মাহামুদুন নবী :
মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য রনি রানা (৩৫) নামের এক ইউপি সদস্যের ইয়াবা সেবনের ছবি ফাঁস হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। রনি রানা বাবুখালি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং হরিনডাঙ্গা গ্রামের মো: মুজিবার মোল্যার ছেলে। ফেসবুক স্ট্যাটাসে সূত্রে জানা যায়, বাবুখালি ইউপির বর্তমান ইউপি সদস্য রনি রানা ইয়াবা সেবন করছে। পাশাপাশি বাবুখালি ইউনিয়ের দীঘা ইউনিয়নে ইয়াবা ব্যবসার বড় একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে ওই ইউপি সদস্য। টেকনাফ থেকে সরাসরি বড় বড় ইয়াবার চালান মোটরসাইকেল যোগে নিয়ে আসছে মিন্টু নামের তার আরেক সহযোগী। তারপর উপজেলার অলিদে গলিতে ছড়িয়ে দিচ্ছে। স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ইউপি সদস্য রনি রানার একটি চক্র আছে যারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে দিন-রাতে ইয়াবার আসর বসায় । এছাড়া সংঘবদ্ধ চক্রটি পুলিশের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে নিয়মিত ইয়াবার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তার কারনে এলাকার যুবসমাজ আজ ধ্বংসের মুখে। তারা রনির বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করে এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার অনুরোধ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফাঁস হওয়া ছবিটি তার কিনা এ বিষয়ে ইউপি সদস্য রনি রানার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে ছবিটি তার বলে তিনি নিশ্চিত করেন এবং বলেন এটি আগের ছবি। ইউপি চেয়ারম্যান মীর সাজ্জাদ হোসেন জানান, ইউপি সদস্য রনি রানার ইয়াবা সেবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে বিষয়টি জেনেছি এবং ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রাথমিকভাবে অবহিত করা হয়েছে। মহম্মদপুর থানার ওসি বোরহানুল ইসলাম বলেন, রনির ইয়াবা সেবনের ছবিটি আমি দেখেছি প্রকৃতপক্ষে সে ইয়াবা খায় কিনা সেটা যাচাই করে ঘটনা সত্য হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল জানান, ইউপি সদস্য রনি রানার ইয়াবা সেবনের বিষয়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছেন। ঘটনাটি যদি প্রকৃত সত্য হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।