ঢাকা ০৫:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ে অবৈধভাবে দুই  শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ 

মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ফকিরপাড়া বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ে অবৈধভাবে দুই মৌলভি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমপিও কাঠামো অনুযায়ী একজন মৌলভি শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও, বিদ্যালয়টিতে আট বছর ধরে দুইজন মৌলভি শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। আট বছর ধরে তারা বেতন উত্তোলন করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা।
স্থানীয়দের দাবী, প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির যোগসাজশে আইবুল হক এবং জাহাঙ্গীর হোসেন নামের এই দুই শিক্ষক আট বছর ধরে প্রায় ৪২ লাখ টাকা বেতন উত্তোলন করছেন। তবে শিক্ষা অধিদপ্তরের মুদ্রণ ত্রুটির কারণে পরিস্থিতির শিকার বলে দাবি করছেন প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক।
বিদ্যালয় এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯৭ সালে আইবুল হককে সহকারী শিক্ষক (সামাজিক বিজ্ঞান) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০৪ সালে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বও পালন করেছিল আইবুল হক। পরে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলে তিনি ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তৎকালীন সামাজিক বিজ্ঞানে তিনজন শিক্ষক থাকায় আইবুল হককে কোন বিষয়ে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছিল বিদ্যালয়ে।
তন্মধ্যে ২০০৯ সালে সহকারী শিক্ষক (ধর্মীয়) হিসেবে জাহাঙ্গীর হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে ২০১৩ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিদ্যালয়টির শিক্ষকের তালিকা চাওয়া হলে প্রধান শিক্ষক আইবুল হককে মৌলভি শিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করে তালিকা দেন। তারপর ২০১৫ সাল থেকে দুইজনই মৌলভি শিক্ষক (এমআরটি) হিসেবে বেতন তুলছেন। এরমধ্যে টাইম স্কেলের জন্য আইবুল হক আবেদন করলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তাকে প্রত্যাখ্যান করে আইবুল হককে মৌলভি শিক্ষক পদ পরিবর্তন করার নির্দেশনা দেন। তবে তিনি তার পদ পরিবর্তন না করেই বেতন তুলছেন। চলতি বছরের এমপিও শিট অনুযায়ী বিদ্যালয়ের আইবুল হক ২৬ হাজার ৭৯০ টাকা এবং জাহাঙ্গীর হোসেন ২৩ হাজার ৩৩৪ টাকা করে প্রতি মাসে বেতন উত্তোলন করেছে
ট্যাগস

পঞ্চগড়ে অবৈধভাবে দুই  শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ 

আপডেট টাইম : ০৫:৪৮:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ফকিরপাড়া বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ে অবৈধভাবে দুই মৌলভি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমপিও কাঠামো অনুযায়ী একজন মৌলভি শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও, বিদ্যালয়টিতে আট বছর ধরে দুইজন মৌলভি শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। আট বছর ধরে তারা বেতন উত্তোলন করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা।
স্থানীয়দের দাবী, প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির যোগসাজশে আইবুল হক এবং জাহাঙ্গীর হোসেন নামের এই দুই শিক্ষক আট বছর ধরে প্রায় ৪২ লাখ টাকা বেতন উত্তোলন করছেন। তবে শিক্ষা অধিদপ্তরের মুদ্রণ ত্রুটির কারণে পরিস্থিতির শিকার বলে দাবি করছেন প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক।
বিদ্যালয় এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯৭ সালে আইবুল হককে সহকারী শিক্ষক (সামাজিক বিজ্ঞান) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০৪ সালে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বও পালন করেছিল আইবুল হক। পরে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলে তিনি ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তৎকালীন সামাজিক বিজ্ঞানে তিনজন শিক্ষক থাকায় আইবুল হককে কোন বিষয়ে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছিল বিদ্যালয়ে।
তন্মধ্যে ২০০৯ সালে সহকারী শিক্ষক (ধর্মীয়) হিসেবে জাহাঙ্গীর হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে ২০১৩ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিদ্যালয়টির শিক্ষকের তালিকা চাওয়া হলে প্রধান শিক্ষক আইবুল হককে মৌলভি শিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করে তালিকা দেন। তারপর ২০১৫ সাল থেকে দুইজনই মৌলভি শিক্ষক (এমআরটি) হিসেবে বেতন তুলছেন। এরমধ্যে টাইম স্কেলের জন্য আইবুল হক আবেদন করলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তাকে প্রত্যাখ্যান করে আইবুল হককে মৌলভি শিক্ষক পদ পরিবর্তন করার নির্দেশনা দেন। তবে তিনি তার পদ পরিবর্তন না করেই বেতন তুলছেন। চলতি বছরের এমপিও শিট অনুযায়ী বিদ্যালয়ের আইবুল হক ২৬ হাজার ৭৯০ টাকা এবং জাহাঙ্গীর হোসেন ২৩ হাজার ৩৩৪ টাকা করে প্রতি মাসে বেতন উত্তোলন করেছে