ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বড় প্রতিবন্ধকতা আরাকান আর্মি- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে রফতানি হলো ২৭৩ মেট্রিক টন আলু পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে তৈরি বস্ত্রের প্রসারে কাজ করতে হবে-উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান শেওড়াপাড়ায় চাপাতি ঠেকিয়ে ছিনতাইয়ের ভিডিও ভাইরাল, একজন গ্রেপ্তার মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার কাফনের কাপড় বেঁধে গণমিছিলে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা আমিনুল হকের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এনসিপি অপপ্রচার করছে- বিএনপি শাহআলীতে পূর্বশক্রতার জের ধরে মারামারির ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের মাঝে গরু বিতরণ জয়পুরহাটে পর্নোগ্রাফি মামলায় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে গ্রেফতার

পল্লবীতে বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

সোলায়মান
ঢাকা রাজধানীর পল্লবী সাড়ে এগারো অনিক প্লাজার তৃতীয় তলায় বিদেশ পাঠানোর নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছে একটি চক্র। প্রতিষ্ঠানটির নাম “গ্রিন ভিসা”কনসালটেন্সি। প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক রাজিব ও তামিম। তাদের ফেসবুকে পেজে দেওয়া হয় লোভনীয় চোমক অফার। আর লোভনীও অফার দেখে দেশের বেকার যুবক-যবতীরা ধরনা ধরছে ওই সকল প্রতারকদের কাছে। এর মধ্যে বিত্তপরিবারের মানুষ সহায়সম্বল বিক্রি ও ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে পরিবারকে একটু সচ্ছল রাখতে বিদেশ যাওয়ার আশায় লাখ লাখ টাকা তুলে দিচ্ছে গ্রিন ভিসার মালিক রাজিব ও তামিমের হাতে। টাকা নেওয়ার আগে মোটা বেতন থাকা খাওয়ার সুযোগ সুবিধাসহ বিভিন্ন অফারের কথা বলে চক্রের প্রধান রাজিব। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর দিন মাস বছর ঘুরলেও স্বপ্নের দেশ ইতালির কানাডা ফ্রান্সে আর যাওয়া হয়না। তাদের ঋণের বোঝা দিনে দিনে বাড়তে থাকে এবং পরিবারের ভিতর নেমে আসে অশান্তি। এদিকে প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দিতে চাননা। দেখান বিভিন্ন ভয়ভীতি। টাকা ফেরত চাইলে বলে ফাইল পাঠিয়েছি আমাদের লয়ার ওই দেশে কাজ করছে সে দেশ থেকে আপনাকে ভিসা না দিলে আমরা কিছু করতে পারবোনা। সর্বশেষ এক ভুক্তভোগী মাহাবুব রহমান গ্রিন ভিসার প্রতারণার শিকার হন, প্রথমে ফাইল কমপ্লিট করতে নেন ১২ হাজার টাকা। পরে আরো চান ৬ লাখ টাকা। পরে মাহবুব জানতে চান তার ভিসার কি অবস্থা। তারা বলেন কিছু দিনের মধ্যেই ভিসার আপডেট আপনার ইমেইলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। হঠাৎ মাহাবুব আলমের ইমেলে একটি কানাডা ভিসা কনফার্মেশন ইমেল আসে। মেইল দেখেই সন্দেহ বাড়ে মাহবুবের। পরে বিভিন্ন অভিজ্ঞ মানুষের কাছে জানতে পারে এই মেইল গ্রিন ভিসার বানানো। এই ইমেল কানাডাদূতাবাসের ইমেল নয়। পরে টাকা ফেরত চাইলে গ্রিন ভিসা অফিসের লোকজন বিভিন্ন তাল বাহানা শুরু করে। এই বিষয়ে রাজিব বলেন, টাকা দিলে মার হবেই। বিদেশ যাওয়াটা ভাগ্য। আমরা চেষ্টা করতে পারি কিন্ত ওই দেশ ভিসা না দিলে আমাদের কিছু করার নেই। রাজিব আরো বলেন, পল্লবী থানার ওসির গাড়ী চালকের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রশাসনের লোকজন আমার ওখানে যাতায়াত করে। ভিসা না হলে টাকা ফেরত দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাছাড়া আমার অনেক খরচ লাগে অফিস চালাতে। অফিস ভাড়া, এসি বিল, পানির বিল, কারেন্ট বিল, স্টাফ বিল, এই সব খরচ তো আমি আমার বাড়ী থেকে এনে চালাবোনা। সরজমিনে জানা যায়, পল্লবীর অনিক প্লাজার মালিক কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বর্তমানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি নেতা। তার তত্বাবধানে ওই প্লাজায় এমন বহু ভুয়া প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মাসে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তাদের সেল্টার দেয়।
এবিষয়ে অনিক প্লাজার মালিক বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম বলেন, আমি তো ঢাকার বাইরে আছি, টাকা পয়সা নিয়ে যদি প্রতারণা করে থাকে তাহলে আমাকে বইলেন যতদুর করা সম্ভব আমি চেষ্টা করবো সমাধান করার।
এবিষয়ে পল্লবী থানার ওসি মাহফুজ বলেন অভিযোগকারী পেলে ব্যবস্থা নিবো।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বড় প্রতিবন্ধকতা আরাকান আর্মি- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পল্লবীতে বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

আপডেট টাইম : ১১:১৭:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩

সোলায়মান
ঢাকা রাজধানীর পল্লবী সাড়ে এগারো অনিক প্লাজার তৃতীয় তলায় বিদেশ পাঠানোর নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছে একটি চক্র। প্রতিষ্ঠানটির নাম “গ্রিন ভিসা”কনসালটেন্সি। প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক রাজিব ও তামিম। তাদের ফেসবুকে পেজে দেওয়া হয় লোভনীয় চোমক অফার। আর লোভনীও অফার দেখে দেশের বেকার যুবক-যবতীরা ধরনা ধরছে ওই সকল প্রতারকদের কাছে। এর মধ্যে বিত্তপরিবারের মানুষ সহায়সম্বল বিক্রি ও ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে পরিবারকে একটু সচ্ছল রাখতে বিদেশ যাওয়ার আশায় লাখ লাখ টাকা তুলে দিচ্ছে গ্রিন ভিসার মালিক রাজিব ও তামিমের হাতে। টাকা নেওয়ার আগে মোটা বেতন থাকা খাওয়ার সুযোগ সুবিধাসহ বিভিন্ন অফারের কথা বলে চক্রের প্রধান রাজিব। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর দিন মাস বছর ঘুরলেও স্বপ্নের দেশ ইতালির কানাডা ফ্রান্সে আর যাওয়া হয়না। তাদের ঋণের বোঝা দিনে দিনে বাড়তে থাকে এবং পরিবারের ভিতর নেমে আসে অশান্তি। এদিকে প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দিতে চাননা। দেখান বিভিন্ন ভয়ভীতি। টাকা ফেরত চাইলে বলে ফাইল পাঠিয়েছি আমাদের লয়ার ওই দেশে কাজ করছে সে দেশ থেকে আপনাকে ভিসা না দিলে আমরা কিছু করতে পারবোনা। সর্বশেষ এক ভুক্তভোগী মাহাবুব রহমান গ্রিন ভিসার প্রতারণার শিকার হন, প্রথমে ফাইল কমপ্লিট করতে নেন ১২ হাজার টাকা। পরে আরো চান ৬ লাখ টাকা। পরে মাহবুব জানতে চান তার ভিসার কি অবস্থা। তারা বলেন কিছু দিনের মধ্যেই ভিসার আপডেট আপনার ইমেইলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। হঠাৎ মাহাবুব আলমের ইমেলে একটি কানাডা ভিসা কনফার্মেশন ইমেল আসে। মেইল দেখেই সন্দেহ বাড়ে মাহবুবের। পরে বিভিন্ন অভিজ্ঞ মানুষের কাছে জানতে পারে এই মেইল গ্রিন ভিসার বানানো। এই ইমেল কানাডাদূতাবাসের ইমেল নয়। পরে টাকা ফেরত চাইলে গ্রিন ভিসা অফিসের লোকজন বিভিন্ন তাল বাহানা শুরু করে। এই বিষয়ে রাজিব বলেন, টাকা দিলে মার হবেই। বিদেশ যাওয়াটা ভাগ্য। আমরা চেষ্টা করতে পারি কিন্ত ওই দেশ ভিসা না দিলে আমাদের কিছু করার নেই। রাজিব আরো বলেন, পল্লবী থানার ওসির গাড়ী চালকের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রশাসনের লোকজন আমার ওখানে যাতায়াত করে। ভিসা না হলে টাকা ফেরত দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাছাড়া আমার অনেক খরচ লাগে অফিস চালাতে। অফিস ভাড়া, এসি বিল, পানির বিল, কারেন্ট বিল, স্টাফ বিল, এই সব খরচ তো আমি আমার বাড়ী থেকে এনে চালাবোনা। সরজমিনে জানা যায়, পল্লবীর অনিক প্লাজার মালিক কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বর্তমানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি নেতা। তার তত্বাবধানে ওই প্লাজায় এমন বহু ভুয়া প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মাসে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তাদের সেল্টার দেয়।
এবিষয়ে অনিক প্লাজার মালিক বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম বলেন, আমি তো ঢাকার বাইরে আছি, টাকা পয়সা নিয়ে যদি প্রতারণা করে থাকে তাহলে আমাকে বইলেন যতদুর করা সম্ভব আমি চেষ্টা করবো সমাধান করার।
এবিষয়ে পল্লবী থানার ওসি মাহফুজ বলেন অভিযোগকারী পেলে ব্যবস্থা নিবো।