্মকর্তা প্রত্যাহার

আপডেট টাইম : ০১:৩৮:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩

মাদারীপুর প্রতিনিধি :

ঘুষ লেনদেনের ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় মাদারীপুরের কাস্টমস্, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের দুই রাজস্ব কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও ইমরান কবিরকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।

এর আগে রোববার সন্ধ্যায় খুলনা ভ্যাট অফিসের কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেনের সই করা চিঠিতে ওই দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়। অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে খুলনা ভ্যাট অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ভ্যাট অফিসের দুই রাজস্ব কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

১০ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, অফিস কক্ষে বসেই ঘুষের টাকা গ্রহণ করছেন রফিকুল ইসলাম ও ইমরান কবির। শুধু তাই নয়, প্রতি মাসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘুষ চেয়ে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে দর-কষাকষিও করছিলেন তারা।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় পুরো জেলায় সমলোচনার ঝড় ওঠে। এ নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নজরে এলে অভিযুক্ত দুই রাজস্ব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

আজ দুপুরে খুলনা ভ্যাট অফিসের কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেনের সই করা চিঠিটি মাদারীপুর সার্কেল অফিসকে দেওয়া হলে অভিযুক্ত দুই রাজস্ব কর্মকর্তা খুলনায় চলে যান। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি বিভাগীয় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম লিখন বলেন, ‘শুনেছি ওই দুই রাজস্ব কর্মকর্তার বদলি হয়েছে। তবে এতে তো দোষীদের কোনো বিচার হলো না। বরং মাদারীপুর জেলার চেয়ে বড় জেলায় তাদের বদলি হলো। তাদের সেখানে রেখে তদন্ত করা হলে বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত করলে আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে।’

এ বিষয়ে জানতে মাদারীপুরের কাস্টমস্, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের বিভাগীয় কর্মকর্তা ও ডেপুটি কমিশনার মো. এনামুল হকের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।