স্টাফ রিপোর্টার :
নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশ অমান্যের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি করেছেন হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়েরকারী নৌযান মালিক মিজানুর রহমান ।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, বিধি বর্হিভুতভাবে কোন প্রকার গেজেট প্রকাশ ব্যতিত নৌ পরিবহন অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক কমডোর মোঃ নিজামুল হক স্বাক্ষরিত ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ইং তারিখে সার্ভেয়ার এর কার্য পরিধির এলাকা নির্ধারণ প্রসঙ্গে একটি সার্কুলার জারি করেন৷ ওই পত্র জারি করার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন মিজানুর রহমান নামে একজন নৌযান মালিক৷রিট নং ৩৮৯৬/২০২৩।এই রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখে ডিজি শিপিং এর জারিকৃত সকল প্রকার অবৈধ ও অযৌক্তিক সার্কুলার এর উপর ৬ মাসের জন্য স্থগিতাদেশ প্রদান করে৷ হাইকোর্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিকের নেতৃত্বে এই রিট পিটিশন দায়ের করা হয়৷ রিটের বিবাদী হিসাবে রয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব, নৌ পরিবহন অধিদপ্তর এর মহা পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী।
৬ এপ্রিল স্থগিতাদেশ প্রদান করা হলেও মহাপরিচালক হাইকোর্টের এই স্থগিতাদেশ নির্দেশ অনুসরণ করেন নি৷ বরং অদ্যাবধি জারিকৃত সার্কুলার স্থগিত না করে তার মন মাফিক অফিস পরিচালনা করছেন৷ এরই প্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন রিটকারী ও অন্যান্য নৌযান মালিকগণ৷
সাধারণ নৌযান মালকরা মনে করছেন, ডিজি শিপিং এর ডিজি হাইকোর্টের এই স্থগিতাদেশ নির্দেশ পালন না করে আদালতের আদেশ অমান্য বা অবমাননা করছেন৷ আদালত অবমাননার জন্য সাধারণ নৌযান মালিক ও সেবা প্রার্থীরা ডিজি শিপিং এর ডিজি ও চীফ ইঞ্জিনিয়ার এর শাস্তির দাবি করছেন। মহাপরিচালক এর চতুর্মুখী দুর্নীতির মনোভাব ও ব্যক্তিগত লোকদের সুবিধা পাইয়ের দেয়ার জন্য ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ দায়ের ও একাধিক দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়েছে৷
নৌ পরিবহন অধিদপ্তর এর বাতিঘর প্রকল্পে অবৈধভাবে সাব কন্ট্রাক্টর নিয়োগ প্রদান করে ডিজি তার ব্যক্তিগত লোকদের সুবিধা দিতে চাচ্ছেন। এ নিয়ে প্রকল্প পরিচালক ও কোরিয়ান কোম্পানির সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে৷ নিজ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ইজিএমএনেসাই প্রকল্পের পরিচালক ও কোরিয়ান কোম্পানির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মহাপরিচালক। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহা পরিচালক খোদ দুর্নীতির করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া অভিযোগ করেন। মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই মহাপরিচালক এর এহেন ঘৃন্য কর্মকান্ডের সত্যতা পেয়েছে।
নৌযান মালিকরা মনে করেনম মহাপরিচালক হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করায় তিনি আদালত অবমাননার অপরাধ করেছেন। এ ক্ষেত্রে তারা সংশ্লিষ্ট আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোঃ নিজামুল হকের অফিসে ফোন করলে তার পিএ বলেন,স্যার মন্ত্রণালয়ে মিটিং এ আছেন।