ঢাকা ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজীপুরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত আমার সন্তান ভয়ে বাড়িতে আসতে পারেনা, বিচার চাই গাজীপুরে কুরআন অপমানকারী শুভ সরকারের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টার সাথে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ সরকারি নথি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে: ভূমি উপদেষ্টা সিরাজদিখানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল মুন্সীগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সাবেক নেত্রীবৃন্দের স্বরণে দোয়া ও আলোচনা সভা টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন গাজীপুরে চাঁদার দাবিতে বাড়ি ঘর ভাংচুরের অভিযোগ গোপালগঞ্জের হালিমের কথায় চলছে নন্দী পাড়া ভুমি অফিস

বিআইডব্লিউটিএতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি নিয়োগে পান্না সিন্ডিকেটের মহা বাণিজ্য!

স্টাফ রিপোর্টার :
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের পান্না বিশ^াস। যিনি নিজেকে প্রধান মন্ত্রীর একান্ত লোক দাবী করে বিআইডব্লিউটিএতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন। প্রভাব খাঁটিয়ে নিজ এলাকা মুকসুদপুরের ৪ জন প্রার্থীকে চাকুরী দিয়েছেন যাদের সবাই হিন্দু। এই ৪ প্রার্থীর কাছ থেকে তিনি ৫০ লক্ষ টাকা ঘুস নিয়েছেন মর্মে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে গুঞ্জন চলছে। এ ছাড়া পান্না অফিস ডিউটি না করে সব সময় নেতাগিরি করে বেড়ান বলে অভিযোগ রয়েছে। পান্না সময় অসময়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্মচারিদের গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করেন না। এই পান্নার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী একটি নিয়োগ সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে ২ শতাধিক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি নিয়োগে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
৬৪ টি জেলার মধ্যে শুধুমাত্র টাংগাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর এবং সিরাজগঞ্জ জেলায় ৮০% বিএনপি —জামায়াত শিবিরের কর্মীদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় গ্রীজার সহ সকল পদে নিয়োগপ্রাপ্ত দের স্বহস্তে লিখিত পরীক্ষা না নিয়ে তাদের পক্ষে ঢাকা সহ দেশের স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দিয়ে প্রক্সি পরীক্ষা নিয়ে প্রতিজন নিয়োগপ্রাপ্ত চাকুরীজীবিদের নিকট হতে ১৫/২০ লক্ষ টাকা ঘুস নিয়ে প্রায় ৩০ কোটি কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করা হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্তদের লিখিত পরিক্ষার খাতা দুনীর্তি দমন কমিশন, ডিজিএফআই, এনএসআই এর মাধ্যমে যাচাই বাছাই ও পরীক্ষা—নীরিক্ষা করলেই এই মহা দুর্নীতির প্রমান পাওয়া যাবে। এই সিন্ডিকেটের প্রধান কাজ অফিসের রুটিন মাফিক ডিউটি না করে বছরের পর বছর ধরে সমগ্র বিআইডব্লিউটিএতে নিরীহ কর্মকর্তা,কর্মচারীদের হয়রানি মূলক বদলী,অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য করা। সরকারি বিভিন্ন প্রোগ্রামে আওয়ামী লীগের নৌ মন্ত্রী, টাঙ্গাইলের কৃষিমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিজ্ঞান প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক, প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, নৌ সচিব ও সংসদ সদস্যের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করা এদের নিত্য নৈমিত্তিক কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদের ভয়ে বিআইডব্লিউটিএর সাধারন কর্মচারী —কর্মকর্তাদের দিন কোন রকম কাটলেও রাতকাটে নির্ঘুমে। তারা সবসময় হয়রানিমূলক বদলী আতংকে থাকেন। বর্নিত দুনীর্তিবাজরা সরকারের শত শত কোটি টাকা তছরুপ করলেও দুর্নিতি দমন কমিশন এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ সব দুনীর্তিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, দুনীর্তি দমন কমিশনসহ সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ পদক্ষেপ ও দুর্নীতিবাজদের শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য বিআইডব্লিউটিএর সাধারন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপ কামনা করছেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত

বিআইডব্লিউটিএতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি নিয়োগে পান্না সিন্ডিকেটের মহা বাণিজ্য!

আপডেট টাইম : ০৪:৪৯:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার :
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের পান্না বিশ^াস। যিনি নিজেকে প্রধান মন্ত্রীর একান্ত লোক দাবী করে বিআইডব্লিউটিএতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন। প্রভাব খাঁটিয়ে নিজ এলাকা মুকসুদপুরের ৪ জন প্রার্থীকে চাকুরী দিয়েছেন যাদের সবাই হিন্দু। এই ৪ প্রার্থীর কাছ থেকে তিনি ৫০ লক্ষ টাকা ঘুস নিয়েছেন মর্মে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে গুঞ্জন চলছে। এ ছাড়া পান্না অফিস ডিউটি না করে সব সময় নেতাগিরি করে বেড়ান বলে অভিযোগ রয়েছে। পান্না সময় অসময়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্মচারিদের গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করেন না। এই পান্নার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী একটি নিয়োগ সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে ২ শতাধিক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি নিয়োগে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
৬৪ টি জেলার মধ্যে শুধুমাত্র টাংগাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর এবং সিরাজগঞ্জ জেলায় ৮০% বিএনপি —জামায়াত শিবিরের কর্মীদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় গ্রীজার সহ সকল পদে নিয়োগপ্রাপ্ত দের স্বহস্তে লিখিত পরীক্ষা না নিয়ে তাদের পক্ষে ঢাকা সহ দেশের স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দিয়ে প্রক্সি পরীক্ষা নিয়ে প্রতিজন নিয়োগপ্রাপ্ত চাকুরীজীবিদের নিকট হতে ১৫/২০ লক্ষ টাকা ঘুস নিয়ে প্রায় ৩০ কোটি কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করা হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্তদের লিখিত পরিক্ষার খাতা দুনীর্তি দমন কমিশন, ডিজিএফআই, এনএসআই এর মাধ্যমে যাচাই বাছাই ও পরীক্ষা—নীরিক্ষা করলেই এই মহা দুর্নীতির প্রমান পাওয়া যাবে। এই সিন্ডিকেটের প্রধান কাজ অফিসের রুটিন মাফিক ডিউটি না করে বছরের পর বছর ধরে সমগ্র বিআইডব্লিউটিএতে নিরীহ কর্মকর্তা,কর্মচারীদের হয়রানি মূলক বদলী,অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য করা। সরকারি বিভিন্ন প্রোগ্রামে আওয়ামী লীগের নৌ মন্ত্রী, টাঙ্গাইলের কৃষিমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিজ্ঞান প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক, প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, নৌ সচিব ও সংসদ সদস্যের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করা এদের নিত্য নৈমিত্তিক কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদের ভয়ে বিআইডব্লিউটিএর সাধারন কর্মচারী —কর্মকর্তাদের দিন কোন রকম কাটলেও রাতকাটে নির্ঘুমে। তারা সবসময় হয়রানিমূলক বদলী আতংকে থাকেন। বর্নিত দুনীর্তিবাজরা সরকারের শত শত কোটি টাকা তছরুপ করলেও দুর্নিতি দমন কমিশন এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ সব দুনীর্তিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, দুনীর্তি দমন কমিশনসহ সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ পদক্ষেপ ও দুর্নীতিবাজদের শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য বিআইডব্লিউটিএর সাধারন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপ কামনা করছেন।