ঢাকা ১২:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০২৪, ৬ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ সিরাজদিখানে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার সাংবাদিক রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির কক্ষে মিলল পিস্তল, সম্পাদকের কক্ষে ফেন্সিডিল আবু সাঈদের ধারণা ছিলো পুলিশ আমাকে গুলি করবে না মীরপুর গার্লস আইডিয়াল স্কুল থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট ভাঙ্গায় চেয়ারম্যান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত  যমুনার পানিতে কালিহাতীতে ৩০ হাজার পানিবন্দি মানুষ, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত পদ্মায় অবৈধ বালি উত্তোলনে নদীগর্ভে বিলিন ১০টি বাড়িঘর, হুমকিতে শহর রক্ষা বাঁধ স্পীকারের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ সিরাজদিখানে পুলিশের হামলার আহত সাংবাদিক সালমানকে দেখতে গেলেন ওসি

ঢাকা জেলা জজ আদালতের জারি কারক কামরুলের ঘুষ বানিজ্য ফাঁস! (ভিডিও)

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন: (পর্ব-১)
ঢাকা জেলা জজ আদালতের নেজারত বিভাগের জারি কারক কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতের দখলী পরোয়ানার দখল নিয়ে রয়েছে বেপরোয়া দূর্নীতির অভিযোগ। ঢাকা জেলার জজ আদালতের সকল মামলার সমন/নোটিশ নিলাম দরপত্র ও দখলী পরোয়ানা জারি কারকদের নামে হাওলা হলে তখন তারা অবৈধ টাকার গন্ধের স্বাদনিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেন কামরুল। আর প্রত্যেকটি সমন/নোটিশ পেতে হলে নাজিরকে দিতে হয় ঘুষ। বিশেষ করে বড় ধরনের লেনদেন হয় দখলী পরোয়ানায় যা নাজির নিজে ও যে জারি কারকের নামে হাওলা হয় সে মিলে বিবাদী দায়িক এর নিকট থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে ক্ষমতার জোরে তার কাজ করেন আর ডিগ্রীদার দখলী থেকে হয় বঞ্চিত। তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, জজ আদালতের রায়ের পরে নেজারত বিভাগে নাজির ও জারি কারকদের গোপনে আরেকটি আদালত বসে আর সেই আদালতে চলে ঘুষ বানিজ্যর মহা-উৎসব।
এমনি ঢাকা জেলা জজ আদালতের জারি কারক কামরুলের ঘুষ বানিজ্য ফাঁস হয়েছে, ভিডিওটি দেখতে নিচের ভিডিও লিংকে ক্লিক করুন।

মিরপুর-২ নম্বর সেকশনের রূপনগর হাজী রোডের, এভিনিউ-৩ এর ৫নং বাড়ী দখলের জন্য ঢাকা জেলা জজ ৪নং অর্থঋণ আদালতের ২০০৩ সালে আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক বাদী হয়ে একটি মামলা করেন ওই বাড়ীর মালিক ঋণ গ্রহিতা আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে। আব্দুল খালেক মামলা দেখাশোনার জন্য দায়ীত্বভার অর্পণ করেন সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ নামে এক ব্যাক্তির কাছে। সেই মামলায় ২০২১ সালে ডিগ্রীদার হয় আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের পক্ষে। ঢাকা জেলা জজ আদালতের নেজারত বিভাগের নাজির ওই দখলী পরোয়ানা জারি কারক কামরুল ইসলামের নামে হাওলা করেন। ডিগ্রীদার আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক হওয়ায় জারি কারক কামরুল ইসলাম ওই খান থেকে অর্থিক সুবিধা না পেলে, বিবাদী দায়ীক পক্ষের সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশের সাথে যোগাযোগ করেন। কামরুল ইসলাম পলাশকে বলেন আমাকে ৫ লাখ টাকা দিলে আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক আপনার বাড়ী দখল নিতে পারবে না। তখন সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ ও জারি কারক কামরুল ইসলামের সাথে ঘুষ বাণিজ্যর একটা রফাদফা হয় এবং শেষ পর্যন্ত তিন লাখ টাকায় মিটমাট হয়।

দখলের একদিন আগে কামরুলের হাতে পলাশ নগদ তিন লাখ টাকা তুলে দেন। তখন কামরুল পলাশকে বলে দিলেন আমাদের কোর্টের লোক যখন পুলিশ নিয়ে যাবে তখন আপনারা লোক ভাড়া করে বাড়ীর সামনে রাখবেন এবং একটা হট্টগোল সৃষ্টি করবেন। তখন আমাদের কোর্টের লোক পুলিশ নিয়ে দূরে অবস্থান করবে এই ভাবে সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত করবেন। যখন বিকাল ৫টা বাজবে তখন আমাদের কোর্টের লোক চলে আসবে আর আপনার বাড়ী আপনার থাকে যাবে। জারি কারক কামরুলের কথা মোতাবেক সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ বস্তি থেকে ৫০ জন নারী-পুরুষ ভাড়া করে ওই বাড়ীর সামনে রেখে দিলেন এবং সকাল ৯টায় কোর্টের লোকজন বাড়ীর সামনে আসা মাত্র একটা হট্টগোল সৃষ্টি করলো তখন কোর্টের লোক দূরে অবস্থান চলে গেলো। কিন্তু ব্যাংকের লোকজন কোর্টের লোকের চালাকি বুঝতে পারে তারা পুলিশ ও লেবার দিয়ে অনেক কষ্টে বিকাল সাড়ে ৪টার সময় দখল নিয়ে নিলেন ওই বাড়ীটি। বাড়ীটি হাত ছাড়া হয়ে গেলে পরের দিন সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ কোর্টে এসে জারি কারক কামরুলের নিকট ঘুষের টাকা ফেরৎ চাইলে কামরুল টাকা ফেরৎ দিতে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন। জারি কারক কামরুলের সাথে পলাশের ঘুষ লেনদেনের ১টি ভিডিও ফুটেজ খবর বাংলাদেশ পত্রিকার হাতে আসে। তখন থেকেই অনুসন্ধানে নামেন খবর বাংলাদেশ অনুসন্ধানী টিম। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ জারি কারক কামরুলের নিকট টাকা ফেরৎ চান তখন কামরুল বলে ভাই এই টাকা থাকেনা কারণ এটা বিভিন্ন জায়গা ভাগ হয়ে যায়। আমি এখন কি ভাবে টাকা ফেরত দেবো বলেন? বলতে থাকে পলাশকে। কামরুল আরও বলেন আমি টাকা নিয়েছি ঠিক আছে আমাকে সময় দেন আমি টাকা দিয়ে দেবো।

এ বিষয়ে দৈনিক খবর বাংলাদেশের প্রতিবেদক ঢাকা জেলা জজ আদালতের নেজারত বিভাগের জারি কারক কামরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান হ্যা মিরপুরের একটি বাড়ী দখলী নিয়ে বিবাদী দায়ীক পক্ষ পলাশের সাথে আমার একটা লেনদেন হয়ে ছিলো কিন্তু আমি তাকে টাকা ফেরৎ দিয়েছি। বিবাদী দায়ীক পলাশের সাথে কথা বললে তিনি জানান ঢাকা জেলা জজ আদালতের নেজারত বিভাগের জারি কারক কামরুল ইসলাম আমার মিরপুরের বাড়ী ব্যাংক দখল নিতে পারবেনা এই কথা বলে আমার নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা ঘুষ নেয় এবং আমার টাকা ফেরত দেয়নি।

বিচার প্রার্থীরা ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আসেন দেশের সর্বচ্ছ বিচার বিভাগ আদালতে, আর জজের রায় নিয়ে নাজির ও জারি কারকরা করে যাচ্ছে দিনের পর দিন ঘুষ বানিজ্য। বিচার প্রার্থীদের একদিকে দিতে হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে উকিলদের টাকা আবার বিচার শেষ হয়ে গেলে নেজারত শাখায় দিতে হয় মোটা অংকের আরেক দফা টাকা। এই কি বিচার বিভাগ?……..চলবে। পরবর্তী সংখ্যায় দেখুন ঢাকা জেলা জজ আদালতের নেজারত বিভাগের নাজির খাদেমুল ইলামের দূর্নীতির মহ-উৎসব।

ভিডিওটি দেখতে  ভিডিওতে  ক্লিক করুন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ

ঢাকা জেলা জজ আদালতের জারি কারক কামরুলের ঘুষ বানিজ্য ফাঁস! (ভিডিও)

আপডেট টাইম : ১১:৫০:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন: (পর্ব-১)
ঢাকা জেলা জজ আদালতের নেজারত বিভাগের জারি কারক কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতের দখলী পরোয়ানার দখল নিয়ে রয়েছে বেপরোয়া দূর্নীতির অভিযোগ। ঢাকা জেলার জজ আদালতের সকল মামলার সমন/নোটিশ নিলাম দরপত্র ও দখলী পরোয়ানা জারি কারকদের নামে হাওলা হলে তখন তারা অবৈধ টাকার গন্ধের স্বাদনিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেন কামরুল। আর প্রত্যেকটি সমন/নোটিশ পেতে হলে নাজিরকে দিতে হয় ঘুষ। বিশেষ করে বড় ধরনের লেনদেন হয় দখলী পরোয়ানায় যা নাজির নিজে ও যে জারি কারকের নামে হাওলা হয় সে মিলে বিবাদী দায়িক এর নিকট থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে ক্ষমতার জোরে তার কাজ করেন আর ডিগ্রীদার দখলী থেকে হয় বঞ্চিত। তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, জজ আদালতের রায়ের পরে নেজারত বিভাগে নাজির ও জারি কারকদের গোপনে আরেকটি আদালত বসে আর সেই আদালতে চলে ঘুষ বানিজ্যর মহা-উৎসব।
এমনি ঢাকা জেলা জজ আদালতের জারি কারক কামরুলের ঘুষ বানিজ্য ফাঁস হয়েছে, ভিডিওটি দেখতে নিচের ভিডিও লিংকে ক্লিক করুন।

মিরপুর-২ নম্বর সেকশনের রূপনগর হাজী রোডের, এভিনিউ-৩ এর ৫নং বাড়ী দখলের জন্য ঢাকা জেলা জজ ৪নং অর্থঋণ আদালতের ২০০৩ সালে আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক বাদী হয়ে একটি মামলা করেন ওই বাড়ীর মালিক ঋণ গ্রহিতা আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে। আব্দুল খালেক মামলা দেখাশোনার জন্য দায়ীত্বভার অর্পণ করেন সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ নামে এক ব্যাক্তির কাছে। সেই মামলায় ২০২১ সালে ডিগ্রীদার হয় আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের পক্ষে। ঢাকা জেলা জজ আদালতের নেজারত বিভাগের নাজির ওই দখলী পরোয়ানা জারি কারক কামরুল ইসলামের নামে হাওলা করেন। ডিগ্রীদার আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক হওয়ায় জারি কারক কামরুল ইসলাম ওই খান থেকে অর্থিক সুবিধা না পেলে, বিবাদী দায়ীক পক্ষের সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশের সাথে যোগাযোগ করেন। কামরুল ইসলাম পলাশকে বলেন আমাকে ৫ লাখ টাকা দিলে আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক আপনার বাড়ী দখল নিতে পারবে না। তখন সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ ও জারি কারক কামরুল ইসলামের সাথে ঘুষ বাণিজ্যর একটা রফাদফা হয় এবং শেষ পর্যন্ত তিন লাখ টাকায় মিটমাট হয়।

দখলের একদিন আগে কামরুলের হাতে পলাশ নগদ তিন লাখ টাকা তুলে দেন। তখন কামরুল পলাশকে বলে দিলেন আমাদের কোর্টের লোক যখন পুলিশ নিয়ে যাবে তখন আপনারা লোক ভাড়া করে বাড়ীর সামনে রাখবেন এবং একটা হট্টগোল সৃষ্টি করবেন। তখন আমাদের কোর্টের লোক পুলিশ নিয়ে দূরে অবস্থান করবে এই ভাবে সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত করবেন। যখন বিকাল ৫টা বাজবে তখন আমাদের কোর্টের লোক চলে আসবে আর আপনার বাড়ী আপনার থাকে যাবে। জারি কারক কামরুলের কথা মোতাবেক সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ বস্তি থেকে ৫০ জন নারী-পুরুষ ভাড়া করে ওই বাড়ীর সামনে রেখে দিলেন এবং সকাল ৯টায় কোর্টের লোকজন বাড়ীর সামনে আসা মাত্র একটা হট্টগোল সৃষ্টি করলো তখন কোর্টের লোক দূরে অবস্থান চলে গেলো। কিন্তু ব্যাংকের লোকজন কোর্টের লোকের চালাকি বুঝতে পারে তারা পুলিশ ও লেবার দিয়ে অনেক কষ্টে বিকাল সাড়ে ৪টার সময় দখল নিয়ে নিলেন ওই বাড়ীটি। বাড়ীটি হাত ছাড়া হয়ে গেলে পরের দিন সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ কোর্টে এসে জারি কারক কামরুলের নিকট ঘুষের টাকা ফেরৎ চাইলে কামরুল টাকা ফেরৎ দিতে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন। জারি কারক কামরুলের সাথে পলাশের ঘুষ লেনদেনের ১টি ভিডিও ফুটেজ খবর বাংলাদেশ পত্রিকার হাতে আসে। তখন থেকেই অনুসন্ধানে নামেন খবর বাংলাদেশ অনুসন্ধানী টিম। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ জারি কারক কামরুলের নিকট টাকা ফেরৎ চান তখন কামরুল বলে ভাই এই টাকা থাকেনা কারণ এটা বিভিন্ন জায়গা ভাগ হয়ে যায়। আমি এখন কি ভাবে টাকা ফেরত দেবো বলেন? বলতে থাকে পলাশকে। কামরুল আরও বলেন আমি টাকা নিয়েছি ঠিক আছে আমাকে সময় দেন আমি টাকা দিয়ে দেবো।

এ বিষয়ে দৈনিক খবর বাংলাদেশের প্রতিবেদক ঢাকা জেলা জজ আদালতের নেজারত বিভাগের জারি কারক কামরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান হ্যা মিরপুরের একটি বাড়ী দখলী নিয়ে বিবাদী দায়ীক পক্ষ পলাশের সাথে আমার একটা লেনদেন হয়ে ছিলো কিন্তু আমি তাকে টাকা ফেরৎ দিয়েছি। বিবাদী দায়ীক পলাশের সাথে কথা বললে তিনি জানান ঢাকা জেলা জজ আদালতের নেজারত বিভাগের জারি কারক কামরুল ইসলাম আমার মিরপুরের বাড়ী ব্যাংক দখল নিতে পারবেনা এই কথা বলে আমার নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা ঘুষ নেয় এবং আমার টাকা ফেরত দেয়নি।

বিচার প্রার্থীরা ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আসেন দেশের সর্বচ্ছ বিচার বিভাগ আদালতে, আর জজের রায় নিয়ে নাজির ও জারি কারকরা করে যাচ্ছে দিনের পর দিন ঘুষ বানিজ্য। বিচার প্রার্থীদের একদিকে দিতে হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে উকিলদের টাকা আবার বিচার শেষ হয়ে গেলে নেজারত শাখায় দিতে হয় মোটা অংকের আরেক দফা টাকা। এই কি বিচার বিভাগ?……..চলবে। পরবর্তী সংখ্যায় দেখুন ঢাকা জেলা জজ আদালতের নেজারত বিভাগের নাজির খাদেমুল ইলামের দূর্নীতির মহ-উৎসব।

ভিডিওটি দেখতে  ভিডিওতে  ক্লিক করুন।