শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন

মাগুরায় সরকারি রাস্তা দখল করে স্থাপনা  তৈরির অভিযোগ

মাগুরায় সরকারি রাস্তা দখল করে স্থাপনা  তৈরির অভিযোগ

মোঃ রনি আহমেদ রাজু  :
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:সরকারি খালের পাড়ের রাস্তার জমি দখল করে গোয়াল ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের শহীদ লস্করের উপর। তিনি ওই গ্রামের মৃত মকবুল লস্করের ছেলে।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় অভিযুক্ত শহীদ লস্কর তার বাড়ির সামনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খালের পাড়ের  সরকারি রাস্তা দখল করে একটি গোয়ালঘর নির্মাণ করেছেন এবং গোয়াল ঘরের সামনে দিয়ে তার নিজের দলিল কৃত সম্পত্তির উপর দিয়ে জনগণের চলাচলের জন্য রাস্তা দিয়েছেন।ভুক্তভোগী একই গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ লস্কর জানান শহীদ লস্করের বাড়ির সামনের জমির উপর দিয়ে চলাচলের জন্য যে রাস্তা রয়েছে সেই রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় প্রায়শই তিনি বিভিন্ন রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন এবং  বাধা দেন।গত দেড় বছর পূর্বে তার পিতা আউয়াল  লস্কর শহীদ লস্করের বাড়ির সামনে দিয়ে ধানের গাড়ি নিয়ে আসতে চাইলে শহীদ লস্কর বাধা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়, পরবর্তীতে শহীদ লস্কর এবং তার ছেলেরা তার পিতা  কে মারধর করেন। মারধরের এক পর্যায়ে  এবং তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে  হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এ বিষয়ে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে একট সালিশি বৈঠক সংগঠিত হয়। সালিশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তিন মাসের মধ্যে রাস্তার জমি দখল করে নির্মিত গোয়ালঘর স্থানান্তর করে সরকারি রাস্তা জনগণের চলাচলের জন্য ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়,কিন্তু অভিযুক্ত শহীদ লস্কর দেড় বছরেও  তার গোয়ালঘর স্থান্তর করেননি। গোয়ালঘর সরিয়ে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলায় শহীদ লস্কর  তার সহ আরো তিন চার জনের নামে থানায় অভিযোগ করে পুলিশি হয়রানি করছে বলে জানান এই  অভিযোগকারী।কয়েকজন গ্রামবাসী জানান সরকারি রাস্তা দখল করে গোলগড় স্থাপন করায় তাদের চলাচলের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। সালিশের সিদ্ধান্ত না মেনে শহীদ লস্কর জোর করে সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা তৈরি করে রেখেছেন।ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সংগঠিত শালিশে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম  দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা নওশের আলী লস্কর জানান, গত প্রায় দেড় বছর আগে ধানের গাড়ি আনা কে কেন্দ্র করে শহীদ লস্কর ও তার ছেলেরা আওয়াল লস্করকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে একটা সালিশি বৈঠক সংগঠিত হয় । এবং এতে সিদ্ধান্ত হয় আগামী তিন মাসের মধ্যে শহীদ লস্কর তার গোয়ালঘর ভেঙে সরকারি রাস্তা ছেড়ে দিবেন। কিন্তু তিন মাসের জায়গায় দেড় বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও  তিনি তা করেননি।উপযুক্ত শহীদ লস্কর বলেন সালিশে সিদ্ধান্ত ছিল তার জমির উপর দিয়ে প্রদত্ত রাস্তা ব্যবহারে যেন  জনগণকে বাধা সৃষ্টি না করা হয়। অদ্যবধি ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি কাউকে তিনি বাধার সৃষ্টি করেন নি। তিনি আরো বলেন ঘরের স্থানান্তরের জন্য সময় প্রয়োজন।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved 2018-2022 khoborbangladesh.com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com