ঢাকা ০৩:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোটি টাকা ঘুস গ্রহন: বিআইডব্লিটিএর ৪ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রোস্তম মল্লিক :

পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোটি টাকার ওপরে ঘুস গ্রহনের দায়ে বিআইডব্লিউটিএর ৪ প্রকৌশলীর নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্ত ৪ প্রকৌশলী হলেন: ড্রেজার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক, নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদ উজ্জামান। তাদেরস্ত্রীসহ মোট ৮ জনের নামে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুদক সুত্রে জানাগেছে, প্রায় ১ কোটি ৬৫ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা পে অর্ডারের মাধ্যমে ঘুস নেওয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ১৭। ধারা দ:বি: ১৬১/১৬৫(৪) সহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২)। আসামীরা হলেন: ড্রেজার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক ও তার স্ত্রী ফজিলা খাতুন, নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আফরোজা খানম, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শারমিন ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদ উজ্জামান ও তার স্ত্রী ফেরদৌস জাহান। দুদক সুত্র জানায়,বিআইডব্লিউটিএর আরিচা,রাজশাহী,গোদাগাড়ি,ভোলাহাট নদী বন্দর প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেসিক ড্রেজিং কোম্পানীর কাছ থেকে তারা নিজেরা এবং নিজেদের স্ত্রী ও শ^াশুড়ীর নামের ব্যাংক হিসাবে পেঅর্ডারের মাধ্যমে মোট ১ কোটি ২১ লক্ষ ৫ হাজার ১৩১ টাকা ঘুস গ্রহন করেন। এছাড়া দুদকের মামলার তথ্য গোপন করে ফরহাদুজ্জামান অতি: প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি নিয়েছেন। জহিরুল ইসলাম দুদকের মামলা তথ্য গোপন করে ২ দফা পদোন্নতি নিয়েছেন। আবু বকর সিদ্দিকও উপ সহকারী প্রকৌশলী হতে ২ দফা পদোন্নতি নিয়ে কর্মরত রয়েছেন। এরা বিআইডব্লিউটিএর পদোন্নতি কমিটিকে প্রায় কোটি টাকা নজরানা দিয়ে আলোচ্চ পদোন্নতি বাগিয়ে নিয়েছেন। প্রসঙ্গত ২০০৮ সালের জুন মাসের ৪ তারিখে বেসিক ড্রেজিং কোম্পানীর সহকারী ব্যবস্থাপক খান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর এই মামলাটি দায়ের করেন।

ট্যাগস

পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোটি টাকা ঘুস গ্রহন: বিআইডব্লিটিএর ৪ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট টাইম : ১২:১৩:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

রোস্তম মল্লিক :

পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোটি টাকার ওপরে ঘুস গ্রহনের দায়ে বিআইডব্লিউটিএর ৪ প্রকৌশলীর নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্ত ৪ প্রকৌশলী হলেন: ড্রেজার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক, নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদ উজ্জামান। তাদেরস্ত্রীসহ মোট ৮ জনের নামে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুদক সুত্রে জানাগেছে, প্রায় ১ কোটি ৬৫ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা পে অর্ডারের মাধ্যমে ঘুস নেওয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ১৭। ধারা দ:বি: ১৬১/১৬৫(৪) সহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২)। আসামীরা হলেন: ড্রেজার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক ও তার স্ত্রী ফজিলা খাতুন, নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আফরোজা খানম, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শারমিন ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদ উজ্জামান ও তার স্ত্রী ফেরদৌস জাহান। দুদক সুত্র জানায়,বিআইডব্লিউটিএর আরিচা,রাজশাহী,গোদাগাড়ি,ভোলাহাট নদী বন্দর প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেসিক ড্রেজিং কোম্পানীর কাছ থেকে তারা নিজেরা এবং নিজেদের স্ত্রী ও শ^াশুড়ীর নামের ব্যাংক হিসাবে পেঅর্ডারের মাধ্যমে মোট ১ কোটি ২১ লক্ষ ৫ হাজার ১৩১ টাকা ঘুস গ্রহন করেন। এছাড়া দুদকের মামলার তথ্য গোপন করে ফরহাদুজ্জামান অতি: প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি নিয়েছেন। জহিরুল ইসলাম দুদকের মামলা তথ্য গোপন করে ২ দফা পদোন্নতি নিয়েছেন। আবু বকর সিদ্দিকও উপ সহকারী প্রকৌশলী হতে ২ দফা পদোন্নতি নিয়ে কর্মরত রয়েছেন। এরা বিআইডব্লিউটিএর পদোন্নতি কমিটিকে প্রায় কোটি টাকা নজরানা দিয়ে আলোচ্চ পদোন্নতি বাগিয়ে নিয়েছেন। প্রসঙ্গত ২০০৮ সালের জুন মাসের ৪ তারিখে বেসিক ড্রেজিং কোম্পানীর সহকারী ব্যবস্থাপক খান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর এই মামলাটি দায়ের করেন।