ঢাকা ০২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শরীয়তপুরে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত লালমোহনে মৃত সালমার ভাইদের প্রতারণা  ভাগ্নি- ভাগিনার টাকা – জমি আত্মসাৎ বন্ধ রাখে বোনের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য হট লাইন চালু জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠক ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান’ পরকীয়ায় টালমাটাল রেড ক্রিসেন্টে সোসাইটির দুই সহকর্মী  কারাগারে গলায় ফাঁস নিয়ে মারা গেলেন বিরুলিয়ার সুজন চেয়ারম্যান মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি, চিকিৎসককে গণধোলাই ছাত্রদল নেতাকে প্রাণনাশের হুমকি,জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সামরিক হামলায় বাংলাদেশের নিন্দা

কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসি কার্যকর

গাজীপুর প্রতিনিধি :

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে (পার্ট-৪) ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১০টায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দণ্ড কার্যকর করা হয়।

দণ্ড কার্যকর হওয়া কয়েদির নাম সাইফুল ইসলাম রফিক ওরফে সাইদুল ইসলাম রফিক (৫০)। তিনি বগুড়া সদর থানার মালতি নগর নামাপাড়া এলাকার মোজাম ফকিরের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।

তিনি জানান, রোববার রাত ১০টায় সাইফুল ইসলাম রফিক ওরফে সাইদুল ইসলাম রফিককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছেন জল্লাদ শাহজাহান ভুইয়া। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামান।

তিনি আরও জানান, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির,গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজুয়ান আহামেদ, ডা. কামরুন্নাহার, গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরীসহ অন্যরা।

রফিকের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে বগুড়ায় ডাকাতি ও ধর্ষণ করার অপরাধে মামলা হয়। এ মামলায় বিচারিক আদালত তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। পরে তিনি ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে প্রথমে আপিল ও পরে রিভিউ আবেদন করেন। আদালতে সেগুলো খারিজ হলে তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। পরে তার প্রাণভিক্ষার আবেদন না মঞ্জুর করা হয়। পরে কারাবিধি অনুযায়ী রোববার তার দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মরদেহ স্বজনদের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। রফিকের ভাই মো. রোকন ও মো. মেহেদী হাসান মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে রওনা হয়েছেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

শরীয়তপুরে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসি কার্যকর

আপডেট টাইম : ০৭:০১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

গাজীপুর প্রতিনিধি :

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে (পার্ট-৪) ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১০টায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দণ্ড কার্যকর করা হয়।

দণ্ড কার্যকর হওয়া কয়েদির নাম সাইফুল ইসলাম রফিক ওরফে সাইদুল ইসলাম রফিক (৫০)। তিনি বগুড়া সদর থানার মালতি নগর নামাপাড়া এলাকার মোজাম ফকিরের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।

তিনি জানান, রোববার রাত ১০টায় সাইফুল ইসলাম রফিক ওরফে সাইদুল ইসলাম রফিককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছেন জল্লাদ শাহজাহান ভুইয়া। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামান।

তিনি আরও জানান, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির,গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজুয়ান আহামেদ, ডা. কামরুন্নাহার, গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরীসহ অন্যরা।

রফিকের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে বগুড়ায় ডাকাতি ও ধর্ষণ করার অপরাধে মামলা হয়। এ মামলায় বিচারিক আদালত তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। পরে তিনি ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে প্রথমে আপিল ও পরে রিভিউ আবেদন করেন। আদালতে সেগুলো খারিজ হলে তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। পরে তার প্রাণভিক্ষার আবেদন না মঞ্জুর করা হয়। পরে কারাবিধি অনুযায়ী রোববার তার দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মরদেহ স্বজনদের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। রফিকের ভাই মো. রোকন ও মো. মেহেদী হাসান মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে রওনা হয়েছেন।