ঢাকা ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মুন্সীগঞ্জে কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে বীজ আলু ও সার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরনের লক্ষে অবহিতকরণ সভা পঞ্চগড়ে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদকসহ মা-ছেলে আটক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কে এই শরীফ জহির? এলডিসি দেশগুলোর জন্য ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দে ইইউ-এর সমর্থন চাইল বাংলাদেশ কক্সবাজার সফরকালে যৌথ বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে সালাউদ্দিন চৌধুরী ডিসেম্বরে ভারতের সাথে এফওসি বৈঠক, এজেন্ডা এখনো চূড়ান্ত নয় গাজীপুরে ঝুকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রীজের দাবীতে মানববন্ধন গাজীপুরে ২১০ পিস ইয়াবা ও সাড়ে ১১ লাখ টাকাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার প্রকল্পের টাকা হরিলুটের অভিযোগ ইউএনও এবং পিআইও’র বিরুদ্ধে

রাজউকে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে মলির বিরুদ্ধে অপপ্রচার!

স্টাফ রিপোর্টার
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউকে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অসাধু একটি চক্রের অপপ্রচার ও চরম আক্রোশের শিকার হয়েছেন একজন নারী কর্মচারি। তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দীর্ঘ ২৪ বছর রাজউকে নির্লোভ সেবা দিয়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেও সেটিই এখন তার জন্য কাল হয়ে দেখা দিয়েছে। শত চেষ্টা করেও তার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে না পেরে রাজউকেরই একটি মাফিয়া গোষ্ঠি তার চাকুরী জীবনের ক্ষতিসাধন করার জন্য পত্র পত্রিকায় অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা দুর্নীতি দমন কমিশনেও বেনামে অভিযোগ করেছে। নানা মাধ্যমে হুমকি দিয়েছে যে, ওই মাফিয়া গোষ্ঠির নেতার কথামত কাজ না করলে তার চাকুরীই খেয়ে ফেলবে।
সুত্রমতে এই নারী কর্মচারীর নাম ফাতেমা বেগম মলি। তিনি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকুরী করেন। বর্তমানে রাজউকের জোন-৫-এর উচ্চমান সহকারী পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এই পদে থেকে রাজউকের কোন ফাইলে হস্তক্ষেপ ও তদবীর করার সুয়োগ না থাকলেও মাফিয়া গোষ্ঠি প্রচার করছে যে, মলি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (রাজউক) এ চাকুরী করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। রাজধানীতে একাধিক ফ্ল্যাট, গাড়ি এবং ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জে কয়েক বিঘা জমি রয়েছে তার। সুবিধা গ্রহণের বিনিময়ে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পের লে-আউট পরিবর্তন করা ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ঠিকাদার থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন । তাদের আরো অভিযোগ, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ঠিকাদারদের জিম্মি করে বিভিন্ন প্রকল্পের প্রাক্কলন, চুক্তিপত্র, রোড সভার কর্মপত্র, ঠিকাদারদের বিল, এমনকি প্ল্যান পাসের নথিসহ কোনো ফাইলই টাকা ছাড়া ছাড়েন না ফাতেমা বেগম। অবৈধ আয়ে তিনি রাজধানীর ঝিগাতলায় ১৫/এ, গ্রিন টাওয়ারে তিনটি ফ্ল্যাট ও একটি নোহা গাড়ি কিনেছেন। ঘুষ-দুর্নীতির টাকা দিয়ে নারায়ণগঞ্জে কয়েক বিঘা জমিও কিনেছেন তিনি।
আমাদের অনুসন্ধানে এইসব অভিযোগের কোন দালিলিক প্রমান বা ভিত্তি মেলেনি। সংবাদে উল্লেখিত ঠিকানায় মলির নামে ৩ টিতো দুরে থাক একটি ফ্ল্যাটও পাওয়া যায়নি। তার নামে নারায়ণগঞ্জে কোন জমির দলিলও রেজিষ্ট্রি হয়নি। তবে ঢাকায় তার পৈত্রিক অনেক সম্পত্তি রয়েছে। কেবলমাত্র কাল্পনিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই এমন অপ প্রচার চালানো হচ্ছে মর্মে দাবী করেছেন রাজউকের অসংখ্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। তারা মন্তব্য করেন যে, আজকাল কিছু সাংবাদিক অনৈতিক সুবিধা না পেলেই সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বিরুদ্ধে সংবাদ ছাপিয়ে প্রশাসন ও জনমনে বিভ্রান্তি তৈরী করছেন। এমন কি দুদক দিয়েও হয়রানি করান। ফাতেমা বেগম মলির ক্ষেত্রেও সেটি করা হচ্ছে । তারা মিডিয়ার এই তথ্য সন্ত্রাস বন্ধ করার বিনীত অনুরোধ জানান।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জে কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে বীজ আলু ও সার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরনের লক্ষে অবহিতকরণ সভা

রাজউকে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে মলির বিরুদ্ধে অপপ্রচার!

আপডেট টাইম : ০৬:৫৬:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউকে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অসাধু একটি চক্রের অপপ্রচার ও চরম আক্রোশের শিকার হয়েছেন একজন নারী কর্মচারি। তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দীর্ঘ ২৪ বছর রাজউকে নির্লোভ সেবা দিয়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেও সেটিই এখন তার জন্য কাল হয়ে দেখা দিয়েছে। শত চেষ্টা করেও তার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে না পেরে রাজউকেরই একটি মাফিয়া গোষ্ঠি তার চাকুরী জীবনের ক্ষতিসাধন করার জন্য পত্র পত্রিকায় অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা দুর্নীতি দমন কমিশনেও বেনামে অভিযোগ করেছে। নানা মাধ্যমে হুমকি দিয়েছে যে, ওই মাফিয়া গোষ্ঠির নেতার কথামত কাজ না করলে তার চাকুরীই খেয়ে ফেলবে।
সুত্রমতে এই নারী কর্মচারীর নাম ফাতেমা বেগম মলি। তিনি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকুরী করেন। বর্তমানে রাজউকের জোন-৫-এর উচ্চমান সহকারী পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এই পদে থেকে রাজউকের কোন ফাইলে হস্তক্ষেপ ও তদবীর করার সুয়োগ না থাকলেও মাফিয়া গোষ্ঠি প্রচার করছে যে, মলি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (রাজউক) এ চাকুরী করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। রাজধানীতে একাধিক ফ্ল্যাট, গাড়ি এবং ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জে কয়েক বিঘা জমি রয়েছে তার। সুবিধা গ্রহণের বিনিময়ে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পের লে-আউট পরিবর্তন করা ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ঠিকাদার থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন । তাদের আরো অভিযোগ, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ঠিকাদারদের জিম্মি করে বিভিন্ন প্রকল্পের প্রাক্কলন, চুক্তিপত্র, রোড সভার কর্মপত্র, ঠিকাদারদের বিল, এমনকি প্ল্যান পাসের নথিসহ কোনো ফাইলই টাকা ছাড়া ছাড়েন না ফাতেমা বেগম। অবৈধ আয়ে তিনি রাজধানীর ঝিগাতলায় ১৫/এ, গ্রিন টাওয়ারে তিনটি ফ্ল্যাট ও একটি নোহা গাড়ি কিনেছেন। ঘুষ-দুর্নীতির টাকা দিয়ে নারায়ণগঞ্জে কয়েক বিঘা জমিও কিনেছেন তিনি।
আমাদের অনুসন্ধানে এইসব অভিযোগের কোন দালিলিক প্রমান বা ভিত্তি মেলেনি। সংবাদে উল্লেখিত ঠিকানায় মলির নামে ৩ টিতো দুরে থাক একটি ফ্ল্যাটও পাওয়া যায়নি। তার নামে নারায়ণগঞ্জে কোন জমির দলিলও রেজিষ্ট্রি হয়নি। তবে ঢাকায় তার পৈত্রিক অনেক সম্পত্তি রয়েছে। কেবলমাত্র কাল্পনিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই এমন অপ প্রচার চালানো হচ্ছে মর্মে দাবী করেছেন রাজউকের অসংখ্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। তারা মন্তব্য করেন যে, আজকাল কিছু সাংবাদিক অনৈতিক সুবিধা না পেলেই সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বিরুদ্ধে সংবাদ ছাপিয়ে প্রশাসন ও জনমনে বিভ্রান্তি তৈরী করছেন। এমন কি দুদক দিয়েও হয়রানি করান। ফাতেমা বেগম মলির ক্ষেত্রেও সেটি করা হচ্ছে । তারা মিডিয়ার এই তথ্য সন্ত্রাস বন্ধ করার বিনীত অনুরোধ জানান।