ঢাকা ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মুন্সীগঞ্জে কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে বীজ আলু ও সার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরনের লক্ষে অবহিতকরণ সভা পঞ্চগড়ে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদকসহ মা-ছেলে আটক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কে এই শরীফ জহির? এলডিসি দেশগুলোর জন্য ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দে ইইউ-এর সমর্থন চাইল বাংলাদেশ কক্সবাজার সফরকালে যৌথ বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে সালাউদ্দিন চৌধুরী ডিসেম্বরে ভারতের সাথে এফওসি বৈঠক, এজেন্ডা এখনো চূড়ান্ত নয় গাজীপুরে ঝুকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রীজের দাবীতে মানববন্ধন গাজীপুরে ২১০ পিস ইয়াবা ও সাড়ে ১১ লাখ টাকাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার প্রকল্পের টাকা হরিলুটের অভিযোগ ইউএনও এবং পিআইও’র বিরুদ্ধে

কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসি কার্যকর

গাজীপুর প্রতিনিধি :

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে (পার্ট-৪) ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১০টায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দণ্ড কার্যকর করা হয়।

দণ্ড কার্যকর হওয়া কয়েদির নাম সাইফুল ইসলাম রফিক ওরফে সাইদুল ইসলাম রফিক (৫০)। তিনি বগুড়া সদর থানার মালতি নগর নামাপাড়া এলাকার মোজাম ফকিরের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।

তিনি জানান, রোববার রাত ১০টায় সাইফুল ইসলাম রফিক ওরফে সাইদুল ইসলাম রফিককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছেন জল্লাদ শাহজাহান ভুইয়া। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামান।

তিনি আরও জানান, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির,গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজুয়ান আহামেদ, ডা. কামরুন্নাহার, গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরীসহ অন্যরা।

রফিকের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে বগুড়ায় ডাকাতি ও ধর্ষণ করার অপরাধে মামলা হয়। এ মামলায় বিচারিক আদালত তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। পরে তিনি ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে প্রথমে আপিল ও পরে রিভিউ আবেদন করেন। আদালতে সেগুলো খারিজ হলে তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। পরে তার প্রাণভিক্ষার আবেদন না মঞ্জুর করা হয়। পরে কারাবিধি অনুযায়ী রোববার তার দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মরদেহ স্বজনদের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। রফিকের ভাই মো. রোকন ও মো. মেহেদী হাসান মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে রওনা হয়েছেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জে কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে বীজ আলু ও সার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরনের লক্ষে অবহিতকরণ সভা

কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসি কার্যকর

আপডেট টাইম : ০৭:০১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

গাজীপুর প্রতিনিধি :

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে (পার্ট-৪) ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১০টায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দণ্ড কার্যকর করা হয়।

দণ্ড কার্যকর হওয়া কয়েদির নাম সাইফুল ইসলাম রফিক ওরফে সাইদুল ইসলাম রফিক (৫০)। তিনি বগুড়া সদর থানার মালতি নগর নামাপাড়া এলাকার মোজাম ফকিরের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।

তিনি জানান, রোববার রাত ১০টায় সাইফুল ইসলাম রফিক ওরফে সাইদুল ইসলাম রফিককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছেন জল্লাদ শাহজাহান ভুইয়া। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামান।

তিনি আরও জানান, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির,গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজুয়ান আহামেদ, ডা. কামরুন্নাহার, গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরীসহ অন্যরা।

রফিকের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে বগুড়ায় ডাকাতি ও ধর্ষণ করার অপরাধে মামলা হয়। এ মামলায় বিচারিক আদালত তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। পরে তিনি ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে প্রথমে আপিল ও পরে রিভিউ আবেদন করেন। আদালতে সেগুলো খারিজ হলে তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। পরে তার প্রাণভিক্ষার আবেদন না মঞ্জুর করা হয়। পরে কারাবিধি অনুযায়ী রোববার তার দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মরদেহ স্বজনদের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। রফিকের ভাই মো. রোকন ও মো. মেহেদী হাসান মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে রওনা হয়েছেন।