মহম্মদপুর প্রতিনিধি :
সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধ করতেই মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি মাসুদ রানা, দৈনিক মানব জমিনের প্রতিনিধি মাহামুদুন নবী ডাবলু ও দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকার প্রতিনিধি মোঃ রাসেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাইবার ক্রাইম মামলা করছেন লুৎফর নামে এক ব্যক্তি। তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, মাগুরা, মহম্মদপুর উপজেলার কলমধারী গ্রামের মৃত মুক্তাদির বিশ্বাসের বড় ছেলে লুৎফর বিশ্বাস বর্তমান মহম্মদপুর উপজেলাতে থাকেন। লুৎফর বিশ^াস একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য তার বিরুদ্ধে এলাকাতে রয়েছে নারী কেলেংকারীর অভিযোগ। মহম্মদপুর উপজেলার গোবর নাদা গ্রামের আজিজার মোল্যার ছেলে সেনা সদস্য ফেরদাউসের বাড়ীতে গিয়ে লুৎফর বিশ^াস ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন, দাবীকৃত টাকা না দিলে ফেরদাউসের সেনা সদস্য থেকে চাকুরীচ্যুত করবে বলে হুমকীদেন এবং সেনা সদস্য ফেরদাউসের স্ত্রী রত্না বেগমের বাবার বাড়ী লুৎফর বিশ^াসের একই গ্রামে হওয়ায় তাকে নিজ কব্জায় নেন। সুত্রে জানা যায় ডাক্তার বলছে সেনা সদস্য ফেরদাউসের বড় স্ত্রীর রত্না বেগমের কোন সন্তান হবে না তখন রত্না বেগম সন্তানের জন্য আরেকটি বিবাহের মৌখিক অনুমতি দেয়। বড় স্ত্রীর অনুমতিক্রমে ফেরদাউস দ্বিতীয় বিবাহ করেন। ২ বছর পর ছোট স্ত্রীর একটি পুত্র সন্তান হয় এবং সাবাই সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করছে। ৩ বছরের মাথায় লুৎফর রত্না বেগমের নিকট থেকে দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানতে পারে রত্নাকে কুট বুদ্ধি দেয়া শুরু করেন এবং রত্নার স্বাক্ষর নিয়ে লুৎফর নিজে গিয়ে ফেরদাউসের সেনা ইউনিটে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আসে। অভিযোগ দিয়ে ফেরদাউসের বাড়ী এসে লুৎফর বিশ^াস ১৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবী করেন। বিষয়টি বুঝতে পারে গত ২২ জুলাই ২০২৩ইং তারিখে সেনা সদস্য ফেরদাউসের মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে মহম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। বর্তমানে অভিযোগটি মহম্মদপুর থানার এসআই রাকিবের নিকট তদন্তধীন রয়েছে। এসআই রাকিব সাথে কথা বললে তিনি জানান অভিযোগটি তদন্ত অবস্থায় আছে।
এই বিষয়ে যুগান্তর পত্রিকার মহম্মদপুর প্রতিনিধি মাসুদ রানা, ভোরের দর্পণ পত্রিকায় রাসেল ১৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজীর নিউজ প্রকাশ করে এবং মানব জমিন প্রতিনিধি মাহামুদুন নবী ডাবলু নিউজ করলে ওই তিন সাংবাদিককের বিরুদ্ধে লুৎফর বিশ^াস খুলনার সাইবার ক্রাইম কোর্টে সাংবাদিক পেশা গোপন করে মিথ্যা মামলা মামলা করেন। খুলনার সাইবার ক্রাইম কোর্ট সত্যেতা যাচাই করার জন্য মামলাটি প্রাথমিক পুলিশ তদন্তের নির্দেশ দেন।
যুগান্তরের প্রতিনিধি মাসুদ রানা জানান, রোকেয়া বেগম নামে এক মহিলাা লুৎফর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মহম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন তার সুত্র ধরে নিউজ করছি। সাংবাদিক রাসেল জানান লুৎফরের বিরুদ্ধে মহম্মদপুর থানায় রোকেয়া বেগম নামে এক মহিলা অভিযোগ করেন তার প্রেক্ষিতে আমরা নিউজ করেছি। মাহামুদুন নবী ডাবলু ওই একই বক্তব্য দেন। এলাকা সুত্রে জানা যায় লুৎফর ততো সুবিধা জনক লোক নয়, টাকার লোভে মানুষের ক্ষতি করার জন্য ধান্দায় ঘুরে বেড়ায়। তবে তার বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর অভিযোগও রয়েছে, সুত্রে জানা যায় ২০০৯ সালে মহম্মদপুর উপজেলার মৌশা গ্রামের সহপাঠি জুলেখার সাথে নারী কেলেংকারীর অভিযোগে লোকবীমা থেকে চাকুরীচ্যুত হোন।
প্রতিবেদক লুৎফর বিশ^াসের সাথে মুটোফোনে কথা বললে তিনি জানান আমি ফেরদাউসের বাড়ী যায়নি এবং ১৫ লাখ টাকা ও চাইনি, রত্নারা কিছু বোঝে না তাই রত্নাকে সঙ্গে করে নিয়ে ফেরদাউসের সেনা ইউনিটে একটা অভিযোগ দিয়েছি। কার ইশারায় ৩ বছর পর ফেরদাউসের সেনা ইউনিটে অভিযোগ হলো? এতোদিন পর কেনো? অভিযোগ। পরবর্তী সংখ্যায় আরো বিস্তারিত আসছে……….।
শিরোনাম :
মহম্মদপুরের তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা!
- খবর বাংলাদেশ ডেস্ক :
- আপডেট টাইম : ১১:৫০:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩
- ১৬৩৭ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ