ঢাকা ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ সিরাজদিখানে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার সাংবাদিক রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির কক্ষে মিলল পিস্তল, সম্পাদকের কক্ষে ফেন্সিডিল আবু সাঈদের ধারণা ছিলো পুলিশ আমাকে গুলি করবে না মীরপুর গার্লস আইডিয়াল স্কুল থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট ভাঙ্গায় চেয়ারম্যান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত  যমুনার পানিতে কালিহাতীতে ৩০ হাজার পানিবন্দি মানুষ, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত পদ্মায় অবৈধ বালি উত্তোলনে নদীগর্ভে বিলিন ১০টি বাড়িঘর, হুমকিতে শহর রক্ষা বাঁধ স্পীকারের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ সিরাজদিখানে পুলিশের হামলার আহত সাংবাদিক সালমানকে দেখতে গেলেন ওসি

মাগুরায় এক বছরে ৪ সাংবাদিকের ওপর বর্বর হামলা!

মাগুরা প্রতিনিধি :
সাংবাদিক ও ভিন্নমত প্রকাশকারীদের জন্য এক ভয়ংকর জনপদ হয়ে উঠছে মাগুরা। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা একের পর এক সাংবাদিকদের রক্তাক্ত করছে কিন্তু তাদের বিচার হচ্ছে না। রাজনৈতিক গডফাদার একটি ফোন করেই প্রশাসনকে অকার্যকর করে দিচ্ছে। এমন কি আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তার করে আসামীদের জামিন করিয়ে নিচ্ছে। গত এক বছরে এই সব রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের হাতে কমপক্ষে ৪ জন সাংবাদিক বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদেরকে মেরে হাত,পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাদের মামলাগুলো রক্তশুন্য অবস্থায় পড়ে আছে। তারা একই স্টাইলে হামলাগুলো চালিয়ে প্রমাণ করেছে যে এগুলো একইসুত্রে গাথা।
দুর্বৃত্তরা প্রথম আঘাত করে দৈনিক সোনালী খবর পত্রিকার মাগুরা জেলা প্রতিনিধি কৌশিক আহমেদ সোহাগের ওপর। তাকে হকিস্টিক, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে নির্মম ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হাত ভেঙে দেওয়া হয়। তারা দ্বিতীয় আঘাত করে সাংবাদিক ও গীতিকার লিটন ঘোষ জয়ের ওপর। তাকেও হকিস্টিক ও লোহার রড এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়।
তৃতীয় আঘাত করা হয় দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার মাগুরা জেলা প্রতিনিধি, সাহসী সাংবাদিক মোঃ মিরাজ আহমেদকে। তাকেও হকিস্টিক, লোহার রড ও বাশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখন করা হয়। সর্বশেষ আঘাত করা হয় মাগুরার কৃতি সন্তান দুঃসাহসিক সাংবাদিক, সাহিত্যিক,নাট্যকার,গীতিকার ও কলামিস্ট রোস্তম মল্লিক ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর।
তিনি ইদ উল ফিতরের ছুঁটিতে স্বপরিবারে মাগুরায় গেলে গত ২৫ এপ্রিল ২০২৩ রাত ১০ টার সময় মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের পাশে তার ওপর হামলা চালিয়ে প্রাণ নাশের চেষ্টা করা হয়। আঘাতে তার একটি হাত ভেঙে যায় এবং মাথায় গুরুতর জখম হয়। তার কন্যার একটি হাত ভেঙে দেওয়া হয়। তারা এখনো ডাক্তারের চিকিৎসাধীন।
ধারাবাহিকভাবে এই যে সাংবাদিক নির্যাতন তার সব কটার স্টাইল কিন্তু একই। আর ঘটনাগুলো ঘটানো হয়েছে এক রাজনৈতিক গডফাদারের নির্দেশে। মাগুরাবাসী এবং সাংবাদিক সমাজের প্রশ্ন মাগুরায় কেন বেছে বেছে সাংবাদিকদের আঘাত করা হচ্ছে? কেন তাদের মামলাগুলো হিমঘরে চলে যাচ্ছে? কেন গ্রেফতার কার হচ্ছে না নেপথ্য নায়ক গডফাদারকে? কার হাত রয়েছে সাংবাদিক নিধনের এই মিশনের নেপথ্যে? কার ইশারায় চলছে মাগুরার প্রশাসন ও আইন আদালত? কতদিন আর এক গডফাদারের হাতে জিম্মি থাকবে মাগুরাবাসী?

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ

মাগুরায় এক বছরে ৪ সাংবাদিকের ওপর বর্বর হামলা!

আপডেট টাইম : ০৬:৪১:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

মাগুরা প্রতিনিধি :
সাংবাদিক ও ভিন্নমত প্রকাশকারীদের জন্য এক ভয়ংকর জনপদ হয়ে উঠছে মাগুরা। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা একের পর এক সাংবাদিকদের রক্তাক্ত করছে কিন্তু তাদের বিচার হচ্ছে না। রাজনৈতিক গডফাদার একটি ফোন করেই প্রশাসনকে অকার্যকর করে দিচ্ছে। এমন কি আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তার করে আসামীদের জামিন করিয়ে নিচ্ছে। গত এক বছরে এই সব রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের হাতে কমপক্ষে ৪ জন সাংবাদিক বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদেরকে মেরে হাত,পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাদের মামলাগুলো রক্তশুন্য অবস্থায় পড়ে আছে। তারা একই স্টাইলে হামলাগুলো চালিয়ে প্রমাণ করেছে যে এগুলো একইসুত্রে গাথা।
দুর্বৃত্তরা প্রথম আঘাত করে দৈনিক সোনালী খবর পত্রিকার মাগুরা জেলা প্রতিনিধি কৌশিক আহমেদ সোহাগের ওপর। তাকে হকিস্টিক, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে নির্মম ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হাত ভেঙে দেওয়া হয়। তারা দ্বিতীয় আঘাত করে সাংবাদিক ও গীতিকার লিটন ঘোষ জয়ের ওপর। তাকেও হকিস্টিক ও লোহার রড এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়।
তৃতীয় আঘাত করা হয় দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার মাগুরা জেলা প্রতিনিধি, সাহসী সাংবাদিক মোঃ মিরাজ আহমেদকে। তাকেও হকিস্টিক, লোহার রড ও বাশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখন করা হয়। সর্বশেষ আঘাত করা হয় মাগুরার কৃতি সন্তান দুঃসাহসিক সাংবাদিক, সাহিত্যিক,নাট্যকার,গীতিকার ও কলামিস্ট রোস্তম মল্লিক ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর।
তিনি ইদ উল ফিতরের ছুঁটিতে স্বপরিবারে মাগুরায় গেলে গত ২৫ এপ্রিল ২০২৩ রাত ১০ টার সময় মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের পাশে তার ওপর হামলা চালিয়ে প্রাণ নাশের চেষ্টা করা হয়। আঘাতে তার একটি হাত ভেঙে যায় এবং মাথায় গুরুতর জখম হয়। তার কন্যার একটি হাত ভেঙে দেওয়া হয়। তারা এখনো ডাক্তারের চিকিৎসাধীন।
ধারাবাহিকভাবে এই যে সাংবাদিক নির্যাতন তার সব কটার স্টাইল কিন্তু একই। আর ঘটনাগুলো ঘটানো হয়েছে এক রাজনৈতিক গডফাদারের নির্দেশে। মাগুরাবাসী এবং সাংবাদিক সমাজের প্রশ্ন মাগুরায় কেন বেছে বেছে সাংবাদিকদের আঘাত করা হচ্ছে? কেন তাদের মামলাগুলো হিমঘরে চলে যাচ্ছে? কেন গ্রেফতার কার হচ্ছে না নেপথ্য নায়ক গডফাদারকে? কার হাত রয়েছে সাংবাদিক নিধনের এই মিশনের নেপথ্যে? কার ইশারায় চলছে মাগুরার প্রশাসন ও আইন আদালত? কতদিন আর এক গডফাদারের হাতে জিম্মি থাকবে মাগুরাবাসী?