ঢাকা ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিরপুরের ফুটের দোকান ভাড়া পঁচিশ হাজার জামানত দশ লাখ!

মোঃ সোহেল রানা :
ঢাকা মিরপুর-১ নম্বর মেইন সড়ক ও ফুটপাথ গুলো বর্তমানে কিছু চাঁদাবাজ ও নেতাদের দখলে। ওই সকল ফুটপাত দখলের সহযোগী হিসাবে প্রশাসন ও স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলর এর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে একাধিক সুত্রে জানা যায়। মিরপুর ১ নম্বর রবিউল টাওয়ারের সামনে পায়ে হাটা ফুটপাত দখল করে দোকান বসিয়ে প্রতি মাসে ভাড়া নিচ্ছেন রবিউল টাওয়ারের মালিক রবিউল ইসলাম নিজেই। সুত্রে জানা যায়, রবিউল ইসলাম প্রতি মাসে ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা ভাড়া তোলেনআর অগ্রিম জামানত বাবদ প্রতি দোকান মালিক থেকে নিয়েছেন ৮ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট , মুক্তবাংলা মার্কেটর সামনে, বাগদাদ মার্কেটের সামনে এবং সনিহল স্কয়ার থেকে মাজার পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে কয়েক হাজার দোকান বসিয়ে ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে রেখেছে নামধারী কিছু নেতা। অবৈধভাবে রাস্তায় বসানো দোকান গুলোতে আলো জ্বালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ আর কিছু অসাধু চক্র প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা। এছাড়া প্রতি দোকান থেকে একজন ব্যবসায়ীকে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হয় ৩০০শত টাকা মাসে ৯ হাজার টাকা। দিন দিন ফুটপাত দখলে রাজনৈতিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির হার বেড়েই চলছে। প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের ভুমিকা কঠোর না হলে ভবিষ্যতে হয়তো ফুটপাত বলে আর ঢাকার শহরে কিছুই থাকবে না। কারণ ফুটপাত দখলকারী চাঁদাবাজরা রাজনৈতিক পরিচয়ে অনেক শক্তিশালী তাই প্রশাসন ও নিরব। বর্তমানে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ফুটপাত দখলমুক্ত, মেইন রোডে রাত ৭টার পরে বিভিন্ন কোম্পানির পরিবহন পার্কিং ও রাস্তায় বাজার বসানোর বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে পথচারি ও যানবাহন চলাচলের দুর্ভোগের শেষ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সুশীল সমাজর। ভাষানটেক বাজার, চিড়িয়াখানা রোড, মিরপুর ১০ হইতে মাজার রোড, মিরপুর ১ হইতে টেকনিক্যাল রাস্তার উপরে দুই সাইডে প্রতিদিন বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির গাড়ী অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখে। উল্লেখ্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল —০২ মিরপুর এর আওতাধীন সনি হল থেকে চিড়িয়াখানা পর্যন্ত সড়কে অবৈধভাবে রাত ৮টার পরে গাড়ী পার্কিং, সনি স্কয়ার থেকে মাজার রোড রাস্তার দুই পাশে ফুটপাথে অবৈধভাবে গড়ে উঠা কয়েক হাজার দোকান পাট বসিয়ে চলছে লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজি। তবে থানা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের কোন তৎপরতা নেই, মাঝে মধ্য চোর পুলিশের কিছু হাস্যকর খেলা দেখা যায়। যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলের রাস্তায় অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং, ফুটপাথে টং দোকান,ও ভাসমান দোকান বসানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার দ্বায়িত্বটা ট্রাফিক বিভাগের। সেই প্রশাসনের সামনেই চলছে ফুট বানিজ্য। ফুট অভিযোগ বিষয়ে জানার জন্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে গেলে উপসচিব মোঃ জিয়াউর রহমান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্চল—২ (মিরপুর ) প্রতিবেদক কে জানান ওই সব অভিযোগের বিষয়ে আমি লিখিত অভিযোগ করেছি উপ—পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মিরপুর ট্রাফিক বিভাগ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ( ডিএমপি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওয়ার্ড কাউনিসলর সহ বিভিন্ন দপ্তরে। কিন্তু ওই সকল দপ্তর থেকে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখছি না। আমার একার পক্ষে সম্ভব নয় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে তাহলে নিশ্চিত সুন্দর একটা বাস যোগ্য যানজট মুক্ত শহর উপহার দেওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন সিটি করপোরেশন অঞ্চল —২ এর পক্ষ থেকে কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে অতি তাড়াতাড়ি সবার সহযোগিতায় মিরপুর এলাকার ফুটপাথও রাস্তা দখল থেকে উচ্ছেদ করে দখলমুক্ত করা হবে ইনশাআল্লাহ। চলমান………..

ট্যাগস

মিরপুরের ফুটের দোকান ভাড়া পঁচিশ হাজার জামানত দশ লাখ!

আপডেট টাইম : ০৫:৫৪:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩

মোঃ সোহেল রানা :
ঢাকা মিরপুর-১ নম্বর মেইন সড়ক ও ফুটপাথ গুলো বর্তমানে কিছু চাঁদাবাজ ও নেতাদের দখলে। ওই সকল ফুটপাত দখলের সহযোগী হিসাবে প্রশাসন ও স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলর এর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে একাধিক সুত্রে জানা যায়। মিরপুর ১ নম্বর রবিউল টাওয়ারের সামনে পায়ে হাটা ফুটপাত দখল করে দোকান বসিয়ে প্রতি মাসে ভাড়া নিচ্ছেন রবিউল টাওয়ারের মালিক রবিউল ইসলাম নিজেই। সুত্রে জানা যায়, রবিউল ইসলাম প্রতি মাসে ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা ভাড়া তোলেনআর অগ্রিম জামানত বাবদ প্রতি দোকান মালিক থেকে নিয়েছেন ৮ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট , মুক্তবাংলা মার্কেটর সামনে, বাগদাদ মার্কেটের সামনে এবং সনিহল স্কয়ার থেকে মাজার পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে কয়েক হাজার দোকান বসিয়ে ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে রেখেছে নামধারী কিছু নেতা। অবৈধভাবে রাস্তায় বসানো দোকান গুলোতে আলো জ্বালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ আর কিছু অসাধু চক্র প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা। এছাড়া প্রতি দোকান থেকে একজন ব্যবসায়ীকে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হয় ৩০০শত টাকা মাসে ৯ হাজার টাকা। দিন দিন ফুটপাত দখলে রাজনৈতিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির হার বেড়েই চলছে। প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের ভুমিকা কঠোর না হলে ভবিষ্যতে হয়তো ফুটপাত বলে আর ঢাকার শহরে কিছুই থাকবে না। কারণ ফুটপাত দখলকারী চাঁদাবাজরা রাজনৈতিক পরিচয়ে অনেক শক্তিশালী তাই প্রশাসন ও নিরব। বর্তমানে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ফুটপাত দখলমুক্ত, মেইন রোডে রাত ৭টার পরে বিভিন্ন কোম্পানির পরিবহন পার্কিং ও রাস্তায় বাজার বসানোর বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে পথচারি ও যানবাহন চলাচলের দুর্ভোগের শেষ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সুশীল সমাজর। ভাষানটেক বাজার, চিড়িয়াখানা রোড, মিরপুর ১০ হইতে মাজার রোড, মিরপুর ১ হইতে টেকনিক্যাল রাস্তার উপরে দুই সাইডে প্রতিদিন বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির গাড়ী অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখে। উল্লেখ্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল —০২ মিরপুর এর আওতাধীন সনি হল থেকে চিড়িয়াখানা পর্যন্ত সড়কে অবৈধভাবে রাত ৮টার পরে গাড়ী পার্কিং, সনি স্কয়ার থেকে মাজার রোড রাস্তার দুই পাশে ফুটপাথে অবৈধভাবে গড়ে উঠা কয়েক হাজার দোকান পাট বসিয়ে চলছে লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজি। তবে থানা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের কোন তৎপরতা নেই, মাঝে মধ্য চোর পুলিশের কিছু হাস্যকর খেলা দেখা যায়। যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলের রাস্তায় অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং, ফুটপাথে টং দোকান,ও ভাসমান দোকান বসানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার দ্বায়িত্বটা ট্রাফিক বিভাগের। সেই প্রশাসনের সামনেই চলছে ফুট বানিজ্য। ফুট অভিযোগ বিষয়ে জানার জন্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে গেলে উপসচিব মোঃ জিয়াউর রহমান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্চল—২ (মিরপুর ) প্রতিবেদক কে জানান ওই সব অভিযোগের বিষয়ে আমি লিখিত অভিযোগ করেছি উপ—পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মিরপুর ট্রাফিক বিভাগ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ( ডিএমপি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওয়ার্ড কাউনিসলর সহ বিভিন্ন দপ্তরে। কিন্তু ওই সকল দপ্তর থেকে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখছি না। আমার একার পক্ষে সম্ভব নয় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে তাহলে নিশ্চিত সুন্দর একটা বাস যোগ্য যানজট মুক্ত শহর উপহার দেওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন সিটি করপোরেশন অঞ্চল —২ এর পক্ষ থেকে কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে অতি তাড়াতাড়ি সবার সহযোগিতায় মিরপুর এলাকার ফুটপাথও রাস্তা দখল থেকে উচ্ছেদ করে দখলমুক্ত করা হবে ইনশাআল্লাহ। চলমান………..