ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাভার আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রার্থী আলহাজ্ব মাদবর উপর সন্ত্রাসী হামলা গাজীপুরে সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময় গাজীপুরে কর্পোরেট কোম্পানি থেকে পোল্ট্রি শিল্পকে রক্ষায় আলোচনা সভা সিরাজদিখানে প্রবাসী যুবককে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা; ছিনিয়ে নিয়েছে টাকা- স্বর্ণালংকার গাজীপুরে বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১দফার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত পঞ্চগড়ে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) কর্তৃক শীত বস্ত্র বিতরণ আদমদীঘিতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ আদমদীঘিতে সান্তাহার পৌর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রোকন গ্রেপ্তার পালিয়েও শেষ রক্ষা হলোনা অবশেষে পুলিশের জালে আটক ১৬ ডিসেম্বর: বিজয় দিবস ঘিরে নানা আয়োজন ও উৎসবের আমেজ

ভেঙে ফেলা হচ্ছে এরশাদ শিকদারের ‘স্বর্ণকমল

নিজস্ব প্রতিবেদক :

এরশাদ শিকদারের মেজ ছেলে কামাল শিকদার বলেন, তাঁদের বাড়িটি ১০ কাঠা জমির ওপর বানানো। বাড়ির একটি অংশ তিনতলা পুরোনো ভবন ও অন্য অংশটি দোতলা। কয়েক দিন আগে পুরোনো তিনতলা ভবনটি শ্রমিক দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখন দোতলা ভবনটির অর্ধেকের মতো অংশ ভাঙা হচ্ছে। ওই ভাঙা অংশ কোনো ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে বহুতল ভবন তৈরির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।

সম্প্রতি ওই বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা যায়, দোতলা ভবনের ওপরের অংশ ভাঙার কাজ করছেন শ্রমিকেরা। একসময় বাড়ির প্রধান ফটকের সামনে নামফলক ছিল, সেটি খুলে ফেলা হয়েছে। বাড়ির সামনে উৎসুক লোকজন দাঁড়িয়ে বাড়ি ভাঙার কাজ দেখছেন।
এরশাদ শিকদার ৬০টির বেশি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে প্রচলিত আছে। তবে ২৪ হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন তাঁর দেহরক্ষী নুরে আলম। ২০০৪ সালের ১০ মে মধ্যরাতে খুলনা জেলা কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এরশাদ শিকদারের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

এরশাদ শিকদারের জন্ম ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মাদারঘোনা গ্রামে। তাঁর বাবা ছিলেন বন্দে আলী শিকদার। আট ভাইবোনের মধ্যে এরশাদ শিকদার ছিলেন দ্বিতীয়। ১৯৬৭ সালে জন্মস্থান নলছিটি ছেড়ে খুলনায় চলে আসেন। ঘাঁটি গাড়েন ৫ নম্বর ঘাট এলাকায়। আশির দশকে নিয়ন্ত্রণ নেন রেলস্টেশন, ৪ ও ৫ নম্বর ঘাট এলাকার। এরপর তাঁর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু হয়।

১৯৮২ সালে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে রাজনীতিতে যুক্ত হন এরশাদ শিকদার। ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে তিনি তৎকালীন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের (বর্তমান ২১ নম্বর ওয়ার্ড) কমিশনার নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠনের পর তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর তিনি আবারও দল পরিবর্তন করেন। এবার যোগ দেন আওয়ামী লীগে। সমালোচনার মুখে কিছুদিন পরই আওয়ামী লীগ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। ১৯৯৯ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার সময় তিনি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার ছিলেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সাভার আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রার্থী আলহাজ্ব মাদবর উপর সন্ত্রাসী হামলা

ভেঙে ফেলা হচ্ছে এরশাদ শিকদারের ‘স্বর্ণকমল

আপডেট টাইম : ০৫:১০:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :

এরশাদ শিকদারের মেজ ছেলে কামাল শিকদার বলেন, তাঁদের বাড়িটি ১০ কাঠা জমির ওপর বানানো। বাড়ির একটি অংশ তিনতলা পুরোনো ভবন ও অন্য অংশটি দোতলা। কয়েক দিন আগে পুরোনো তিনতলা ভবনটি শ্রমিক দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখন দোতলা ভবনটির অর্ধেকের মতো অংশ ভাঙা হচ্ছে। ওই ভাঙা অংশ কোনো ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে বহুতল ভবন তৈরির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।

সম্প্রতি ওই বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা যায়, দোতলা ভবনের ওপরের অংশ ভাঙার কাজ করছেন শ্রমিকেরা। একসময় বাড়ির প্রধান ফটকের সামনে নামফলক ছিল, সেটি খুলে ফেলা হয়েছে। বাড়ির সামনে উৎসুক লোকজন দাঁড়িয়ে বাড়ি ভাঙার কাজ দেখছেন।
এরশাদ শিকদার ৬০টির বেশি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে প্রচলিত আছে। তবে ২৪ হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন তাঁর দেহরক্ষী নুরে আলম। ২০০৪ সালের ১০ মে মধ্যরাতে খুলনা জেলা কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এরশাদ শিকদারের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

এরশাদ শিকদারের জন্ম ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মাদারঘোনা গ্রামে। তাঁর বাবা ছিলেন বন্দে আলী শিকদার। আট ভাইবোনের মধ্যে এরশাদ শিকদার ছিলেন দ্বিতীয়। ১৯৬৭ সালে জন্মস্থান নলছিটি ছেড়ে খুলনায় চলে আসেন। ঘাঁটি গাড়েন ৫ নম্বর ঘাট এলাকায়। আশির দশকে নিয়ন্ত্রণ নেন রেলস্টেশন, ৪ ও ৫ নম্বর ঘাট এলাকার। এরপর তাঁর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু হয়।

১৯৮২ সালে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে রাজনীতিতে যুক্ত হন এরশাদ শিকদার। ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে তিনি তৎকালীন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের (বর্তমান ২১ নম্বর ওয়ার্ড) কমিশনার নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠনের পর তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর তিনি আবারও দল পরিবর্তন করেন। এবার যোগ দেন আওয়ামী লীগে। সমালোচনার মুখে কিছুদিন পরই আওয়ামী লীগ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। ১৯৯৯ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার সময় তিনি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার ছিলেন।