মহম্মদপুর প্রতিনিধি :
সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধ করতেই সংবাদ প্রকাশের জেরে মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি মাসুদ রানা, দৈনিক মানব জমিনের প্রতিনিধি মাহামুদুন নবী ডাবলু ও দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকার প্রতিনিধি মোঃ রাসেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাইবার ক্রাইম মামলা করার জন্য খুলনা সাইবার ক্রাইম কোর্টে দৌড়াদড়ি করিতেছে লুৎফর নামে এক ব্যক্তি।
মামলার হুমকীদাতা হলো মাগুরা, মহম্মদপুর উপজেলার কলমধারী গ্রামের মুক্তাদির বিশ্বাসের ছেলে লুৎফর বিশ্বাস।
তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, লুৎফর রহমান একজন সাবেক সেনা সদস্য তার বিরুদ্ধে এলাকাতে রয়েছে নারী কেলেংকারীর অভিযোগ। মহম্মদপুর উপজেলার গোবর নাদা গ্রামের ফেরদাউস নামে এক সেনা সদস্যর বাড়ীতে গিয়ে লুৎফর রহমান ১৫ লাখ টাকা দাবী করেন, দাবীকৃত টাকা না দিলে ফেরদাউসের সেনা সদস্যর চাকুরীচ্যুত করবে বলে হুমকীদেন এবং সেনা সদস্য ফেরদাউসের স্ত্রী রত্নাকে লুৎফর নিজ কব্জায় নিয়ে নেন। রত্নার বাবার বাড়ী লুৎফর রহমানের একই গ্রামে হওয়ায় তিনি কব্জায় নিতে পারছেন বলে জানা যায়। এর প্রেক্ষিতে গত ২২ জুলাই ২০২৩ইং তারিখে সেনা সদস্য ফেরদাউসের মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে মহম্মদপুর উপজেলায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। বর্তমানে অভিযোগটি মহম্মদপুর থানার এসআই রাকিবের নিকট তদন্তধীন রয়েছে। এসআই রাকিব সাথে কথা বললে তিনি জানান অভিযোগটি তদন্ত চলিতেছে।
যুগান্তর পত্রিকার মহম্মদপুর প্রতিনিধি মাসুদ রানা যুগান্তরে, ভোরের দর্পণ পত্রিকায় রাসেল ১৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজীর নিউজ প্রকাশ করে এবং মানব জমিন প্রতিনিধি মাহামুদুন নবী ডাবলু শেয়ার করিলে তার পর থেকে ওই তিন সাংবাদিককে বিভিন্ন হুমকী ধামকী দিয়ে আসছে লুৎফর রহমান। আবার তিনি অতি উৎসাহিত হয়ে খুলনা সাইবার ক্রাইম কোর্টে মামলা দেয়ার জন্য পাঁয়তারা করছে এবং মামলা দাখিল করার আগে ফেইসবুকে কম্পিউটারে টাইপ করা মামলার বিবরণ ভাইরাল করে। কোর্ট সুত্রে জানা যায় এখনো ওই নামে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোন মামলা দাখিল হয়নি। আর মামলা গ্রহণ করবে কিনা সেটা কোর্টের ব্যাপার।
যুগান্তরের প্রতিনিধি মাসুদ রানা জানান রোকেয়া বেগম নামে এক মহিলাা লুৎফর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মহম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করছে তার সুত্র ধরে নিউজ করছি। সাংবাদিক রাসেল জানান লুৎফরের বিরুদ্ধে মহম্মদপুর থানায় রোকেয়া বেগম নামে এক মহিলা অভিযোগ করেন তার প্রেক্ষিতে আমরা নিউজ করেছি। মাহামুদুন নবী ডাবলু ওই একই বক্তব্য দেন।
এলাকা সুত্রে জানা যায় লুৎফর ততো সুবিধা জনক লোক নয়, সে মানুষের ক্ষতি করার জন্য সেই ধান্দায় ঘুরে বেড়ায়। তবে তার বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর অভিযোগও রয়েছে, সুত্রে জানা যায় ২০০৯ সালে নারী কেলেংকারীর অভিযোগে লোকবীমা থেকে সে চাকুরীচ্যুত হোন। আরো বিস্তারিত আসিতেছে……….।