ঢাকা ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজীপুরে মাস ব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা শুরু সিরাজদিখানে চিকিৎসা দিচ্ছেন ৮ম শ্রেনী পাশ ভুয়া চিকিৎসক চাঁন মিয়া সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাজীপুরে আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের মানববন্ধন বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাজীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ পঞ্চগড়ে ৬ বছর পর বিএনপির জনসভা নিজ বাড়ির উঠানে ট্রাক্টরের চাপায় প্রাণ গেল শিশুর নওগাঁয় নার্সিং ইনষ্টিটিউটে পরিক্ষায় নকল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা: সমালোচনার জট কালিহাতীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী’র স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল

তিন প্রতারকের ফাঁদে নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ কোম্পানী

মোঃ সোহেল রানা :
রাজধানী মিরপুর এলাকায় ৩৪/২ পশ্চিম মনিপুর মিরপুর-২ মডেল থানা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে আসছে মৃত আব্দুস সামাদ মিয়ার ছেলে মোঃ নান্নু মিয়া। সুত্রে জানা গেছে নান্নু মিয়া সাবেক পুলিশের ওয়ারলেস অপারেটর ছিলেন। পুলিশের ওয়ারলেস অপারেটর পুলিশের চাকুরীতে না থাকলেও সেই দাপটে নান্নু নিজেকে পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে অবৈধ কাজ করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। ওয়ারলেস অপারেটর নান্নু মিয়া এখন একাধিক প্লট ও সাত তলা বাড়ির মালিক। সুত্রে জানা যায় নান্নু সুদে প্রতারণা করে যে অর্থ আত্মসাত করে পরবর্তীতে সেই টাকা দিয়ে সুদের ব্যবসা করে। ২৭ লাক্ষ টাকা আসল সুদ নেওয়ার পরেও চেক ফেরত না দিয়ে এখন মামলার হুমকি দেন বলে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়। পুলিশ পরিচয় দিয়ে নান্নুর নেতৃত্বে গঠিত হয় বিভিন্ন সমিতি ও ডেভলপার ব্যাবসার নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় নান্নু একজন প্রফেশনাল চিটার গোলাপ মাল্টিপারপাস কো প্রপাটি সমিতি থেকে প্রতারণা করে ক্যাশিয়ার নান্নু ও সভাপতি খলিল মিলে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা আর গ্রহকরা এখন নিঃশ্ব হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা যায় নান্নু ও খলিল এর বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় সমিতির টাকা আত্মসাত করেছে বলে একাধিক ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। বিষয়টি মিরপুর মডেল থানা অবগত রয়েছেন বলে একাধিক ব্যক্তি জানান ।পরে আব্দুল কুদ্দুস নামের এক ব্যাক্তির মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত পাবেন বলে নান্নু জানান অথচ এখন পর্যন্ত তাদের টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন তাল বাহানা করে বেড়াচ্ছে নান্নু ও খলিল। সমিতির টাকা আত্বসাতের পর শুরু করেন ডেভলপার কোম্পানিকে ফাঁদে ফেলতে । নান্নুর দল ভারী করতে যোগ হয় আরো দুই জন শফি উদ্দিন এর ছেলে মোঃ হারুনুর রশিদ বর্তমানে ৬৩৭/৬ (ফ্লাট নং -৭এ বি)মনিপুর পাড়ায় বসবাস করছেন । কথায় আছে ঘরের শত্রু বিভীষণ তাই সুবিধা নিতে নিউ ডোর বিল্ডার্স এর সাবেক কর্মচারী মিজানুর যোগ দেন নান্নু ও হারুন এর সাথে।যেন চোরে চোরে মাসতুতো ভাই ।অর্থ আত্মসাত সহ একাধিক অভিযোগ এর কারণে নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ কোম্পানী থেকে মিজানুর কে চাকুরী থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে সুত্রে জানা যায়। বর্তমানে ০৩নং রোড বাসা নং ৮- ৪র্থ তলা ,ব্লক ডি, সেকশন -০৬ মিরপুর ঢাকা এলাকায় বসবাস করেন । অল্প সময়ের মধ্যেই হারুনুর রশিদ, নান্নু,ও মিজানুর সহ একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ এর অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধনের জন্য। মোখলেছুর সহ ওরা চারজন মিলে নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ কোম্পানীর ক্ষতি কিভাবে করা যায় তার ছক আঁকে। তাদের মদদ দেন এম এন প্রপাটির মোকলেছুর কারন নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ কোম্পানীর সাথে চুক্তি পত্র সাক্ষর বহাল তবিয়তে থাকা সত্ত্বেও জেনে বুঝে এম এন প্রপাটির মালিক মোকলেছুর হারুনুর রশিদ, নান্নু মিয়া, ও মিজানুর মিলে একই জায়গার দিত্বীয় বার চুক্তি পত্র স্বাক্ষর করেন। নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ কোম্পানীর সাথে যে প্রতারণা করেছে সকল অভিযোগ বিষয়ে জানার জন্য নান্নুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে পুলিশ পরিচয় দানকারী প্রতারক নান্নু প্রতিবেদক কে বলেন আমি এই বিষয়ে আপনার সাথে পরে কথা বলবো আমি পুলিশের লোক এখন ব্যাস্ত আছি আর আমাকে কেন ফোন দিয়েছেন জমির মালিক মোঃ হারুনুর রশিদ এর সাথে কথা বলেন। প্রতিবেদক জানতে চাই সাখাওয়াত সাহেব এর সাথে বিল্ডিং নির্মাণের চুক্তি পত্র বহাল থাকা সত্ত্বেও কিভাবে আপনি এম এন প্রপাটির সাথে চুক্তি করালেন ? তখন নান্নু বলে এই বিষয়টি জায়গার মালিক হারুনুর রশিদ এর সাথে কথা বলেন বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে বার বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ও ফোন রিসিভ করেননি নান্নু। আর এক প্রতারক মিজানুরের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদক কে বলেন এম এন প্রপাটির সাথে চুক্তি করা হয়েছে সাখাওয়াত সাহেব কে ভয় দেখানোর জন্য আপনার যা জানার আপনি ল্যান্ড ডোনার হারুনুর রশিদ এর সাথে কথা বলেন আর এই বিষয়টি নিয়ে ডিবি পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে।আমি বাহিরে ব্যাস্ত আছি বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন।নিউ ডোর বিল্ডার্স এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক বলেন হারুন নান্নু ও মিজানুর তিনজন মিলে আমার সাথে প্রতারণা করেছে এবং আমাকে নিশ্ব করে পথে বসিয়েছে । মিজানুর ছিল আমার কোম্পানির রড মিস্ত্রী বিশ্বাস করে এলাকার ছেলে হিসেবে আমার কোম্পানীর জি এম পদ দিয়েছিলাম আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমার কোম্পানীর বেতন নিয়ে আমার সাথেই বেঈমানি করেছে আমি আইনের মাধ্যমে ওর বিচার চাই। হারুন,নান্নু, ও মিজানুর তিনজন পূর্ব পরিচিত এই বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তিনজন মিলে যুক্তি করে আমার কোম্পানির চুক্তি পত্র থাকা সত্ত্বেও ওই একই ব্যাক্তি এম এন প্রপাটির সাথে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যা সমর্পণ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ক্ষেত্রে পরে বিষয়টি ভিডিও ফুটেজ দেখে আমি জানতে পারি। আমি সব কিছু রেডি করে যখন বিল্ডিং এর কাজ শুরু করবো তাঁর কিছু দিন আগে দেখি আমার কোম্পানীর সাইনবোর্ডে এর পাশে মামলার সাইনবোর্ডে ঝুলানো এবং সেই মামলার আসামি হারুনুর রশিদ যিনি আমার কোম্পানীর সাথে জমির মালিক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ।আর চুক্তি পত্রে উল্লেখ আছে মামলা মোকদ্দমা হলে ল্যান্ডডোনার সমস্ত দায়ভার বহন করিবে।মামলার প্রেক্ষিতে জমির মালিক হারুনুর রশিদ কে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি মোবাইলে ফোন দিয়েছি ফোন রিসিভ করেননি বাসায় গিয়েছি আমার সাথে দেখা করেননি কোন উপায় নাই পেয়ে কোর্টের মাধ্যমে নোটিশ পাঠিয়েছে । এলাকার স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছি সমাধানের জন্য কিন্তু কোন মতেই ওই তিনজন আমাকে পাত্তাই দেননি এবং জায়গার উপরে যে মামলা হয়েছে সেই বিষয়ে আমাকে কেউ সহযোগিতা করেনি। উল্টো আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে আমার দলিল চুক্তি পত্র বহাল থাকা সত্ত্বেও এম এন প্রপাটির সাথে হারুনুর রশিদ,নান্নু মিয়া ও মিজানুর তিনজন মিলে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ কোম্পানীর যে অভিযোগ রয়েছে সেই বিষয়ে জানার জন্য জমির মালিক মোঃ হারুনুর রশিদ কে প্রতিবেদক ফোন দিলে হারুনুর রশীদ বলেন আমি হারুন না অন্য মানুষ কি বলবেন বলেন। সংবাদ কর্মী পরিচয় পেয়ে হারুনুর রশিদ তার ব্যাবহিত নং ০১৬২৭৮৭৩০৮৫ মোবাইল ফোন কেটে দেয়। পরবর্তীতে বার বার মোবাইলে ফোন দিলে প্রতারক হারুনুর রশিদ আর ফোন রিসিভ করেননি।নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ এর পক্ষ থেকে জানান হারুনুর রশিদ ও পুলিশ পরিচয় দানকারী নান্নু ও মিজানুর তিনজন মিলে চুক্তি পত্র বাতিল করার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে। আমার কোম্পানীর কর্মকর্তা মিজানুর বিভিন্ন সময়ে প্রায় সর্বোমোট পাঁচ লাখ টাকা নান্নুকে মিডিয়া মানি বাবদ দেওয়ার জন্য নিয়েছেন যার যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে অফিসে। সর্বোমোট তিন বছরের আমার কোম্পানীর পক্ষ থেকে প্রায় ৬৩.০৮.২২৩ টাকা ওই ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর পিছনে খরচ হয়েছে। সমস্ত তথ্য প্রমাণ এর ভিত্তিতে কোন সমাধান না পেয়ে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা করেছি ওদের বিরুদ্ধে।কারণ আমার চুক্তি পত্র বহাল থাকা সত্ত্বেও একই জমি এম এন প্রপাটির প্রলোভনে ওই তিন প্রতারক দিত্বীয় বার চুক্তি পত্র সাক্ষর করেছেন। সত্য ঘটনা জানতে এম এন প্রপাটির মালিক মোকলেছুর কে ফোন দিলে তিনি প্রতিবেদক কে বলেন আমি চুক্তি পত্র করেছি আপনি কেন ফোন দিয়েছেন আপনার কি সমস্যা? আমার বিষয়ে সাখাওয়াত কে জিজ্ঞেস করবেন।আমি জেনে শুনে হারুনুর রশীদ এর সাথে চুক্তি পত্র সাক্ষর করেছি। আপনি আমার অফিসে আসেন। বুঝতে আর বাকি থাকলো না শস্যর মধ্যে ভুত যা কিছু হয়েছে এম এন প্রপাটির মালিক মোকলেছুর হারুনুর রশীদ নান্নু মিয়া ও মিজানুর এর পরামর্শতে।নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ কোম্পানীর সাথে চুক্তি পত্র বহাল থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ কোম্পানীর অর্থ ক্ষতি করবেন বলেই মোকলেছুর, হারুনুর রশীদ,নান্নু মিয়া, মিজানুর সহ চারজন মিলে এই প্রতারণার জাল বিছিয়ে বসে মোকলেছুর। এম এন প্রপাটির মালিক মোকলেছুর নেতৃত্বে ওই সকল প্রতারণা জাল বিছিয়ে নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ কোম্পানীর ক্ষতি করবে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। ভুক্তভোগী বলেছেন আইনের মাধ্যমে তদন্ত করে ওই সকল প্রতারণার কাজের সাথে যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। ভবিষ্যতে আর যেন আমার মতো সহজ সরল মানুষের সরলতার সুযোগ নিতে না পারে।সেই সাথে আমার কোম্পানীর যে ক্ষতি হয়েছে সেই অর্থ যেন ফিরে পায় এটাই আমার প্রত্যাশা। আরও বিস্তারিত আগামী পর্বে দেখুন………।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরে মাস ব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা শুরু

তিন প্রতারকের ফাঁদে নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ কোম্পানী

আপডেট টাইম : ০৬:৪৫:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩

মোঃ সোহেল রানা :
রাজধানী মিরপুর এলাকায় ৩৪/২ পশ্চিম মনিপুর মিরপুর-২ মডেল থানা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে আসছে মৃত আব্দুস সামাদ মিয়ার ছেলে মোঃ নান্নু মিয়া। সুত্রে জানা গেছে নান্নু মিয়া সাবেক পুলিশের ওয়ারলেস অপারেটর ছিলেন। পুলিশের ওয়ারলেস অপারেটর পুলিশের চাকুরীতে না থাকলেও সেই দাপটে নান্নু নিজেকে পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে অবৈধ কাজ করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। ওয়ারলেস অপারেটর নান্নু মিয়া এখন একাধিক প্লট ও সাত তলা বাড়ির মালিক। সুত্রে জানা যায় নান্নু সুদে প্রতারণা করে যে অর্থ আত্মসাত করে পরবর্তীতে সেই টাকা দিয়ে সুদের ব্যবসা করে। ২৭ লাক্ষ টাকা আসল সুদ নেওয়ার পরেও চেক ফেরত না দিয়ে এখন মামলার হুমকি দেন বলে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়। পুলিশ পরিচয় দিয়ে নান্নুর নেতৃত্বে গঠিত হয় বিভিন্ন সমিতি ও ডেভলপার ব্যাবসার নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় নান্নু একজন প্রফেশনাল চিটার গোলাপ মাল্টিপারপাস কো প্রপাটি সমিতি থেকে প্রতারণা করে ক্যাশিয়ার নান্নু ও সভাপতি খলিল মিলে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা আর গ্রহকরা এখন নিঃশ্ব হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা যায় নান্নু ও খলিল এর বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় সমিতির টাকা আত্মসাত করেছে বলে একাধিক ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। বিষয়টি মিরপুর মডেল থানা অবগত রয়েছেন বলে একাধিক ব্যক্তি জানান ।পরে আব্দুল কুদ্দুস নামের এক ব্যাক্তির মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত পাবেন বলে নান্নু জানান অথচ এখন পর্যন্ত তাদের টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন তাল বাহানা করে বেড়াচ্ছে নান্নু ও খলিল। সমিতির টাকা আত্বসাতের পর শুরু করেন ডেভলপার কোম্পানিকে ফাঁদে ফেলতে । নান্নুর দল ভারী করতে যোগ হয় আরো দুই জন শফি উদ্দিন এর ছেলে মোঃ হারুনুর রশিদ বর্তমানে ৬৩৭/৬ (ফ্লাট নং -৭এ বি)মনিপুর পাড়ায় বসবাস করছেন । কথায় আছে ঘরের শত্রু বিভীষণ তাই সুবিধা নিতে নিউ ডোর বিল্ডার্স এর সাবেক কর্মচারী মিজানুর যোগ দেন নান্নু ও হারুন এর সাথে।যেন চোরে চোরে মাসতুতো ভাই ।অর্থ আত্মসাত সহ একাধিক অভিযোগ এর কারণে নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ কোম্পানী থেকে মিজানুর কে চাকুরী থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে সুত্রে জানা যায়। বর্তমানে ০৩নং রোড বাসা নং ৮- ৪র্থ তলা ,ব্লক ডি, সেকশন -০৬ মিরপুর ঢাকা এলাকায় বসবাস করেন । অল্প সময়ের মধ্যেই হারুনুর রশিদ, নান্নু,ও মিজানুর সহ একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ এর অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধনের জন্য। মোখলেছুর সহ ওরা চারজন মিলে নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ কোম্পানীর ক্ষতি কিভাবে করা যায় তার ছক আঁকে। তাদের মদদ দেন এম এন প্রপাটির মোকলেছুর কারন নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ কোম্পানীর সাথে চুক্তি পত্র সাক্ষর বহাল তবিয়তে থাকা সত্ত্বেও জেনে বুঝে এম এন প্রপাটির মালিক মোকলেছুর হারুনুর রশিদ, নান্নু মিয়া, ও মিজানুর মিলে একই জায়গার দিত্বীয় বার চুক্তি পত্র স্বাক্ষর করেন। নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ কোম্পানীর সাথে যে প্রতারণা করেছে সকল অভিযোগ বিষয়ে জানার জন্য নান্নুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে পুলিশ পরিচয় দানকারী প্রতারক নান্নু প্রতিবেদক কে বলেন আমি এই বিষয়ে আপনার সাথে পরে কথা বলবো আমি পুলিশের লোক এখন ব্যাস্ত আছি আর আমাকে কেন ফোন দিয়েছেন জমির মালিক মোঃ হারুনুর রশিদ এর সাথে কথা বলেন। প্রতিবেদক জানতে চাই সাখাওয়াত সাহেব এর সাথে বিল্ডিং নির্মাণের চুক্তি পত্র বহাল থাকা সত্ত্বেও কিভাবে আপনি এম এন প্রপাটির সাথে চুক্তি করালেন ? তখন নান্নু বলে এই বিষয়টি জায়গার মালিক হারুনুর রশিদ এর সাথে কথা বলেন বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে বার বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ও ফোন রিসিভ করেননি নান্নু। আর এক প্রতারক মিজানুরের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদক কে বলেন এম এন প্রপাটির সাথে চুক্তি করা হয়েছে সাখাওয়াত সাহেব কে ভয় দেখানোর জন্য আপনার যা জানার আপনি ল্যান্ড ডোনার হারুনুর রশিদ এর সাথে কথা বলেন আর এই বিষয়টি নিয়ে ডিবি পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে।আমি বাহিরে ব্যাস্ত আছি বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন।নিউ ডোর বিল্ডার্স এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক বলেন হারুন নান্নু ও মিজানুর তিনজন মিলে আমার সাথে প্রতারণা করেছে এবং আমাকে নিশ্ব করে পথে বসিয়েছে । মিজানুর ছিল আমার কোম্পানির রড মিস্ত্রী বিশ্বাস করে এলাকার ছেলে হিসেবে আমার কোম্পানীর জি এম পদ দিয়েছিলাম আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমার কোম্পানীর বেতন নিয়ে আমার সাথেই বেঈমানি করেছে আমি আইনের মাধ্যমে ওর বিচার চাই। হারুন,নান্নু, ও মিজানুর তিনজন পূর্ব পরিচিত এই বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তিনজন মিলে যুক্তি করে আমার কোম্পানির চুক্তি পত্র থাকা সত্ত্বেও ওই একই ব্যাক্তি এম এন প্রপাটির সাথে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যা সমর্পণ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ক্ষেত্রে পরে বিষয়টি ভিডিও ফুটেজ দেখে আমি জানতে পারি। আমি সব কিছু রেডি করে যখন বিল্ডিং এর কাজ শুরু করবো তাঁর কিছু দিন আগে দেখি আমার কোম্পানীর সাইনবোর্ডে এর পাশে মামলার সাইনবোর্ডে ঝুলানো এবং সেই মামলার আসামি হারুনুর রশিদ যিনি আমার কোম্পানীর সাথে জমির মালিক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ।আর চুক্তি পত্রে উল্লেখ আছে মামলা মোকদ্দমা হলে ল্যান্ডডোনার সমস্ত দায়ভার বহন করিবে।মামলার প্রেক্ষিতে জমির মালিক হারুনুর রশিদ কে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি মোবাইলে ফোন দিয়েছি ফোন রিসিভ করেননি বাসায় গিয়েছি আমার সাথে দেখা করেননি কোন উপায় নাই পেয়ে কোর্টের মাধ্যমে নোটিশ পাঠিয়েছে । এলাকার স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছি সমাধানের জন্য কিন্তু কোন মতেই ওই তিনজন আমাকে পাত্তাই দেননি এবং জায়গার উপরে যে মামলা হয়েছে সেই বিষয়ে আমাকে কেউ সহযোগিতা করেনি। উল্টো আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে আমার দলিল চুক্তি পত্র বহাল থাকা সত্ত্বেও এম এন প্রপাটির সাথে হারুনুর রশিদ,নান্নু মিয়া ও মিজানুর তিনজন মিলে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ কোম্পানীর যে অভিযোগ রয়েছে সেই বিষয়ে জানার জন্য জমির মালিক মোঃ হারুনুর রশিদ কে প্রতিবেদক ফোন দিলে হারুনুর রশীদ বলেন আমি হারুন না অন্য মানুষ কি বলবেন বলেন। সংবাদ কর্মী পরিচয় পেয়ে হারুনুর রশিদ তার ব্যাবহিত নং ০১৬২৭৮৭৩০৮৫ মোবাইল ফোন কেটে দেয়। পরবর্তীতে বার বার মোবাইলে ফোন দিলে প্রতারক হারুনুর রশিদ আর ফোন রিসিভ করেননি।নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ এর পক্ষ থেকে জানান হারুনুর রশিদ ও পুলিশ পরিচয় দানকারী নান্নু ও মিজানুর তিনজন মিলে চুক্তি পত্র বাতিল করার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে। আমার কোম্পানীর কর্মকর্তা মিজানুর বিভিন্ন সময়ে প্রায় সর্বোমোট পাঁচ লাখ টাকা নান্নুকে মিডিয়া মানি বাবদ দেওয়ার জন্য নিয়েছেন যার যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে অফিসে। সর্বোমোট তিন বছরের আমার কোম্পানীর পক্ষ থেকে প্রায় ৬৩.০৮.২২৩ টাকা ওই ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর পিছনে খরচ হয়েছে। সমস্ত তথ্য প্রমাণ এর ভিত্তিতে কোন সমাধান না পেয়ে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা করেছি ওদের বিরুদ্ধে।কারণ আমার চুক্তি পত্র বহাল থাকা সত্ত্বেও একই জমি এম এন প্রপাটির প্রলোভনে ওই তিন প্রতারক দিত্বীয় বার চুক্তি পত্র সাক্ষর করেছেন। সত্য ঘটনা জানতে এম এন প্রপাটির মালিক মোকলেছুর কে ফোন দিলে তিনি প্রতিবেদক কে বলেন আমি চুক্তি পত্র করেছি আপনি কেন ফোন দিয়েছেন আপনার কি সমস্যা? আমার বিষয়ে সাখাওয়াত কে জিজ্ঞেস করবেন।আমি জেনে শুনে হারুনুর রশীদ এর সাথে চুক্তি পত্র সাক্ষর করেছি। আপনি আমার অফিসে আসেন। বুঝতে আর বাকি থাকলো না শস্যর মধ্যে ভুত যা কিছু হয়েছে এম এন প্রপাটির মালিক মোকলেছুর হারুনুর রশীদ নান্নু মিয়া ও মিজানুর এর পরামর্শতে।নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ কোম্পানীর সাথে চুক্তি পত্র বহাল থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ কোম্পানীর অর্থ ক্ষতি করবেন বলেই মোকলেছুর, হারুনুর রশীদ,নান্নু মিয়া, মিজানুর সহ চারজন মিলে এই প্রতারণার জাল বিছিয়ে বসে মোকলেছুর। এম এন প্রপাটির মালিক মোকলেছুর নেতৃত্বে ওই সকল প্রতারণা জাল বিছিয়ে নিউ ডোর বিল্ডার্স লিঃ কোম্পানীর ক্ষতি করবে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। ভুক্তভোগী বলেছেন আইনের মাধ্যমে তদন্ত করে ওই সকল প্রতারণার কাজের সাথে যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। ভবিষ্যতে আর যেন আমার মতো সহজ সরল মানুষের সরলতার সুযোগ নিতে না পারে।সেই সাথে আমার কোম্পানীর যে ক্ষতি হয়েছে সেই অর্থ যেন ফিরে পায় এটাই আমার প্রত্যাশা। আরও বিস্তারিত আগামী পর্বে দেখুন………।