ঢাকা ০৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দল ধর্ম গোষ্ঠীর ভিত্তিতে আর জাতিকে বিভাজন করতে দেওয়া হবে না- গাজীপুরে ডা. শফিকুর কালিহাতীতে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪ পঞ্চগড়ে মরা মুরগিসহ ২ জন আটক কাশিমপুর থেকে মাহমুদুর রহমান কারামুক্ত রাজধানীর দারুস সালামে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মোবাইল, দেশীয় অস্ত্র, বুলেট  ও পিস্তল উদ্ধারসহ আটক ৪ কালিহাতীতে দুর্গা পূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা ও সরকারি অনুদান প্রদান দুর্গােৎসব উপলক্ষে আনসারদের স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা মূলক যাচাই-বাছাই চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি শুধু হাত বদল হয়েছে অভিযোগ ব‍্যাবসায়িদের গাজীপুরে তাজউদ্দীন হাসপাতালে লিফট দুর্ঘটনায় আবারও রোগীর স্বজনের মৃত্যু সান্তাহারে যুবদল অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার

ভেঙে ফেলা হচ্ছে এরশাদ শিকদারের ‘স্বর্ণকমল

নিজস্ব প্রতিবেদক :

এরশাদ শিকদারের মেজ ছেলে কামাল শিকদার বলেন, তাঁদের বাড়িটি ১০ কাঠা জমির ওপর বানানো। বাড়ির একটি অংশ তিনতলা পুরোনো ভবন ও অন্য অংশটি দোতলা। কয়েক দিন আগে পুরোনো তিনতলা ভবনটি শ্রমিক দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখন দোতলা ভবনটির অর্ধেকের মতো অংশ ভাঙা হচ্ছে। ওই ভাঙা অংশ কোনো ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে বহুতল ভবন তৈরির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।

সম্প্রতি ওই বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা যায়, দোতলা ভবনের ওপরের অংশ ভাঙার কাজ করছেন শ্রমিকেরা। একসময় বাড়ির প্রধান ফটকের সামনে নামফলক ছিল, সেটি খুলে ফেলা হয়েছে। বাড়ির সামনে উৎসুক লোকজন দাঁড়িয়ে বাড়ি ভাঙার কাজ দেখছেন।
এরশাদ শিকদার ৬০টির বেশি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে প্রচলিত আছে। তবে ২৪ হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন তাঁর দেহরক্ষী নুরে আলম। ২০০৪ সালের ১০ মে মধ্যরাতে খুলনা জেলা কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এরশাদ শিকদারের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

এরশাদ শিকদারের জন্ম ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মাদারঘোনা গ্রামে। তাঁর বাবা ছিলেন বন্দে আলী শিকদার। আট ভাইবোনের মধ্যে এরশাদ শিকদার ছিলেন দ্বিতীয়। ১৯৬৭ সালে জন্মস্থান নলছিটি ছেড়ে খুলনায় চলে আসেন। ঘাঁটি গাড়েন ৫ নম্বর ঘাট এলাকায়। আশির দশকে নিয়ন্ত্রণ নেন রেলস্টেশন, ৪ ও ৫ নম্বর ঘাট এলাকার। এরপর তাঁর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু হয়।

১৯৮২ সালে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে রাজনীতিতে যুক্ত হন এরশাদ শিকদার। ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে তিনি তৎকালীন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের (বর্তমান ২১ নম্বর ওয়ার্ড) কমিশনার নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠনের পর তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর তিনি আবারও দল পরিবর্তন করেন। এবার যোগ দেন আওয়ামী লীগে। সমালোচনার মুখে কিছুদিন পরই আওয়ামী লীগ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। ১৯৯৯ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার সময় তিনি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার ছিলেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

দল ধর্ম গোষ্ঠীর ভিত্তিতে আর জাতিকে বিভাজন করতে দেওয়া হবে না- গাজীপুরে ডা. শফিকুর

ভেঙে ফেলা হচ্ছে এরশাদ শিকদারের ‘স্বর্ণকমল

আপডেট টাইম : ০৫:১০:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :

এরশাদ শিকদারের মেজ ছেলে কামাল শিকদার বলেন, তাঁদের বাড়িটি ১০ কাঠা জমির ওপর বানানো। বাড়ির একটি অংশ তিনতলা পুরোনো ভবন ও অন্য অংশটি দোতলা। কয়েক দিন আগে পুরোনো তিনতলা ভবনটি শ্রমিক দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখন দোতলা ভবনটির অর্ধেকের মতো অংশ ভাঙা হচ্ছে। ওই ভাঙা অংশ কোনো ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে বহুতল ভবন তৈরির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।

সম্প্রতি ওই বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা যায়, দোতলা ভবনের ওপরের অংশ ভাঙার কাজ করছেন শ্রমিকেরা। একসময় বাড়ির প্রধান ফটকের সামনে নামফলক ছিল, সেটি খুলে ফেলা হয়েছে। বাড়ির সামনে উৎসুক লোকজন দাঁড়িয়ে বাড়ি ভাঙার কাজ দেখছেন।
এরশাদ শিকদার ৬০টির বেশি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে প্রচলিত আছে। তবে ২৪ হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন তাঁর দেহরক্ষী নুরে আলম। ২০০৪ সালের ১০ মে মধ্যরাতে খুলনা জেলা কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এরশাদ শিকদারের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

এরশাদ শিকদারের জন্ম ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মাদারঘোনা গ্রামে। তাঁর বাবা ছিলেন বন্দে আলী শিকদার। আট ভাইবোনের মধ্যে এরশাদ শিকদার ছিলেন দ্বিতীয়। ১৯৬৭ সালে জন্মস্থান নলছিটি ছেড়ে খুলনায় চলে আসেন। ঘাঁটি গাড়েন ৫ নম্বর ঘাট এলাকায়। আশির দশকে নিয়ন্ত্রণ নেন রেলস্টেশন, ৪ ও ৫ নম্বর ঘাট এলাকার। এরপর তাঁর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু হয়।

১৯৮২ সালে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে রাজনীতিতে যুক্ত হন এরশাদ শিকদার। ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে তিনি তৎকালীন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের (বর্তমান ২১ নম্বর ওয়ার্ড) কমিশনার নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠনের পর তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর তিনি আবারও দল পরিবর্তন করেন। এবার যোগ দেন আওয়ামী লীগে। সমালোচনার মুখে কিছুদিন পরই আওয়ামী লীগ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। ১৯৯৯ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার সময় তিনি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার ছিলেন।