ঢাকা ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাভার আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রার্থী আলহাজ্ব মাদবর উপর সন্ত্রাসী হামলা গাজীপুরে সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময় গাজীপুরে কর্পোরেট কোম্পানি থেকে পোল্ট্রি শিল্পকে রক্ষায় আলোচনা সভা সিরাজদিখানে প্রবাসী যুবককে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা; ছিনিয়ে নিয়েছে টাকা- স্বর্ণালংকার গাজীপুরে বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১দফার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত পঞ্চগড়ে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) কর্তৃক শীত বস্ত্র বিতরণ আদমদীঘিতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ আদমদীঘিতে সান্তাহার পৌর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রোকন গ্রেপ্তার পালিয়েও শেষ রক্ষা হলোনা অবশেষে পুলিশের জালে আটক ১৬ ডিসেম্বর: বিজয় দিবস ঘিরে নানা আয়োজন ও উৎসবের আমেজ

পুলিশকে সতর্ক থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

খবর বাংলাদেশ :

অগ্নি-সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সেজন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩’ উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এ কথা বলেন।

পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সতর্ক থাকুন যাতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কেউ বাধা দিতে না পারে, কেউ আবার অগ্নিসংযোগ-সন্ত্রাস করার সাহস না পায়, এবং কেউ আর যাতে  কখনো কারো জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম প্রসঙ্গে বলেন, ‘হ্যাঁ আন্দোলন-সংগ্রাম করবে। ঠিক আছে জনগণকে নিয়ে করবে। সেক্ষেত্রে যদি কোন ধ্বংসাত্মক কাজ করে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা সবাইকে নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘কারণ আজকে বাংলাদেশের যতটুকু উন্নতি আমরা করেছি সেটা কিন্তু এমনি এমনি আসেনি। এজন্য আমাদের শ্রম দিতে হয়েছে, কষ্ট করতে হয়েছে, পরিকল্পনা করতে হয়েছে। যার ফলে মাত্র ১৪ বছরে আমরা বাংলাদেশের বিরাট পরিবর্তন আনতে পেরেছি।’

পুলিশের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানা রকম চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সমস্যার কারণে সৃষ্ট সমস্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সমস্যা, মানবসৃষ্ট দুর্যোগ- যেমন অগ্নি-সন্ত্রাস বা নানা নৈরাজ্য যেখানে পুলিশ সদস্যদেরকে নির্দয়ভাবে মারা হয়েছে, আমরা দেখেছি। কাজেই ভবিষ্যতে যাতে আমাদের এই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা কেউ ব্যহত করতে না পারে। কেউ যেন আর ওই অগ্নি-সন্ত্রাস করার সাহস না পায়। মানুষের জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তা যেন কেউ বিঘ্নিত করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা দেশের আইনশৃঙ্খলা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই আইনশৃঙ্খলাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রনে রাখার দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীকেই পালন করতে হবে। এ জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং সেক্টর ওয়াইজ বাহিনী করে সার্বিক সুযোগ-সুবিধা তার সরকার বৃদ্ধি করে দিয়েছে কারণ একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পুলিশ বাহিনীকেই এই দায়িত্ব পালন করতে হয়। থানা, তদন্ত কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি এমনকি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নও তার সরকার করে দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বক্তব্য দেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল হাসান। এ সময় কয়েকজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার কথাও শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সাভার আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রার্থী আলহাজ্ব মাদবর উপর সন্ত্রাসী হামলা

পুলিশকে সতর্ক থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৫:৪১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

খবর বাংলাদেশ :

অগ্নি-সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সেজন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩’ উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এ কথা বলেন।

পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সতর্ক থাকুন যাতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কেউ বাধা দিতে না পারে, কেউ আবার অগ্নিসংযোগ-সন্ত্রাস করার সাহস না পায়, এবং কেউ আর যাতে  কখনো কারো জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম প্রসঙ্গে বলেন, ‘হ্যাঁ আন্দোলন-সংগ্রাম করবে। ঠিক আছে জনগণকে নিয়ে করবে। সেক্ষেত্রে যদি কোন ধ্বংসাত্মক কাজ করে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা সবাইকে নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘কারণ আজকে বাংলাদেশের যতটুকু উন্নতি আমরা করেছি সেটা কিন্তু এমনি এমনি আসেনি। এজন্য আমাদের শ্রম দিতে হয়েছে, কষ্ট করতে হয়েছে, পরিকল্পনা করতে হয়েছে। যার ফলে মাত্র ১৪ বছরে আমরা বাংলাদেশের বিরাট পরিবর্তন আনতে পেরেছি।’

পুলিশের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানা রকম চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সমস্যার কারণে সৃষ্ট সমস্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সমস্যা, মানবসৃষ্ট দুর্যোগ- যেমন অগ্নি-সন্ত্রাস বা নানা নৈরাজ্য যেখানে পুলিশ সদস্যদেরকে নির্দয়ভাবে মারা হয়েছে, আমরা দেখেছি। কাজেই ভবিষ্যতে যাতে আমাদের এই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা কেউ ব্যহত করতে না পারে। কেউ যেন আর ওই অগ্নি-সন্ত্রাস করার সাহস না পায়। মানুষের জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তা যেন কেউ বিঘ্নিত করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা দেশের আইনশৃঙ্খলা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই আইনশৃঙ্খলাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রনে রাখার দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীকেই পালন করতে হবে। এ জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং সেক্টর ওয়াইজ বাহিনী করে সার্বিক সুযোগ-সুবিধা তার সরকার বৃদ্ধি করে দিয়েছে কারণ একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পুলিশ বাহিনীকেই এই দায়িত্ব পালন করতে হয়। থানা, তদন্ত কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি এমনকি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নও তার সরকার করে দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বক্তব্য দেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল হাসান। এ সময় কয়েকজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার কথাও শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী।