ঢাকা ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪, ৮ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ সিরাজদিখানে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার সাংবাদিক রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির কক্ষে মিলল পিস্তল, সম্পাদকের কক্ষে ফেন্সিডিল আবু সাঈদের ধারণা ছিলো পুলিশ আমাকে গুলি করবে না মীরপুর গার্লস আইডিয়াল স্কুল থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট ভাঙ্গায় চেয়ারম্যান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত  যমুনার পানিতে কালিহাতীতে ৩০ হাজার পানিবন্দি মানুষ, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত পদ্মায় অবৈধ বালি উত্তোলনে নদীগর্ভে বিলিন ১০টি বাড়িঘর, হুমকিতে শহর রক্ষা বাঁধ স্পীকারের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ সিরাজদিখানে পুলিশের হামলার আহত সাংবাদিক সালমানকে দেখতে গেলেন ওসি

যেভাবে আটক হলেন বাবু চেয়ারম্যান

অনলাইন ডেস্ক :

সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলায় অভিযুক্ত জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাকে পঞ্চগড়ের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে শনিবার ভোর ৪টার দিকে আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা।তিনি বলেন, ‘র‌্যাবের পক্ষ থেকে এই অভিযান চালানো হয়। বর্তমানে তিনি র‌্যাবের হেফাজতেই আছেন।’

এবিষয়ে চিলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ বলেন, ‘আজ সকাল ৭টার দিকে তাকে ধরে নিয়ে যায় র‌্যাব, সিভিল টিম এবং পুলিশ। তার বাড়ি তো জামালপুর, এখানে তিনি বোনের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সকালে চিলাহাটি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক মো. ফখরুল ইসলামের বাড়ি থেকে র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাহমুদুল আলম বাবুকে আটক করে নিয়ে যায়।’

এদিকে, চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ শনিবার বকশীগঞ্জ থানায় নিহতের স্ত্রী মনিরা বেগম এ মামলা দায়ের করেন।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার পাটহাটি মোড় দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সাংবাদিক নাদিম। ঘটনার সময় চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন, আর চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাত সাংবাদিক নাদিমকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এ সময় সেখানে ২০-২৫ জন উপস্থিত ছিলেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাদিম মারা যান।

সাংবাদিক নাদিম বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টিভির উপজেলা সংবাদ সংগ্রাহক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি জেলা অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছিলেন।

সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় নাদিমের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। তার জের ধরেই তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ।

এ ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পদ থেকে অব্যাহতির পাশাপাশি দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বাবুকে। একই সঙ্গে দল থেকে তাকে স্থায়ী বহিষ্কার কেন করা হবে না, তা সাত দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ

যেভাবে আটক হলেন বাবু চেয়ারম্যান

আপডেট টাইম : ০৭:৫১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক :

সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলায় অভিযুক্ত জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাকে পঞ্চগড়ের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে শনিবার ভোর ৪টার দিকে আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা।তিনি বলেন, ‘র‌্যাবের পক্ষ থেকে এই অভিযান চালানো হয়। বর্তমানে তিনি র‌্যাবের হেফাজতেই আছেন।’

এবিষয়ে চিলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ বলেন, ‘আজ সকাল ৭টার দিকে তাকে ধরে নিয়ে যায় র‌্যাব, সিভিল টিম এবং পুলিশ। তার বাড়ি তো জামালপুর, এখানে তিনি বোনের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সকালে চিলাহাটি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক মো. ফখরুল ইসলামের বাড়ি থেকে র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাহমুদুল আলম বাবুকে আটক করে নিয়ে যায়।’

এদিকে, চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ শনিবার বকশীগঞ্জ থানায় নিহতের স্ত্রী মনিরা বেগম এ মামলা দায়ের করেন।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার পাটহাটি মোড় দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সাংবাদিক নাদিম। ঘটনার সময় চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন, আর চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাত সাংবাদিক নাদিমকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এ সময় সেখানে ২০-২৫ জন উপস্থিত ছিলেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাদিম মারা যান।

সাংবাদিক নাদিম বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টিভির উপজেলা সংবাদ সংগ্রাহক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি জেলা অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছিলেন।

সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় নাদিমের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। তার জের ধরেই তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ।

এ ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পদ থেকে অব্যাহতির পাশাপাশি দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বাবুকে। একই সঙ্গে দল থেকে তাকে স্থায়ী বহিষ্কার কেন করা হবে না, তা সাত দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।