ঢাকা ১২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ সিরাজদিখানে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার সাংবাদিক রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির কক্ষে মিলল পিস্তল, সম্পাদকের কক্ষে ফেন্সিডিল আবু সাঈদের ধারণা ছিলো পুলিশ আমাকে গুলি করবে না মীরপুর গার্লস আইডিয়াল স্কুল থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট ভাঙ্গায় চেয়ারম্যান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত  যমুনার পানিতে কালিহাতীতে ৩০ হাজার পানিবন্দি মানুষ, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত পদ্মায় অবৈধ বালি উত্তোলনে নদীগর্ভে বিলিন ১০টি বাড়িঘর, হুমকিতে শহর রক্ষা বাঁধ স্পীকারের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ সিরাজদিখানে পুলিশের হামলার আহত সাংবাদিক সালমানকে দেখতে গেলেন ওসি

ঢাকা জেলা জজ আদালতের নাজির খাদেমুল ও জারি কারক কামরুলের খুটির জোর কোথায়?

স্টাফ রিপোর্টার :
১৩ আগষ্ট ২০২৩ইং তারিখে দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকায় ঢাকা জেলা জজ, আদালতের নেজারত বিভাগের জারী কারক, কামরুল ইসলাম ও নাজির খাদেমুল ইসলামের বিরুদ্ধে দূর্নীতির একটি নিউজ প্রকাশিত হয়। উক্ত নিউজ প্রকাশের পরে নাজির ও জারী কারক কামরুল ইসলাম মিলে নাজির খাদেমুল ইসলাম এক মৌখিক হুকুম জারী করেন যে, আদালত চত্বরে দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকার যাকেই পাওয়া যাবে তাকেই আটক করে আমাকে জানাবে। এই হুকুম জারীর পরে গত ২০আগষ্ট ২০২৩ইং তারিখে দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোঃ হায়দার আলী গাজী, পত্রিকার কাজের ব্যাপারে আদালতে গেলে, নাজির ও জারি কারক কামরুল ইসলাম সহ অন্যান্য জারি কারক মিলিত হয়ে, হায়দার গাজী কে ধরে লাঞ্চিত করার মানসে আদালতের প্রত্যেক টি কক্ষে তল্লাসি করে। হায়দার গাজী বিষয় টি বুঝতে পেরে আদালত থেকে চলে যান।
সুত্রে জানা যায়, ঢাকা জেলা জজ আদালতের নেজারত বিভাগের জারি কারক কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতের দখলী পরোয়ানার দখল নিয়ে একটি ঘুষ বানিজ্যর ভিডিও ফাঁস হয়। ঢাকা জেলার জজ আদালতের সকল মামলার সমন/নোটিশ নিলাম দরপত্র ও দখলী পরোয়ানা জারি কারকদের নামে হাওলা হলে তখন তারা অবৈধ টাকার গন্ধের স্বাদনিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেন। আর প্রত্যেকটি সমন/নোটিশ পেতে হলে নাজিরকে দিতে হয় ঘুষ। বিশেষ করে বড় ধরনের লেনদেন হয় দখলী পরোয়ানায় যা নাজির নিজে ও যে জারি কারকের নামে হাওলা হয় সে মিলে বিবাদী দায়িক এর নিকট থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে ক্ষমতার জোরে তার কাজ করেন আর ডিগ্রীদার দখলী থেকে হয় বঞ্চিত। তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, জজ আদালতের রায়ের পরে নেজারত বিভাগে নাজির ও জারি কারকদের গোপনে আরেকটি আদালত বসে আর সেই আদালতে চলে ঘুষ বানিজ্যর মহা-উৎসব। ভিডিওতে দেখা যায় মিরপুর-২ নম্বর সেকশনের রূপনগর হাজী রোডের, এভিনিউ-৩ এর ৫নং বাড়ী দখলের জন্য ঢাকা জেলা জজ ৪নং অর্থঋণ আদালতের ২০০৩ সালে আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক বাদী হয়ে একটি মামলা করেন ওই বাড়ীর মালিক ঋণ গ্রহিতা আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে। আব্দুল খালেক মামলা দেখাশোনার জন্য দায়ীত্বভার অর্পণ করেন সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ নামে এক ব্যাক্তির কাছে। সেই মামলায় ২০২১ সালে ডিগ্রীদার হয় আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের পক্ষে। ঢাকা জেলা জজ আদালতের নেজারত বিভাগের নাজির ওই দখলী পরোয়ানা জারি কারক কামরুল ইসলামের নামে হাওলা করেন। ডিগ্রীদার আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক হওয়ায় জারি কারক কামরুল বিবাদী দায়ীক পক্ষের সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশের সাথে যোগাযোগ করেন। কামরুল ইসলাম পলাশকে বলেন আমাকে ৫ লাখ টাকা দিলে আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক আপনার বাড়ী দখল নিতে পারবে না। তখন সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ ও জারি কারক কামরুল ইসলামের সাথে ঘুষ বাণিজ্যর একটা রফাদফা হয় এবং শেষ পর্যন্ত তিন লাখ টাকায় মিটমাট হয়। দখলের একদিন আগে কামরুলের হাতে পলাশ নগদ তিন লাখ টাকা তুলে দেন সেই ভিডিও ফাঁস হয়। এবং ওই ভিডিওর সুত্র ধরে দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়। তারপরও বীরদর্পে রয়েছেন জারি কারক কামরুল ইসলাম।
অনুসন্ধান ও তথ্যমতে আরও জানা যায় যে, বর্তমান ঢাকা জেলা জজ, আদালতের নজিরের স্থায়ী নিবাস ও জেলা ঠাকুরগাঁও তিনি সিলেট চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্ট্যানো গ্রাফার পদে অর্থাৎ (ইউডি)পদের ১৩ তম গ্রেডের কর্মচারী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সিলেট থেকে আন্তজেলা বদলির মাধ্যমে তার নিজ জেলায় না গিয়া ঐ পদেই আসেন ঢাকা জেলার দ্রুত বিচার ১০ম আদালতে। কিছুদিন পরে, ঢাকা জেলা জজ,আদালতের নাজিরের পদে, নিজের পদ অর্থাৎ ১৩ তম গ্রেড থেকে সরে গিয়ে ডিমোশন নিয়ে ঢাকা জেলা জজ, আদালতের নাজিরের লোভনীয় পদে অলৌকিক হাতের ছোয়ায় অধিষ্ট হন। এখানেই প্রশ্ন: কেন জনাব খাদেমুল ইসলাম ১৩ তম গ্রেডের কর্মচারী থেকে হয়ে ১৪ তম গ্রেডের কর্মচারীতে রুপান্তর হলেন? যেখানে বেতনস্কেল কম? কি গোমর আছে ঢাকা জেলা জজ, আদালতের নেজারত বিভাগের নাজিরের চেয়ারে? আরও বিস্তারিত নিয়ে আসছি আগামী পর্বে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ

ঢাকা জেলা জজ আদালতের নাজির খাদেমুল ও জারি কারক কামরুলের খুটির জোর কোথায়?

আপডেট টাইম : ০৬:৫৫:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার :
১৩ আগষ্ট ২০২৩ইং তারিখে দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকায় ঢাকা জেলা জজ, আদালতের নেজারত বিভাগের জারী কারক, কামরুল ইসলাম ও নাজির খাদেমুল ইসলামের বিরুদ্ধে দূর্নীতির একটি নিউজ প্রকাশিত হয়। উক্ত নিউজ প্রকাশের পরে নাজির ও জারী কারক কামরুল ইসলাম মিলে নাজির খাদেমুল ইসলাম এক মৌখিক হুকুম জারী করেন যে, আদালত চত্বরে দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকার যাকেই পাওয়া যাবে তাকেই আটক করে আমাকে জানাবে। এই হুকুম জারীর পরে গত ২০আগষ্ট ২০২৩ইং তারিখে দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোঃ হায়দার আলী গাজী, পত্রিকার কাজের ব্যাপারে আদালতে গেলে, নাজির ও জারি কারক কামরুল ইসলাম সহ অন্যান্য জারি কারক মিলিত হয়ে, হায়দার গাজী কে ধরে লাঞ্চিত করার মানসে আদালতের প্রত্যেক টি কক্ষে তল্লাসি করে। হায়দার গাজী বিষয় টি বুঝতে পেরে আদালত থেকে চলে যান।
সুত্রে জানা যায়, ঢাকা জেলা জজ আদালতের নেজারত বিভাগের জারি কারক কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতের দখলী পরোয়ানার দখল নিয়ে একটি ঘুষ বানিজ্যর ভিডিও ফাঁস হয়। ঢাকা জেলার জজ আদালতের সকল মামলার সমন/নোটিশ নিলাম দরপত্র ও দখলী পরোয়ানা জারি কারকদের নামে হাওলা হলে তখন তারা অবৈধ টাকার গন্ধের স্বাদনিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেন। আর প্রত্যেকটি সমন/নোটিশ পেতে হলে নাজিরকে দিতে হয় ঘুষ। বিশেষ করে বড় ধরনের লেনদেন হয় দখলী পরোয়ানায় যা নাজির নিজে ও যে জারি কারকের নামে হাওলা হয় সে মিলে বিবাদী দায়িক এর নিকট থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে ক্ষমতার জোরে তার কাজ করেন আর ডিগ্রীদার দখলী থেকে হয় বঞ্চিত। তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, জজ আদালতের রায়ের পরে নেজারত বিভাগে নাজির ও জারি কারকদের গোপনে আরেকটি আদালত বসে আর সেই আদালতে চলে ঘুষ বানিজ্যর মহা-উৎসব। ভিডিওতে দেখা যায় মিরপুর-২ নম্বর সেকশনের রূপনগর হাজী রোডের, এভিনিউ-৩ এর ৫নং বাড়ী দখলের জন্য ঢাকা জেলা জজ ৪নং অর্থঋণ আদালতের ২০০৩ সালে আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক বাদী হয়ে একটি মামলা করেন ওই বাড়ীর মালিক ঋণ গ্রহিতা আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে। আব্দুল খালেক মামলা দেখাশোনার জন্য দায়ীত্বভার অর্পণ করেন সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ নামে এক ব্যাক্তির কাছে। সেই মামলায় ২০২১ সালে ডিগ্রীদার হয় আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের পক্ষে। ঢাকা জেলা জজ আদালতের নেজারত বিভাগের নাজির ওই দখলী পরোয়ানা জারি কারক কামরুল ইসলামের নামে হাওলা করেন। ডিগ্রীদার আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক হওয়ায় জারি কারক কামরুল বিবাদী দায়ীক পক্ষের সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশের সাথে যোগাযোগ করেন। কামরুল ইসলাম পলাশকে বলেন আমাকে ৫ লাখ টাকা দিলে আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক আপনার বাড়ী দখল নিতে পারবে না। তখন সৈয়দ শফিকুর রহমান পলাশ ও জারি কারক কামরুল ইসলামের সাথে ঘুষ বাণিজ্যর একটা রফাদফা হয় এবং শেষ পর্যন্ত তিন লাখ টাকায় মিটমাট হয়। দখলের একদিন আগে কামরুলের হাতে পলাশ নগদ তিন লাখ টাকা তুলে দেন সেই ভিডিও ফাঁস হয়। এবং ওই ভিডিওর সুত্র ধরে দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়। তারপরও বীরদর্পে রয়েছেন জারি কারক কামরুল ইসলাম।
অনুসন্ধান ও তথ্যমতে আরও জানা যায় যে, বর্তমান ঢাকা জেলা জজ, আদালতের নজিরের স্থায়ী নিবাস ও জেলা ঠাকুরগাঁও তিনি সিলেট চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্ট্যানো গ্রাফার পদে অর্থাৎ (ইউডি)পদের ১৩ তম গ্রেডের কর্মচারী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সিলেট থেকে আন্তজেলা বদলির মাধ্যমে তার নিজ জেলায় না গিয়া ঐ পদেই আসেন ঢাকা জেলার দ্রুত বিচার ১০ম আদালতে। কিছুদিন পরে, ঢাকা জেলা জজ,আদালতের নাজিরের পদে, নিজের পদ অর্থাৎ ১৩ তম গ্রেড থেকে সরে গিয়ে ডিমোশন নিয়ে ঢাকা জেলা জজ, আদালতের নাজিরের লোভনীয় পদে অলৌকিক হাতের ছোয়ায় অধিষ্ট হন। এখানেই প্রশ্ন: কেন জনাব খাদেমুল ইসলাম ১৩ তম গ্রেডের কর্মচারী থেকে হয়ে ১৪ তম গ্রেডের কর্মচারীতে রুপান্তর হলেন? যেখানে বেতনস্কেল কম? কি গোমর আছে ঢাকা জেলা জজ, আদালতের নেজারত বিভাগের নাজিরের চেয়ারে? আরও বিস্তারিত নিয়ে আসছি আগামী পর্বে।