খবর বাংলাদেশ :
চাঁদাবাজি, ডাকাতি, দখলবাজি, মাদক ব্যবসা ও অবৈধ অস্ত্র রাখা —এ রকম নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী যুবলীগের তথা কথিত বাড্ডা থানা যুবলীগের আহ্বায়ক দাবিদার কাউসার এর বিরুদ্ধে। তার
বিরুদ্ধে নানা অপরাধে জড়িত থাকার তথ্যও পাওয়া গেছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনেক ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য এই অভিযোগ মানতে রাজি নন ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা। তিনি দাবি করেন, অপরাধে যুক্ত যুবলীগ কিংবা ছাত্রলীগ যে সংগঠনের সদস্যই হোক না কেন, কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। থার্টিফার্স্ট নাইটে মাতাল হয়ে বাড্ডা লিঙ্ক রোড গুদারা ঘাট এলাকায় যুবলীগের অফিসে কাউসারের অতর্কিত গুলি বর্ষণ, যুবলীগ কর্মীকে হত্যার উদ্দেশ্যে লক্ষ্য করে গুলি, ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা না নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর পুলিশের একজন সিনিয়র অফিসার জানান, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে খুব দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, বাড্ডা থানা যুবলীগের আহ্বায়ক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজ কাউসার থানা এলাকার মাদক, সন্ত্রাসী ও অবৈধ চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ করেন। এলাকায় তাঁর রয়েছে তার একাধিক মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী বাহিনী। সরকার দলীয় লোক ও বাড্ডা থানা যুবলীগের তথাকথিত আহ্বায়ক পরিচয়ে প্রভাব খাটানোর কারণে এলাকায় কেউ ভয়ে মুখ খুলে না।
তবে এবিষয়ে এলাকাবাসী আতঙ্কিত ও সন্ত্রাসীর কাউসারকে দ্রুত গ্রেফতার জোর দাবি জানান। উল্লেখিত ঘটনায় থানায় মামলা না নেয়ায় আদালতে মামলা রুজু হয়।