শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন

ওয়ারিশ সম্পত্তির উপর বসবাস করেও হয়রানির শিকার ফাতেমার পরিবার

ওয়ারিশ সম্পত্তির উপর বসবাস করেও হয়রানির শিকার ফাতেমার পরিবার

বিশেষ প্রতিনিধি :

ফাতেমা আক্তার রনি পিতা মৃতঃ হানিফ মাতাঃ মৃতঃ মিনারা গত ১৯ শে মে ২০০৩ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন মোঃ সোহেল কে ভালোবেসে বিয়েকরার করানে সোহেল এর পিতা মোঃ সেলিম তাদের মেনে নেয়নি মাত্র এক বছর এর মধ্যে তাদের কোল জুড়ে একটা কন্য সন্তান আসে। অবশেষে ২০০৫ সালে তাদের কে মেনে নেওয়া হয়।এবং সোহেল এর পৈত্তিক বাড়ি ১৯৭/১৯৮ছোটভাট মসজিদ, রসুলবাগ,লালবাগে বসবাসে করতে থাকে। সোহেল এর পিতা সেলিমের দুটি স্ত্রী প্রথম স্ত্রীর ঘরে দুই ছেলে আর দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ফাতামা কে মেনে নিলেও বিভিন্ন সময় তার উপর অমানুষিক নির্যাতন করতেন তার শশুর ও সৎ শাশুড়ী। এদিকে ফাতেমার পিতা মাতা উভয় মৃত্যু বরন করায়। নিরুপায় নির্যাতন সয্য করে সংসার করতে থাকেন ফাতেমা।ফাতেমার সুখে দুঃখে পাসে থাকতেন তার স্বামী ও আপন শাশুড়ী ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তার আপন শাশুড়ী ও মৃত্যু বরন করেন। সোহেল দের বাড়িটি ডেভলপার কোম্পানিতে দেওয়া। বর্তমানে এটা ৭ম তাল ভবন। সেখানে সোহেল তার পরিবার নিয়ে একটা ফ্ল্যাটে থাকেন এবং তার বড় ভাই একটা ফ্লাইটে থাকেন। বাকি ফ্ল্যাট গুলো ডেভলপার কোম্পানি ও ওয়ারিশদের মধ্যে সমান হারে বন্টন করা। সোহেল ও তার বড় ভাই কে উচ্ছেদ করার জন্য তার বাবা মোঃ সেলিম, চাচা,মোঃ নুর উদ্দিন, চাচা মোঃ শরিফ চাচা মোঃ আনছার কিছু ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসে।কোন কিছিতে কিছু না হওয়ায় পিতা সেলিম তার দ্বিতীয় স্ত্রীর কথা মতো সোহেল ও তার পরিবার এর নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দেয় যা মহামান্য আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত মামলা গুলো খারিজ করে দেয়। নিরুপায় হয়ে সোহেল তার পিতা ও চাচাদের নামে লালবাগ থানায় দুইটি সাধারণ ডাইরি করেন ডাইরিনং ১০৯১/৯৪৮ ডাইরির কথা শুনে সোহেল ও তার পরিবার এর উপর আরও নির্যাতন করতে থাকেন। পারিবারিক ভাবে বিষয় টা অনেক বার মিমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে। গত ৩/০২/২০২২তারিখ ফাতিমা নিজে লালবাগ থানায় গিয়ে একটা সাধারণ ডাইরি করে ডাইরি নং ৪০ ডাইরির কথা শুনে ফাতেমা কে বিভিন্ন লোকজন দিয়ে হুমকি দিয়ে আসে এমন কি তার একমাত্র কন্যাকেও হুমকি দেয় তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। গত ২৮/০২/২০২৩ পুনরায় লালবাগ থানায় গিয়ে আরও একটা ডাইরি করেন ডাইরি নং ১৫২৩ লালবাগ থানা থেকে এবারও কোন পদক্ষেপ নেয় নি।এদিকে সেলিম ও তার ভাইরা আরও বেশি চরাও হয়ে তাদের উপর গত ১৪/০৫/২০২৩ ইং রাত আনুমানিক ১০.৪৫ মিনিটের সময় ফাতেমার শশুর ও চাচা শশুর এর নির্দেশে তাদের ভবনের ফ্ল্যাট ক্রায় করে বসবাস করে আইনুল হক রায়হান ও তার মেয়ের জামাতা মোঃ সোহাগ এর নেতৃত্বে ৪০/৪৫ জন ভাড়াটিয়া মাস্তান নিয়ে এসে ফাতেমা ও তার পরিবার কে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে যায়। বিষয়টি ১৫/০৫/২০২৩ইং তারিখ লালবাগ থানায় আবারও ডাইরি ভুক্ত করা হয়। ডাইরি নং ৭৫৩ এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ লালবাগ থানার ও সি মহোদয় কে দেখানো হয়।আইনুল হক রায়হান এর মেয়ের জামাতা মোঃ সেলিম রেজা বি সি এস ক্যাডার তিনি কেরানিগঞ্জে মৎস্য ও প্রাণী অধিদপ্তরে কর্মরত আছেন। তাই তিনি তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে প্রশাসন কে নিজের মতো পরিচালনা করার চেষ্টা করে। নিরুপায় হয়ে ফাতেমা লালবাগ জোনের উপ পুলিশ কমিশনার মহোদয় এর শরণাপন্ন হয়। ডি সি সাহেব ফাতেমার সকল কথা শুনে লালবাগ থানার ও সি সাহেব কে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু কোন অলৌকিক শক্তির কারনে বিষয়টি মিমাংসা হচ্ছে না।এখন বিভিন্ন লোকজনের মুখে শোনা যায় ফাতেমা ও তার স্বামী কে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে। বর্তমানে তারা তাদের জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় দিন যাপন করছেন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করছেন।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved 2018-2022 khoborbangladesh.com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com