ঢাকা ০১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচনে বিএনপির জয় নিশ্চিত জেনে কিছু দল পিআর পদ্ধতি চাইছে: আমিনুল হক নতুন ব্যাগ নিয়ে বিদ্যালয়ে হাজির ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের চমকে দিলেন ইউএনও আড়পাড়া ডিগ্রি কলেজে নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বাক্ষর জালিয়াতি  গভর্নিং বডি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ বিশেষ চুক্তিতে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে রেটকোট ফাঁস করেছেন পিডি মঞ্জুরুল হক! ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারার সঙ্গে দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালে মাসুদ রানা ও নান্নুর ভয়ংকর সিন্ডিকেট! ষড়যন্ত্রকারী যত চেষ্টাই করুক; সফল হবে না, জনগণের সরকারই আগামী নির্বাচনে প্রতিষ্ঠিত হবে – আমিনুল হক নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ ছাড়াই ১৬ প্রতিষ্ঠান সিলগালা করল বেবিচক মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ৭ মাস বয়সী দুই যজম কন্যা শিশুকে হত্যার অভিযোগ পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত

মাগুরায় এক বছরে ৪ সাংবাদিকের ওপর বর্বর হামলা!

মাগুরা প্রতিনিধি :
সাংবাদিক ও ভিন্নমত প্রকাশকারীদের জন্য এক ভয়ংকর জনপদ হয়ে উঠছে মাগুরা। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা একের পর এক সাংবাদিকদের রক্তাক্ত করছে কিন্তু তাদের বিচার হচ্ছে না। রাজনৈতিক গডফাদার একটি ফোন করেই প্রশাসনকে অকার্যকর করে দিচ্ছে। এমন কি আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তার করে আসামীদের জামিন করিয়ে নিচ্ছে। গত এক বছরে এই সব রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের হাতে কমপক্ষে ৪ জন সাংবাদিক বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদেরকে মেরে হাত,পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাদের মামলাগুলো রক্তশুন্য অবস্থায় পড়ে আছে। তারা একই স্টাইলে হামলাগুলো চালিয়ে প্রমাণ করেছে যে এগুলো একইসুত্রে গাথা।
দুর্বৃত্তরা প্রথম আঘাত করে দৈনিক সোনালী খবর পত্রিকার মাগুরা জেলা প্রতিনিধি কৌশিক আহমেদ সোহাগের ওপর। তাকে হকিস্টিক, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে নির্মম ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হাত ভেঙে দেওয়া হয়। তারা দ্বিতীয় আঘাত করে সাংবাদিক ও গীতিকার লিটন ঘোষ জয়ের ওপর। তাকেও হকিস্টিক ও লোহার রড এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়।
তৃতীয় আঘাত করা হয় দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার মাগুরা জেলা প্রতিনিধি, সাহসী সাংবাদিক মোঃ মিরাজ আহমেদকে। তাকেও হকিস্টিক, লোহার রড ও বাশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখন করা হয়। সর্বশেষ আঘাত করা হয় মাগুরার কৃতি সন্তান দুঃসাহসিক সাংবাদিক, সাহিত্যিক,নাট্যকার,গীতিকার ও কলামিস্ট রোস্তম মল্লিক ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর।
তিনি ইদ উল ফিতরের ছুঁটিতে স্বপরিবারে মাগুরায় গেলে গত ২৫ এপ্রিল ২০২৩ রাত ১০ টার সময় মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের পাশে তার ওপর হামলা চালিয়ে প্রাণ নাশের চেষ্টা করা হয়। আঘাতে তার একটি হাত ভেঙে যায় এবং মাথায় গুরুতর জখম হয়। তার কন্যার একটি হাত ভেঙে দেওয়া হয়। তারা এখনো ডাক্তারের চিকিৎসাধীন।
ধারাবাহিকভাবে এই যে সাংবাদিক নির্যাতন তার সব কটার স্টাইল কিন্তু একই। আর ঘটনাগুলো ঘটানো হয়েছে এক রাজনৈতিক গডফাদারের নির্দেশে। মাগুরাবাসী এবং সাংবাদিক সমাজের প্রশ্ন মাগুরায় কেন বেছে বেছে সাংবাদিকদের আঘাত করা হচ্ছে? কেন তাদের মামলাগুলো হিমঘরে চলে যাচ্ছে? কেন গ্রেফতার কার হচ্ছে না নেপথ্য নায়ক গডফাদারকে? কার হাত রয়েছে সাংবাদিক নিধনের এই মিশনের নেপথ্যে? কার ইশারায় চলছে মাগুরার প্রশাসন ও আইন আদালত? কতদিন আর এক গডফাদারের হাতে জিম্মি থাকবে মাগুরাবাসী?

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে বিএনপির জয় নিশ্চিত জেনে কিছু দল পিআর পদ্ধতি চাইছে: আমিনুল হক

মাগুরায় এক বছরে ৪ সাংবাদিকের ওপর বর্বর হামলা!

আপডেট টাইম : ০৬:৪১:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

মাগুরা প্রতিনিধি :
সাংবাদিক ও ভিন্নমত প্রকাশকারীদের জন্য এক ভয়ংকর জনপদ হয়ে উঠছে মাগুরা। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা একের পর এক সাংবাদিকদের রক্তাক্ত করছে কিন্তু তাদের বিচার হচ্ছে না। রাজনৈতিক গডফাদার একটি ফোন করেই প্রশাসনকে অকার্যকর করে দিচ্ছে। এমন কি আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তার করে আসামীদের জামিন করিয়ে নিচ্ছে। গত এক বছরে এই সব রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের হাতে কমপক্ষে ৪ জন সাংবাদিক বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদেরকে মেরে হাত,পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাদের মামলাগুলো রক্তশুন্য অবস্থায় পড়ে আছে। তারা একই স্টাইলে হামলাগুলো চালিয়ে প্রমাণ করেছে যে এগুলো একইসুত্রে গাথা।
দুর্বৃত্তরা প্রথম আঘাত করে দৈনিক সোনালী খবর পত্রিকার মাগুরা জেলা প্রতিনিধি কৌশিক আহমেদ সোহাগের ওপর। তাকে হকিস্টিক, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে নির্মম ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হাত ভেঙে দেওয়া হয়। তারা দ্বিতীয় আঘাত করে সাংবাদিক ও গীতিকার লিটন ঘোষ জয়ের ওপর। তাকেও হকিস্টিক ও লোহার রড এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়।
তৃতীয় আঘাত করা হয় দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার মাগুরা জেলা প্রতিনিধি, সাহসী সাংবাদিক মোঃ মিরাজ আহমেদকে। তাকেও হকিস্টিক, লোহার রড ও বাশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখন করা হয়। সর্বশেষ আঘাত করা হয় মাগুরার কৃতি সন্তান দুঃসাহসিক সাংবাদিক, সাহিত্যিক,নাট্যকার,গীতিকার ও কলামিস্ট রোস্তম মল্লিক ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর।
তিনি ইদ উল ফিতরের ছুঁটিতে স্বপরিবারে মাগুরায় গেলে গত ২৫ এপ্রিল ২০২৩ রাত ১০ টার সময় মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের পাশে তার ওপর হামলা চালিয়ে প্রাণ নাশের চেষ্টা করা হয়। আঘাতে তার একটি হাত ভেঙে যায় এবং মাথায় গুরুতর জখম হয়। তার কন্যার একটি হাত ভেঙে দেওয়া হয়। তারা এখনো ডাক্তারের চিকিৎসাধীন।
ধারাবাহিকভাবে এই যে সাংবাদিক নির্যাতন তার সব কটার স্টাইল কিন্তু একই। আর ঘটনাগুলো ঘটানো হয়েছে এক রাজনৈতিক গডফাদারের নির্দেশে। মাগুরাবাসী এবং সাংবাদিক সমাজের প্রশ্ন মাগুরায় কেন বেছে বেছে সাংবাদিকদের আঘাত করা হচ্ছে? কেন তাদের মামলাগুলো হিমঘরে চলে যাচ্ছে? কেন গ্রেফতার কার হচ্ছে না নেপথ্য নায়ক গডফাদারকে? কার হাত রয়েছে সাংবাদিক নিধনের এই মিশনের নেপথ্যে? কার ইশারায় চলছে মাগুরার প্রশাসন ও আইন আদালত? কতদিন আর এক গডফাদারের হাতে জিম্মি থাকবে মাগুরাবাসী?