মঞ্জুরুল ইসলাম রতন :
জমি কেনাবেচার কথা শুনলেই যে কারও মধ্যে ভোগান্তি ও দুশ্চিন্তা শুরু হয়। জমি রেজিস্ট্রি কাজে সেবাপ্রার্থীদের সেই ভোগান্তি ও দুশ্চিন্তা দূর করতে বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছে ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার অহিদুল ইসলাম। জমি রেজিস্ট্রি কাজে দীর্ঘদিনের দুর্নীতি, অনিয়ম ও ভোগান্তি দূর করে স্বচ্ছতা এসেছে ঢাকা রেজিস্ট্রি কমপ্লেক্সে। কমপ্লেক্সে থাকা ১১টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, একটি জেলা রেজিস্ট্রার অফিস, জেলা রেকর্ড রুম ও কমপ্লেক্স চত্বরে সিসি টিভির আওতায় আনা হয়েছে। তাছাড়া সেবাপ্রার্থীদের জন্য গণশুনানী কার্যক্রম পরিচালনা করেন। জনগণের হয়রানি রোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি হেল্প ডেস্ক ও একটি ডিজিটাল বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। ভবনের মূল ফটকের সামনের গাড়ি পার্কিং ও হকারদের আনাগোনা থাকলেও এখন সেটি নেই। ফলে বদলে গেছে ঢাকা রেজিস্ট্রি কমপ্লেক্সের চিত্র। সেবাপ্রার্থীরা জানান, আগের তুলনায় দালালদের দৌরাত্ম্য কম এবং এখন স্বাচ্ছন্দ্যে নিজেদের সেবা নিতে পারছি। তাছাড়া কমপ্লেক্সের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও দৃষ্টিনন্দন। কয়েক সাব-রেজিস্ট্রার বলেন, বর্তমান ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার অহিদুল ইসলাম স্যার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে। একজন সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে সেবাপ্রার্থীদের দলিল সম্পন্ন করতে যেকোনো সমস্যায় পড়লে জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে সহজেই পরামর্শ নিতে পারি। জমি কেনাবেচা করতে আসা মানুষ যাতে ভোগান্তিতে না পড়েন সে জন্য নির্দেশনা দেন, উৎসাহিত করেন। জমি রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে আইন, বিধি থেকে শুরু করে জনবান্ধব কর্মকান্ড বর্তমান জেলা রেজিস্ট্রার অভিজ্ঞ ও আন্তরিক। আইনি জটিলতার কারণে দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দিলে জেলা রেজিস্ট্রারের সঙ্গে সহজেই তা নিয়ে পরামর্শ করা যায়। বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেলা রেজিস্ট্রার অহিদুল ইসলাম এ ব্যাপারে বলেন, জেলা রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব গ্রহণের পর পরেই অনিয়ম, দুর্নীতি ও সেবাপ্রার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। সেবাপ্রার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি ব্যবস্থা, ময়লার বিন বা বাক্স স্থাপন, ডেঙ্গু মশা নিধন সহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত, ১নং ভবনের সম্প্রসারণ কাজ অচিরেই শুরু হবে। তাছাড়া এসডিই বোর্ড এর সম্মুখ প্রান্তরে কলাপসিবল গেইট অচিরেই নির্মিত হবে। মানুষ জমি কেনাবেচা করতে আগের মতো আর ভোগান্তির শিকার হয় না। কোনো সেবাপ্রার্থী জমি বিক্রি কিংবা কিনতে এসে সমস্যায় পড়লে সরাসরি আমার দপ্তরে আসতে পারেন। একজন জেলা রেজিস্ট্রার হিসেবে সেবাপ্রার্থীদের জন্য সার্বক্ষণিক দরজা খোলা।