শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন

পল্লবীর ফারুক ঔষধ বিক্রেতা থেকে এমবিবিএস ডাক্তার!

পল্লবীর ফারুক ঔষধ বিক্রেতা থেকে এমবিবিএস ডাক্তার!

মোঃ সোহেল রানা :
রাজধানী পল্লবী বাউনিয়াবাঁধ সি ব্লক কলাবাগান এলাকার বর্তমানে আলোড়ন সৃষ্টিকারি ফাতেমা মেডিকেল হল এর ডাঃ ফারুক হোসেন স্বপনে পাওয়ার মতো বনে যান এমবিবিএস ডাক্তার। এলাকা সুত্রে জানা যায়, ফারুক হোসেন নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রুগী দেখেন ও ছোট বড় অপরাশেনও করে থাকেন। এলাকার সাধারণ জনগণ জানান প্রথমে ফারুক হোসেন রোগী দেখা শুরু করে তার কিছু দিন পর থেকেই লিফটলেট বানিয়ে প্রচার করেন অতি যত্ন সহকারে ব্যাথা মুক্ত সেলাই ছাড়া মুসলমানী করানো হয় এবং নিচে লিখেছেন যোগযোগ ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন। ফারুক জানান আমার স্ত্রী ও ডাক্তার ক্লাস টেন পাশ করেছে আর আমি যেমন দেখে শিখেছি আমার স্ত্রী ও আমার নিকট থেকে দেখে শিখেছে। স্বামী স্ত্রী এখন দুইজন মিলে ডাঃ হয়ে রোগী দেখা মুসলমানী করানো বিভিন্ন রোগের ওষুধ বিক্রয় করেন। স্বপ্নে পাওয়া মতো স্বামী স্ত্রী দুজনে ডাঃ স্বামী স্ত্রী দুজনে বলেন আমরা মেট্রিক পড়েছি টেন পাশ। ফাতেমা মেডিকেল হল যে ফার্মেসিতে ওষুধ বিক্রয় করেন নেই ড্রাগ লাইসেন্স কোন প্রকার আইনের তোয়াক্কা না করেই নিজেই ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন বনে গেছেন বাউনিয়াবাঁধ সি ব্লক কলাবাগান এলাকার বিশাল বড় ডাক্তার ও ফাতেমা মেডিকেল হলের মালিক। তথ্য অনুসন্ধানে গেলে সনদ বিহীন শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া ডাঃ ফারুক হোসেন প্রতিবেদক কে বলেন আমি ফার্মেসিতে ওষুধ বিক্রয় করতাম দেখে দেখে সব শিখেছি ছোট খাটো অপারেশন ও করতে পারি। ফারুক হোসেন এর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সনদপত্র বিষয়ে জানতে চাইলে ফারুক হোসেন বলেন আমার কোন সার্টিফিকেট নেই এমনকি ফাতেমা মেডিকেল হল ঐ প্রতিষ্ঠানের ওষুধ বিক্রয় এর কোন ড্রাগ লাইসেন্স নেই আমার স্ত্রী আমার কাছে থেকে শিখে এখন সেও ডাক্তার। ভুয়া ডাঃ ফারুক এর স্ত্রী বললেন আমি ক্লাস টেন পাশ করেছি আমি ও আমার স্বামীর নিকট থেকে সব শিখেছি। ফারুক ও তার স্ত্রী দুজন বলেন আমরা ক্লাস টেন পাশ করেছি। এক ভুক্তভোগী সুমন জানান গত ৩/৭/২০২৩/ইং তারিখে বাউনিয়াবাঁধ এলাকায় আমার ছেলে তাছকিমের মুসলমানী করাতে গিয়ে পুরুষাঙ্গের অধেক কেটে ফেলে এবং ওই সময় নামধারী কথিত ভুয়া ডাঃ ফারুক হোসেন রক্ত দেখে খাট থেকে পড়ে যায়। পরবর্তীতে তাছকিমের রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে মিরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে সেলাই করা হলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়। পরবর্তীতে ভুয়া ডাঃ ফারুক হোসেন এর বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করি। পল্লবী থানা পুলিশের সফল অভিযানে ভুয়া ডাঃ ফারুক হোসেন গ্রেফতার হয়। জামিনে এসে আবার ও ফার্মেসিতে ওষুধ বিক্রয় ও রোগী দেখাসহ বিভিন্ন ডাঃ কার্যকলাপ শুরু করেছেন। এলাকার সাধারণ মানুষের দাবী ভুয়া ডাঃ ফারুককে আইনের আওতায় এনে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি।যেন ভবিষ্যতে ডাঃ এর নাম ভাঙ্গিয়ে অসহায় রোগীদের সাথে প্রতারণা করতে না পারে ।সেই সাথে ফাতেমা মেডিকেল হল বন্ধের জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তোভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী। বিস্তারিত আগামী পর্বে………।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved 2018-2022 khoborbangladesh.com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com