ঢাকা ১০:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪, ৮ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ সিরাজদিখানে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার সাংবাদিক রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির কক্ষে মিলল পিস্তল, সম্পাদকের কক্ষে ফেন্সিডিল আবু সাঈদের ধারণা ছিলো পুলিশ আমাকে গুলি করবে না মীরপুর গার্লস আইডিয়াল স্কুল থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট ভাঙ্গায় চেয়ারম্যান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত  যমুনার পানিতে কালিহাতীতে ৩০ হাজার পানিবন্দি মানুষ, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত পদ্মায় অবৈধ বালি উত্তোলনে নদীগর্ভে বিলিন ১০টি বাড়িঘর, হুমকিতে শহর রক্ষা বাঁধ স্পীকারের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ সিরাজদিখানে পুলিশের হামলার আহত সাংবাদিক সালমানকে দেখতে গেলেন ওসি

চুয়াডাঙ্গায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ!

নিজস্ব প্রতিনিধি :
চুয়াডাঙ্গা জেলা আলমডাঙ্গা থানার ঘোলদাড়ি বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। সুত্রে জানা যায় চাকুরী থেকে অব্যাহত নেওয়ার পর মৃত ব্যাক্তি আঃ রাজ্জাক চৌধুরীর সই জাল করে বিদ্যালয়ের সংরক্ষিত তহবিলের অর্থ হাতি নিতেও দিধাবোধ করেন নাই আনোয়ার মাষ্টার। ৩০/১১/২০২০ইং তারিখে রাজ্জাক চৌধুরী মারা গেলে ও ১/১২/২০২০/ইং তারিখে মৃত ব্যাক্তিকে জিবীত দেখিয়ে ৬২,৬৫৪ টাকা উত্তোলন করেন এবং ওই অর্থ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। এছাড়া ও সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। তথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সাবেক প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের থলের বিড়াল।

অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে গত ১৪/০৯/২১তারিখে ম্যানেজিং কমিটির সমাপ্তকৃত রেজুলেশনের ফাকা জায়গায় অনৈতিক ভাবে হীনস্বার্থ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্থ আত্মসাত জালিয়াতি ন্যাক্কার জনক ঘটনার তথ্য মিলে। একজন প্রধান শিক্ষক হিসাবে কেন করেছেন জানতে চেয়ে নোটিশ প্রদান করে বিদ্যালয়ের কমিটির সভাপতি মোঃ আইজদ্দিন। নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব হস্তান্তর প্রক্রিয়া (ফাইনালসিয়াল রুলস্) ৬২/৬৩ যদি বিদায়ী কোন ব্যাক্তি বিদায়ী প্রতিষ্ঠান চার্জ বুঝিয়ে না দিয়ে চলে যান ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচালনা কমিটি একটি নিরপেক্ষ কমিটি করিয়া সম্পদের ফিরিস্তি তৈরি করিয়া অসঙ্গতি ধরা পড়িলে তাহা লিপিবদ্ধ করিয়া দিবেন। প্রধান কতৃক কোন প্রকার অর্থ আত্মসাত অবৈধ কার্যকলাপ কমিটির দৃষ্টি গোচর হয় দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ওই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ফোজদারি/দেওয়ানী মামলা করার যথাযথ ব্যাবস্থা নিবেন।

নিয়ম অনুযায়ী সাবেক সভাপতি মোঃ আইজদ্দীন আইন অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আমলী আদালতে একটি মামলা দায়েরকরেন সি.আর-৪৩৮/২০২২ ধারা ৪০৬/৪২০/৪৬৫/৪৬৭/ দন্ড বিধি এবং দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ৩৪৫/২১।তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় সাবেক প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন একজন প্রতারক জালিয়াতি প্রকৃতির অর্থ লোভী। স্বার্থের জন্য প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ১৯৮৫ সালে চুয়াডাঙ্গা ডিসির সই জালিয়াতি করেছিলেন যার প্রত্যক্ষ সাক্ষী বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান। এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানান আনোয়ার হোসেন একজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সে নিজের প্রয়োজনে অবৈধভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তারিখে প্রায় (২০.৫৭.৮৫৪) বিশ লাখ সাতান্নো হাজার আটশত চোয়ান্নো টাকা লেনদেন করেছেন। এবং সেই টাকার কোন বৈধ হিসাব দিতে পারে নাই। একজন প্রধান শিক্ষক এর নিকট থেকে আমাদের সন্তানকে কি চুরি ও জালিয়াতি শিখতে হবে। আমাদের এলাকার বাসিন্দাদের দাবী বিষয়টি আইনের মাধ্যমে তদন্ত করে দোষী ব্যাক্তিদের সঠিক বিচার হওয়া দরকার। যেখানে আমাদের ছেলে মেয়েদের আগামীর ভবিষ্যত গঠন হবে আর সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক যদি এমন হয় তাহলে ভবিষ্যতে শিক্ষা ব্যাবস্থা ধংস হয়ে যাবে।সঠিক তথ্য জানার জন্য সাবেক প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা এমপি সাহেব জানেন ।

তবে বিষয়টি মিথ্যা হলে কেন আনোয়ার হোসেন ঘোলদাড়ী বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কমিটির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা প্রসঙ্গে লিখিত আবেদন করেছিলেন গত ১০/০৪/২২/ইং তারিখে এবং সেই আবেদনে সাবেক প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন লিখে ছিলেন আমি ও আমার দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকর্মিদের অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারণে জমা খরচ বিল ভাউচার সংরক্ষণ করিতে পারি নাই।তাই বিভিন্ন অনিয়মে কাজ করার জন্য আমাকে ক্ষমা করা হোক। তিনি নিজেই বলেছেন সব মিথ্যা তাহলে কেন লিখিত ভাবে আবার ক্ষমার জন্য আবেদন করলেন ? জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন সঠিক কোন জবাব দিতে না পেরে মোবাইল ফোন কেটে দেন। নিশ্চয় মনে হচ্ছে শষ্যর মধ্যই ভুত। ঘোলদাড়ী বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাত, নিয়োগ বানিজ্য, অনিয়ম বিষয়ে আইলহাঁস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ মোঃ আব্দুল মালেক বলেন ঘটনা সব সত্য কিছু অসাধু ব্যাক্তির কারণে বিদ্যালয়ের অবস্থা খুবই নড়বড়ে এবং শিক্ষা ব্যাবস্থা খুবই খারাপ তার মুল কারণ সাবেক প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন। তিনি আরো বলেন একজন প্রধান শিক্ষককের এই কার্যকলাপ কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না আমার যদি কোন সহযোগিতা লাগে বলবেন আমি বিদ্যালয়ের যেকোনো ভালো কাজের জন্য আছি। তিনি আরো বলেন রাষ্ট্রের মুল অবকাঠামো শিক্ষা আর সেই শিক্ষাকে পুজিঁ কর কিছু লোক নিজেদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে তাই তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের সঠিক বিচার হওয়া দরকার। সত্য উদঘাটনের জন্য অনুসন্ধানী টিম যোগাযোগ করেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব মশিউর রহমানের সাথে। তিনি প্রতিবেদক কে বলে সাবেক প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে সরকারি ও বেসরকারী অর্থ লেনদেনের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা সত্য। অগ্রণী ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে ক্যাশে জমা না করে সেই টাকা কি করেছেন তার কোন সঠিক হিসাব বা বিলের ভাউচার দেখাতে পারে নাই। এছাড়াও বিভিন্ন রেজুলেশন ফান্ডের টাকার ও লেনদেনের ভাউচার দেখাতে সাবেক প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ব্যার্থ হয়েছিল।তিনি আরো জানান সর্ব শেষ বিদ্যালয় কমিটির অনুমতি ক্রমে মামলা হয়েছে। তথ্য প্রমাণের ভিত্তি তে ( ৫,১১,২০০) পাঁচ লাখ এগারো হাজার দুই শত টাকা, এছাড়াও বিভিন্ন তারিখে রেজুলেশনের মাধ্যমে প্রায় সর্বোমোট ১৪ লাখ, এবং সংরক্ষিত তহবিল থেকে (৬২,৬৫৪) বাষোট্টি হাজার ছয়শত চোয়ান্নো টাকা,সব মিলিয়ে প্রায় ২০,৫৭,৮৫৪ টাকার সঠিকভাবে আয় ব্যায় কোন ভাউচার বিলের কপি দেখাতে ব্যার্থ হয় আনোয়ার হোসেন।

বর্তমানে আমাদের ঘোলদাড়ী বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি অর্থনৈতিক ভাবে খুবই দুরবস্থা রয়েছে ,সেই ক্ষেত্রে সবার সম্মতি ক্রমে আত্মসাত কৃত টাকা উদ্ধার করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য খুবই জরুরি। সরকারি অর্থ আত্মসাত বিদ্যালয়ের সংরক্ষিত তহবিল থেকে টাকা উত্তোলন সহ একাধিক অভিযোগ বিষয়ে জানার জন্য আলমডাঙ্গা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ঘোলদাড়ি বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সরকারি অর্থ আত্মসাত সংরক্ষিত তহবিলের টাকা জালিয়াতি এই সব বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না তবে বতর্মান কমিটি অথবা প্রধান শিক্ষক তথ্য প্রমাণ সহ লিখিত অভিযোগ করলে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন বলে প্রতিবেদকে জানান। এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলের জোর দাবী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টিকে বাঁচাতে শিক্ষক নামধারী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ তদন্ত করে সঠিক বিচার হওয়া দরকার। সেই সাথে শিক্ষা অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে স্থানীয়দের অনুরোধ বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে এই জঘন্যতম,অপরাধ,জালিয়াতকারী ও দুর্নীতিবাজের দৃষ্টান্ত শাস্তি যেন হয় এটাই প্রত্যাশা। চলমান………..

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ

চুয়াডাঙ্গায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ!

আপডেট টাইম : ০৩:০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি :
চুয়াডাঙ্গা জেলা আলমডাঙ্গা থানার ঘোলদাড়ি বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। সুত্রে জানা যায় চাকুরী থেকে অব্যাহত নেওয়ার পর মৃত ব্যাক্তি আঃ রাজ্জাক চৌধুরীর সই জাল করে বিদ্যালয়ের সংরক্ষিত তহবিলের অর্থ হাতি নিতেও দিধাবোধ করেন নাই আনোয়ার মাষ্টার। ৩০/১১/২০২০ইং তারিখে রাজ্জাক চৌধুরী মারা গেলে ও ১/১২/২০২০/ইং তারিখে মৃত ব্যাক্তিকে জিবীত দেখিয়ে ৬২,৬৫৪ টাকা উত্তোলন করেন এবং ওই অর্থ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। এছাড়া ও সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। তথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সাবেক প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের থলের বিড়াল।

অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে গত ১৪/০৯/২১তারিখে ম্যানেজিং কমিটির সমাপ্তকৃত রেজুলেশনের ফাকা জায়গায় অনৈতিক ভাবে হীনস্বার্থ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্থ আত্মসাত জালিয়াতি ন্যাক্কার জনক ঘটনার তথ্য মিলে। একজন প্রধান শিক্ষক হিসাবে কেন করেছেন জানতে চেয়ে নোটিশ প্রদান করে বিদ্যালয়ের কমিটির সভাপতি মোঃ আইজদ্দিন। নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব হস্তান্তর প্রক্রিয়া (ফাইনালসিয়াল রুলস্) ৬২/৬৩ যদি বিদায়ী কোন ব্যাক্তি বিদায়ী প্রতিষ্ঠান চার্জ বুঝিয়ে না দিয়ে চলে যান ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচালনা কমিটি একটি নিরপেক্ষ কমিটি করিয়া সম্পদের ফিরিস্তি তৈরি করিয়া অসঙ্গতি ধরা পড়িলে তাহা লিপিবদ্ধ করিয়া দিবেন। প্রধান কতৃক কোন প্রকার অর্থ আত্মসাত অবৈধ কার্যকলাপ কমিটির দৃষ্টি গোচর হয় দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ওই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ফোজদারি/দেওয়ানী মামলা করার যথাযথ ব্যাবস্থা নিবেন।

নিয়ম অনুযায়ী সাবেক সভাপতি মোঃ আইজদ্দীন আইন অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আমলী আদালতে একটি মামলা দায়েরকরেন সি.আর-৪৩৮/২০২২ ধারা ৪০৬/৪২০/৪৬৫/৪৬৭/ দন্ড বিধি এবং দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ৩৪৫/২১।তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় সাবেক প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন একজন প্রতারক জালিয়াতি প্রকৃতির অর্থ লোভী। স্বার্থের জন্য প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ১৯৮৫ সালে চুয়াডাঙ্গা ডিসির সই জালিয়াতি করেছিলেন যার প্রত্যক্ষ সাক্ষী বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান। এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানান আনোয়ার হোসেন একজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সে নিজের প্রয়োজনে অবৈধভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তারিখে প্রায় (২০.৫৭.৮৫৪) বিশ লাখ সাতান্নো হাজার আটশত চোয়ান্নো টাকা লেনদেন করেছেন। এবং সেই টাকার কোন বৈধ হিসাব দিতে পারে নাই। একজন প্রধান শিক্ষক এর নিকট থেকে আমাদের সন্তানকে কি চুরি ও জালিয়াতি শিখতে হবে। আমাদের এলাকার বাসিন্দাদের দাবী বিষয়টি আইনের মাধ্যমে তদন্ত করে দোষী ব্যাক্তিদের সঠিক বিচার হওয়া দরকার। যেখানে আমাদের ছেলে মেয়েদের আগামীর ভবিষ্যত গঠন হবে আর সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক যদি এমন হয় তাহলে ভবিষ্যতে শিক্ষা ব্যাবস্থা ধংস হয়ে যাবে।সঠিক তথ্য জানার জন্য সাবেক প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা এমপি সাহেব জানেন ।

তবে বিষয়টি মিথ্যা হলে কেন আনোয়ার হোসেন ঘোলদাড়ী বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কমিটির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা প্রসঙ্গে লিখিত আবেদন করেছিলেন গত ১০/০৪/২২/ইং তারিখে এবং সেই আবেদনে সাবেক প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন লিখে ছিলেন আমি ও আমার দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকর্মিদের অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারণে জমা খরচ বিল ভাউচার সংরক্ষণ করিতে পারি নাই।তাই বিভিন্ন অনিয়মে কাজ করার জন্য আমাকে ক্ষমা করা হোক। তিনি নিজেই বলেছেন সব মিথ্যা তাহলে কেন লিখিত ভাবে আবার ক্ষমার জন্য আবেদন করলেন ? জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন সঠিক কোন জবাব দিতে না পেরে মোবাইল ফোন কেটে দেন। নিশ্চয় মনে হচ্ছে শষ্যর মধ্যই ভুত। ঘোলদাড়ী বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাত, নিয়োগ বানিজ্য, অনিয়ম বিষয়ে আইলহাঁস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ মোঃ আব্দুল মালেক বলেন ঘটনা সব সত্য কিছু অসাধু ব্যাক্তির কারণে বিদ্যালয়ের অবস্থা খুবই নড়বড়ে এবং শিক্ষা ব্যাবস্থা খুবই খারাপ তার মুল কারণ সাবেক প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন। তিনি আরো বলেন একজন প্রধান শিক্ষককের এই কার্যকলাপ কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না আমার যদি কোন সহযোগিতা লাগে বলবেন আমি বিদ্যালয়ের যেকোনো ভালো কাজের জন্য আছি। তিনি আরো বলেন রাষ্ট্রের মুল অবকাঠামো শিক্ষা আর সেই শিক্ষাকে পুজিঁ কর কিছু লোক নিজেদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে তাই তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের সঠিক বিচার হওয়া দরকার। সত্য উদঘাটনের জন্য অনুসন্ধানী টিম যোগাযোগ করেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব মশিউর রহমানের সাথে। তিনি প্রতিবেদক কে বলে সাবেক প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে সরকারি ও বেসরকারী অর্থ লেনদেনের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা সত্য। অগ্রণী ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে ক্যাশে জমা না করে সেই টাকা কি করেছেন তার কোন সঠিক হিসাব বা বিলের ভাউচার দেখাতে পারে নাই। এছাড়াও বিভিন্ন রেজুলেশন ফান্ডের টাকার ও লেনদেনের ভাউচার দেখাতে সাবেক প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ব্যার্থ হয়েছিল।তিনি আরো জানান সর্ব শেষ বিদ্যালয় কমিটির অনুমতি ক্রমে মামলা হয়েছে। তথ্য প্রমাণের ভিত্তি তে ( ৫,১১,২০০) পাঁচ লাখ এগারো হাজার দুই শত টাকা, এছাড়াও বিভিন্ন তারিখে রেজুলেশনের মাধ্যমে প্রায় সর্বোমোট ১৪ লাখ, এবং সংরক্ষিত তহবিল থেকে (৬২,৬৫৪) বাষোট্টি হাজার ছয়শত চোয়ান্নো টাকা,সব মিলিয়ে প্রায় ২০,৫৭,৮৫৪ টাকার সঠিকভাবে আয় ব্যায় কোন ভাউচার বিলের কপি দেখাতে ব্যার্থ হয় আনোয়ার হোসেন।

বর্তমানে আমাদের ঘোলদাড়ী বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি অর্থনৈতিক ভাবে খুবই দুরবস্থা রয়েছে ,সেই ক্ষেত্রে সবার সম্মতি ক্রমে আত্মসাত কৃত টাকা উদ্ধার করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য খুবই জরুরি। সরকারি অর্থ আত্মসাত বিদ্যালয়ের সংরক্ষিত তহবিল থেকে টাকা উত্তোলন সহ একাধিক অভিযোগ বিষয়ে জানার জন্য আলমডাঙ্গা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ঘোলদাড়ি বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সরকারি অর্থ আত্মসাত সংরক্ষিত তহবিলের টাকা জালিয়াতি এই সব বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না তবে বতর্মান কমিটি অথবা প্রধান শিক্ষক তথ্য প্রমাণ সহ লিখিত অভিযোগ করলে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন বলে প্রতিবেদকে জানান। এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলের জোর দাবী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টিকে বাঁচাতে শিক্ষক নামধারী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ তদন্ত করে সঠিক বিচার হওয়া দরকার। সেই সাথে শিক্ষা অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে স্থানীয়দের অনুরোধ বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে এই জঘন্যতম,অপরাধ,জালিয়াতকারী ও দুর্নীতিবাজের দৃষ্টান্ত শাস্তি যেন হয় এটাই প্রত্যাশা। চলমান………..