ঢাকা ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফেসবুক পোস্টের জেরে নওগাঁয় কলেজ শিক্ষার্থীকে মারপিটের অভিযোগ তরুন প্রজন্মের চিন্তা চেতনাকে নিয়ে কাজ করতে হবে- আমিনুল হক জয়পুরহাটে ক্ষেতলালে নিখোঁজের ৯ দিন পর আলোচিত কাফির লাশ উদ্ধার সিরাজদিখানে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ঘরবাড়ি ভাংচুর ও হামলা: আহত-৫ আদমদীঘিতে প্রতারণা করে বোনদের সম্পত্তি লিখে নিল ভাই মিরপুর ইস্টার্ণ হাউজিং ডাইং ফ্যাক্টারিতে অবৈধ গ্যাস সংযোগের মহাউৎসব প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ায় গ্রেফতার বিতর্কিত নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলন- মাওলানা ইমতিয়াজ আলম রাজউককে জনবান্ধব করতে আইন ও বোর্ডের গঠন বদলাতে হবে- সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সিরাজদিখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা

রাজউকের  কর্মচারী ওয়াদুদ: স্ত্রীর নামে ঢাকায় গড়েছেন বহুতলা বাড়ী ও মার্কেট

বিশেষ প্রতিবেদক :
রাজউক আঞ্চলিক অফিস উত্তরায় কর্মরত অফিস সহকারী আব্দুল ওয়াদুদ, এখন রাজউক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ে দালালি করে সময় পাড় করছেন। নিজ কর্মস্থলে না থেকে সারাদিন রাজউক প্রধান কার্যালয়ে বহিরাগত দালালদের সাথে দালালি করতে দেখা গেছে। দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানে জানা গেছে রাজউক কর্মচারী আব্দুল ওয়াদুদ প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার মালিক এবং সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দুদকে একটি অভিযোগও জমা পড়েছে রাজউক সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু ওয়াদুদ এ বিষয়ে মোটেও তিনি চিন্তিত নয় কারন দুদকে তার হট লিংক রয়েছে, ওখান থেকে সে নিমিসেই ক্লিয়ারেন্স নিবেন এমটাই বলে বেড়ান রাজউক কর্মচারী মহলে এবং আরো বলেন টাকা দিলে সব পাওয়া যায় এদেশে। জানা যায় আব্দুল ওয়াদুদ স্ত্রী মেরিনার নামে ৫৫৩ নং পশ্চিম সানারপাড় দারুস সালাম মসজিদ রোড ডেমরায় ৪ কাঠার উপরে ৬ তালা ভবন নির্মাণ করেছেন। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫ কোটি টাকা। এই বাড়ির পাশেই রয়েছে ৫ কাঠার উপর একটি টিনসেট বাড়ি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩ কোটি টাকা। স্ত্রী মেরিনার নামে পশ্চিম সানারপাড় চৌরাস্তায় মোড়ে দুই পাশে ২টি মার্কেট আনুমানিক বাজার মূল্য ২০ কোটি টাকা। এছাড়াও কোদাল দাওয়া চৌধুরী মার্কেটের পাশে দশ ১০ কোটি টাকা মূল্যের আরও একটি ১৫ কাঠার প্লট রয়েছে । রাজউকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন ইতিপূর্বে অফিস সহকারী আব্দুল ওয়াদুদ এর বিভিন্ন অপকর্ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগের আদীম দেওয়ানী শাখার সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ আবুল হাসেম কর্তৃক গত ০৪/০৮/২০২১ খ্রি: রাজউকে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এবং সে বিষয়টি তদন্তের জন্য রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত পত্রের স্মারক নং- ২৫.৩৯.০০০০.০০৯.২৭.১০৪(অংশ-১).১৪-১৮৮০ তারিখ-২৮/১০/২০২১ খ্রি: মুলের রাজউক প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত সাবেক পরিচালক (জোন-০৬) কামরুল ইসলাম কে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছিল কিন্তুআব্দুল ওয়াদুদ তার অবৈধ পন্থায় অর্জিত টাকার বিনিময়ে সমস্ত কিছু ধামাচাপা দিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরও জানান পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের এস্টেট ও ভূমি রেকর্ড রুমের দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে আব্দুল ওয়াদুদ বিভিন্ন ফাইল
গায়েবের মূল হোতা হিসেবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছেন শুধু তাই নয় তিনি গোল্ডেন মনিরের অন্যতম সহযোগী ছিলেন। গোল্ডেন মনিরের সহযোগী হিসেবে কাজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন । বিভিন্ন অপকর্মের কারণে গোল্ডেন মনিরসহ তার একাধিক সহযোগী গ্রেফতার হলেও রহস্যজনক কারণে গ্রেপ্তার হয়নি রাজউকের শীর্ষ দুর্নীতিবাজ কর্মচারী আব্দুল ওয়াদুদ। তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন এবং কোটি কোটি টাকা খরচ করে পূর্বের স্থানে ফেরত আসার জন্য রাজউক প্রশাসনকে ম্যানেজ করার জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন । সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে আরও জানা যায় অফিস সহকারী আব্দুল ওয়াদুদের বিভিন্ন অনিয়ম এবং অপকর্মের বিরুদ্ধে রাজউকে বিভিন্ন অভিযোগ জমা হলেও কার্যত তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না । বিভিন্ন অনিয়ম এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্থ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে জানার জন্য রাজউকের অফিস সহকারী আব্দুল ওয়াদুদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। রাজউক কর্মচারী আব্দুল ওয়াদুদ এর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত কোটি কোটি টাকার অর্থ সম্পদ এবং দুদকে অভিযোগের বিষয়ে দুদকের এক শীর্ষ কর্মকর্তার সাথে আলাপচারিতার নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন অপরাধী যেই হোক এবং যত বড়ই হট লাইন থাকুক কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।সে অপরাধী প্রমাণিত হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মুক্তখবরের অনুসন্ধানে রাজউকের অফিস সহকারী আব্দুল ওয়াদুদের বিভিন্ন দাপ্তরিক দুর্নীতি,অনিয়ম, জাল-জালিয়াতি এবং গ্রামের বাড়ি মাগুরাতে অবৈধ পন্থায় অর্জিত কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান মিলেছে ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ফেসবুক পোস্টের জেরে নওগাঁয় কলেজ শিক্ষার্থীকে মারপিটের অভিযোগ

রাজউকের  কর্মচারী ওয়াদুদ: স্ত্রীর নামে ঢাকায় গড়েছেন বহুতলা বাড়ী ও মার্কেট

আপডেট টাইম : ০৭:৩৬:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

বিশেষ প্রতিবেদক :
রাজউক আঞ্চলিক অফিস উত্তরায় কর্মরত অফিস সহকারী আব্দুল ওয়াদুদ, এখন রাজউক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ে দালালি করে সময় পাড় করছেন। নিজ কর্মস্থলে না থেকে সারাদিন রাজউক প্রধান কার্যালয়ে বহিরাগত দালালদের সাথে দালালি করতে দেখা গেছে। দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানে জানা গেছে রাজউক কর্মচারী আব্দুল ওয়াদুদ প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার মালিক এবং সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দুদকে একটি অভিযোগও জমা পড়েছে রাজউক সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু ওয়াদুদ এ বিষয়ে মোটেও তিনি চিন্তিত নয় কারন দুদকে তার হট লিংক রয়েছে, ওখান থেকে সে নিমিসেই ক্লিয়ারেন্স নিবেন এমটাই বলে বেড়ান রাজউক কর্মচারী মহলে এবং আরো বলেন টাকা দিলে সব পাওয়া যায় এদেশে। জানা যায় আব্দুল ওয়াদুদ স্ত্রী মেরিনার নামে ৫৫৩ নং পশ্চিম সানারপাড় দারুস সালাম মসজিদ রোড ডেমরায় ৪ কাঠার উপরে ৬ তালা ভবন নির্মাণ করেছেন। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫ কোটি টাকা। এই বাড়ির পাশেই রয়েছে ৫ কাঠার উপর একটি টিনসেট বাড়ি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩ কোটি টাকা। স্ত্রী মেরিনার নামে পশ্চিম সানারপাড় চৌরাস্তায় মোড়ে দুই পাশে ২টি মার্কেট আনুমানিক বাজার মূল্য ২০ কোটি টাকা। এছাড়াও কোদাল দাওয়া চৌধুরী মার্কেটের পাশে দশ ১০ কোটি টাকা মূল্যের আরও একটি ১৫ কাঠার প্লট রয়েছে । রাজউকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন ইতিপূর্বে অফিস সহকারী আব্দুল ওয়াদুদ এর বিভিন্ন অপকর্ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগের আদীম দেওয়ানী শাখার সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ আবুল হাসেম কর্তৃক গত ০৪/০৮/২০২১ খ্রি: রাজউকে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এবং সে বিষয়টি তদন্তের জন্য রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত পত্রের স্মারক নং- ২৫.৩৯.০০০০.০০৯.২৭.১০৪(অংশ-১).১৪-১৮৮০ তারিখ-২৮/১০/২০২১ খ্রি: মুলের রাজউক প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত সাবেক পরিচালক (জোন-০৬) কামরুল ইসলাম কে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছিল কিন্তুআব্দুল ওয়াদুদ তার অবৈধ পন্থায় অর্জিত টাকার বিনিময়ে সমস্ত কিছু ধামাচাপা দিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরও জানান পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের এস্টেট ও ভূমি রেকর্ড রুমের দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে আব্দুল ওয়াদুদ বিভিন্ন ফাইল
গায়েবের মূল হোতা হিসেবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছেন শুধু তাই নয় তিনি গোল্ডেন মনিরের অন্যতম সহযোগী ছিলেন। গোল্ডেন মনিরের সহযোগী হিসেবে কাজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন । বিভিন্ন অপকর্মের কারণে গোল্ডেন মনিরসহ তার একাধিক সহযোগী গ্রেফতার হলেও রহস্যজনক কারণে গ্রেপ্তার হয়নি রাজউকের শীর্ষ দুর্নীতিবাজ কর্মচারী আব্দুল ওয়াদুদ। তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন এবং কোটি কোটি টাকা খরচ করে পূর্বের স্থানে ফেরত আসার জন্য রাজউক প্রশাসনকে ম্যানেজ করার জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন । সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে আরও জানা যায় অফিস সহকারী আব্দুল ওয়াদুদের বিভিন্ন অনিয়ম এবং অপকর্মের বিরুদ্ধে রাজউকে বিভিন্ন অভিযোগ জমা হলেও কার্যত তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না । বিভিন্ন অনিয়ম এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্থ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে জানার জন্য রাজউকের অফিস সহকারী আব্দুল ওয়াদুদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। রাজউক কর্মচারী আব্দুল ওয়াদুদ এর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত কোটি কোটি টাকার অর্থ সম্পদ এবং দুদকে অভিযোগের বিষয়ে দুদকের এক শীর্ষ কর্মকর্তার সাথে আলাপচারিতার নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন অপরাধী যেই হোক এবং যত বড়ই হট লাইন থাকুক কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।সে অপরাধী প্রমাণিত হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মুক্তখবরের অনুসন্ধানে রাজউকের অফিস সহকারী আব্দুল ওয়াদুদের বিভিন্ন দাপ্তরিক দুর্নীতি,অনিয়ম, জাল-জালিয়াতি এবং গ্রামের বাড়ি মাগুরাতে অবৈধ পন্থায় অর্জিত কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান মিলেছে ।