মাহামুদুন নবী :
আদালতের নিষেধাজ্ঞা স্বত্তে¡ও খাল খনন করায় মাগুরা ও নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ঠিকাদার ও স্থানীয় দুই ব্যক্তির নামে মাগুরার বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার রোনগর গ্রামের ২৬জন ব্যক্তি বাদি হয়ে এই মামলা করেন। যার মামলা নম্বর মিস-১৬/২৩।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে একজন বাদী উপজেলার রোনগর গ্রামের বাসিন্দা তবিবর রহমান টোকন জানান, যেখানে খাল খনন করা হচ্ছে, এই জমিগুলো আমাদের ব্যক্তি মালিকানাধিন জমি। আমাদের দখলেও রয়েছে। কোন ম্যাপ বা রেকর্ডে খালের অস্তিত্ব নেই। জমিগুলোতে বসতবাড়ি ও আবাদি জমি রয়েছে। জমিগুলো অধিগ্রহন করা হয়নি।
মামলার আরেকজন বাদি জাকারিয়া মুন্সি জানান, আমাদের দালিলিক সম্পত্তিতে খাল খনন নিয়ে মাগুরার বিজ্ঞ আদালতে দেওয়ানী মামলা বিচারাধীন আছে। যার নম্বর ১৫/২০২২। বিজ্ঞ আদালত মুল মোকদ্দমা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জোরপূর্বক খাল খনন করা হতে বা বাদী পক্ষকে নালিশী জমি হতে বেদখল করা বা বসতবাড়ি ভেঙ্গে দেওয়া ছাড়াও জমির আকৃতি পরিবর্তন করা হতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। তুবও গত ফেব্রæয়ারি মাসের ১০ তারিখ হতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জোরপূর্বকভাবে আমাদের সম্পত্তি দখলের জন্য জমির মাটি কেটে খাল খননের চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে আমরা আদালতে আবারো মামলা করেছি।
এ দিকে খালের নির্ধারিত জায়গা বাদ দিয়ে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে জোর পূর্বক খাল খননের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে উপজেলার রোনগরসহ কয়েক গ্রামের লোকজন। মঙ্গলবারের এ মানববন্ধন কর্মসূচীতে মামলার কয়েকজন বাদিসহ এলাকাবাসী বক্তব্য রাখেন।
মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (চ.দা.) এ.কে.এম মমিনুল ইসলাম জানান, আমি ৮মাস হয়েছে মাগুরায় দায়িত্বে আছি। এই ৮মাস হচ্ছে মহম্মদপুরের রোগনর গ্রামের কোথাও খাল খনন করার বিষয়ে কোন ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে বলে আমার জানা নেই।
তবে মামলার বাদি পক্ষের দেখানো এক পত্রে দেখা যায় নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২০২১ সালের জুলাই মাসের ১৯তারিখ আবুল কালাম আজাদ ও মিজানুর রহমান জেভিকে রোনগরের পাশ্ববর্তী কালিশংকরপুর খালে খননের জন্য ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয় তবে রোনগর কোন খাল খননের অনুমতি দেয়া হযনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জল কুমার সেন বলেন, আমাদের কাছে আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা বা কোন কিছু আমরা পাইনি। এ ছাড়া মাগুরা জেলার মহম্মদপুরের রোনগর এলাকার খাল খননের বিষয়ে বা খালের নামে কারো ব্যাক্তিগত জায়গা থেকে মাটি কেটে খাল বানানোর বিষয়ে কাউকে কোন অনুমতি দেয়া হয়নি।