মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৫৩ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
১৬ ভিক্ষুক ভিক্ষা করতে ওমরা ভিসা নিয়ে যাচ্ছিলেন সৌদি আরব, বিমানবন্দরে আটক পেট্রোল পাম্প মালিকদের কমিশন ও পরিবহন ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন বেশি স্যাংশন দিলে আমরাও দিয়ে দেব: প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে ইসি শেখ হাসিনার জন্মদিন বিশেষ ভাবে পালন করলেন মনোনয়ন প্রত্যাশী—হাসিব আলম তালুকদার বিএনপি মাহুত ছাড়া পাগলা হাতিতে পরিনত হয়েছে—জাহাঙ্গীর কবির নানক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর শ্রীপুর কুছাইছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতভাগ ভালো কাজ হচ্ছে জানালেন এলাকাবাসী ত্রিশালে চরিত্রহীন শিক্ষককে মাদ্রাসায় ফিরিয়ে আনতে ইমামকে লাঞ্চিত করলো কমিটি! আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
সাতক্ষীরার সার্ভেয়ার রফিকুলের খুঁটির জোর কোথায়? (পর্ব-১)

সাতক্ষীরার সার্ভেয়ার রফিকুলের খুঁটির জোর কোথায়? (পর্ব-১)

শেখ রেজাউল ইসলাম বাবলু :
বার বার অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত হলেও বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা এলজিইডি অফিসের সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম। অনিয়ম দুর্নীতির শাস্তি না হওয়ায় দিনের পর দিন অপকর্ম করে বহাল তবিয়তে আছে সাতক্ষীরায়। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদরের পি.ই.ডি.পি-৪ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ শুরু হয়। যার মধ্যে বেশ কিছু ভবন নির্মানের কাজ ইতোমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ স্কুলের ভবন নির্মাণ ও সংষ্কারে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। যার প্রত্যেকটির কাজের ঠিকাদারের সাথে অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায় সদর উপজেলা এলজিইডি অফিসের সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এভাবে এখনো কাজ এগোচ্ছে এই প্রকল্পের বাকি ৫/৭টি স্কুলের নির্মান কাজ। এ প্রকল্পের স্কুল গুলোর মধ্যে বাঁকাল বাজুয়ারডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নকশা পরিবর্তন করে বেজমেন্ট ঢালাইসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এঘটনায় বিদ্যালয়ের অভিভাবকসহ এলাকাবাসী প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের ১৮ ও ১৯ তারিখের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ইতোপূর্বেই এলজিইইডি’র প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে ২০২১ সালের ১৩ জুন তৎকালীন তালা উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে কর্মরত সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলামের ঘুষ গ্রহণ, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দেয়। প্রধান প্রকৌশলীর চিঠি পেয়ে একই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর তারিখ সকাল ১১টায় তালা উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে তদন্তকার্য অনুষ্ঠিত হয়। তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকে নামমাত্র শাস্তি হিসেবে বদলি করা হয় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে। এখানেও একের পর এক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও আমলে নিচ্ছেনা সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে আরও একটি অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। যার তদন্তকার্যও শেষ হয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও বরাবরই অদৃশ্য ক্ষমতাপুষ্ট সার্ভেয়ার রফিকুল রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা এলজিইডি অফিসের সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম জানান, ‘আমি যে সকল প্রকল্পের কাজ করেছি সেখানে অনিয়ম দুর্নীতির কোন প্রমান নেই।’ তবে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তের কথা স্বীকার করেন। চলবে………..

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved 2018-2022 khoborbangladesh.com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com