ঢাকা ০২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বড় প্রতিবন্ধকতা আরাকান আর্মি- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে রফতানি হলো ২৭৩ মেট্রিক টন আলু পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে তৈরি বস্ত্রের প্রসারে কাজ করতে হবে-উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান শেওড়াপাড়ায় চাপাতি ঠেকিয়ে ছিনতাইয়ের ভিডিও ভাইরাল, একজন গ্রেপ্তার মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার কাফনের কাপড় বেঁধে গণমিছিলে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা আমিনুল হকের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এনসিপি অপপ্রচার করছে- বিএনপি শাহআলীতে পূর্বশক্রতার জের ধরে মারামারির ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের মাঝে গরু বিতরণ জয়পুরহাটে পর্নোগ্রাফি মামলায় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে গ্রেফতার

সাতক্ষীরার সার্ভেয়ার রফিকুলের খুঁটির জোর কোথায়? (পর্ব-১)

শেখ রেজাউল ইসলাম বাবলু :
বার বার অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত হলেও বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা এলজিইডি অফিসের সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম। অনিয়ম দুর্নীতির শাস্তি না হওয়ায় দিনের পর দিন অপকর্ম করে বহাল তবিয়তে আছে সাতক্ষীরায়। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদরের পি.ই.ডি.পি-৪ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ শুরু হয়। যার মধ্যে বেশ কিছু ভবন নির্মানের কাজ ইতোমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ স্কুলের ভবন নির্মাণ ও সংষ্কারে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। যার প্রত্যেকটির কাজের ঠিকাদারের সাথে অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায় সদর উপজেলা এলজিইডি অফিসের সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এভাবে এখনো কাজ এগোচ্ছে এই প্রকল্পের বাকি ৫/৭টি স্কুলের নির্মান কাজ। এ প্রকল্পের স্কুল গুলোর মধ্যে বাঁকাল বাজুয়ারডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নকশা পরিবর্তন করে বেজমেন্ট ঢালাইসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এঘটনায় বিদ্যালয়ের অভিভাবকসহ এলাকাবাসী প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের ১৮ ও ১৯ তারিখের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ইতোপূর্বেই এলজিইইডি’র প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে ২০২১ সালের ১৩ জুন তৎকালীন তালা উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে কর্মরত সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলামের ঘুষ গ্রহণ, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দেয়। প্রধান প্রকৌশলীর চিঠি পেয়ে একই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর তারিখ সকাল ১১টায় তালা উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে তদন্তকার্য অনুষ্ঠিত হয়। তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকে নামমাত্র শাস্তি হিসেবে বদলি করা হয় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে। এখানেও একের পর এক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও আমলে নিচ্ছেনা সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে আরও একটি অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। যার তদন্তকার্যও শেষ হয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও বরাবরই অদৃশ্য ক্ষমতাপুষ্ট সার্ভেয়ার রফিকুল রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা এলজিইডি অফিসের সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম জানান, ‘আমি যে সকল প্রকল্পের কাজ করেছি সেখানে অনিয়ম দুর্নীতির কোন প্রমান নেই।’ তবে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তের কথা স্বীকার করেন। চলবে………..

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বড় প্রতিবন্ধকতা আরাকান আর্মি- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাতক্ষীরার সার্ভেয়ার রফিকুলের খুঁটির জোর কোথায়? (পর্ব-১)

আপডেট টাইম : ০১:৪৩:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

শেখ রেজাউল ইসলাম বাবলু :
বার বার অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত হলেও বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা এলজিইডি অফিসের সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম। অনিয়ম দুর্নীতির শাস্তি না হওয়ায় দিনের পর দিন অপকর্ম করে বহাল তবিয়তে আছে সাতক্ষীরায়। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদরের পি.ই.ডি.পি-৪ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ শুরু হয়। যার মধ্যে বেশ কিছু ভবন নির্মানের কাজ ইতোমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ স্কুলের ভবন নির্মাণ ও সংষ্কারে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। যার প্রত্যেকটির কাজের ঠিকাদারের সাথে অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায় সদর উপজেলা এলজিইডি অফিসের সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এভাবে এখনো কাজ এগোচ্ছে এই প্রকল্পের বাকি ৫/৭টি স্কুলের নির্মান কাজ। এ প্রকল্পের স্কুল গুলোর মধ্যে বাঁকাল বাজুয়ারডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নকশা পরিবর্তন করে বেজমেন্ট ঢালাইসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এঘটনায় বিদ্যালয়ের অভিভাবকসহ এলাকাবাসী প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের ১৮ ও ১৯ তারিখের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ইতোপূর্বেই এলজিইইডি’র প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে ২০২১ সালের ১৩ জুন তৎকালীন তালা উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে কর্মরত সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলামের ঘুষ গ্রহণ, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দেয়। প্রধান প্রকৌশলীর চিঠি পেয়ে একই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর তারিখ সকাল ১১টায় তালা উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে তদন্তকার্য অনুষ্ঠিত হয়। তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকে নামমাত্র শাস্তি হিসেবে বদলি করা হয় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে। এখানেও একের পর এক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও আমলে নিচ্ছেনা সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে আরও একটি অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। যার তদন্তকার্যও শেষ হয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও বরাবরই অদৃশ্য ক্ষমতাপুষ্ট সার্ভেয়ার রফিকুল রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা এলজিইডি অফিসের সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম জানান, ‘আমি যে সকল প্রকল্পের কাজ করেছি সেখানে অনিয়ম দুর্নীতির কোন প্রমান নেই।’ তবে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তের কথা স্বীকার করেন। চলবে………..