ঢাকা ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সরকারি নথি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে: ভূমি উপদেষ্টা সিরাজদিখানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল মুন্সীগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সাবেক নেত্রীবৃন্দের স্বরণে দোয়া ও আলোচনা সভা টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন গাজীপুরে চাঁদার দাবিতে বাড়ি ঘর ভাংচুরের অভিযোগ গোপালগঞ্জের হালিমের কথায় চলছে নন্দী পাড়া ভুমি অফিস গাজীপুরে StepUp অ্যাপ- এর প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালা অনুষ্ঠিত আদমদীঘিতে মাদকসেবনের দায়ে চার জনকে ভ্রাম্যমাণ দিল ইউএনও আগরতলায় হাইকমিশনে হামলায় বাংলাদেশের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া গাজীপুরে অনুর্ধ ১৭ ফুটবল খেলায় বিকেএসপি ২-১ গোলে হারালো গাজীপুরকে

মিরপুরে হযরত শাহআলী মাজার শরীফে ওরসের নামে চলছে মাদক ও নাচ গান

স্টাফ রিপোর্টার :
রাজধানী মিরপুর-১ নম্বরে অবস্থিত হযরত শাহআলী (রাঃ) এর পবিত্র মাজার শরিফ, মাজার শরিফের পাশেয় রয়েছে মসজিদ। ওই পবিত্র মাজার শরিফ ও মসজিদের চারিদিক ঘিরে চলছে ওরসের নামে গান বাজনা ও নাচ এবং তার সাথে রয়েছে মাদকের সমারহ আর এমন দৃশ্য সারা রাত চলতে থাকে। এমন একটা পবিত্র স্থানে কি ভাবে ওই সব নাচ, গান ও মাদক চলে এ ব্যপারে মিরপুরের স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানান মিরপুরের কিছু অসাধু কতিপয় নাম মাত্র বাউল তারা ওরসে সময় স্টেজ তৈরী করে কিছু ছেলে মেয়ে দিয়ে সারারাত গানবাজনা ও নাচ চালায়। গানবাজনা নাচ দেখে শিল্পীদেরকে অনেক লোক হাজার হাজার টাকা দেয় এবং গান শেষে তাদের বেড পার্টনার হয়ে যায়।
বুধবার রাতে ঘুরে ঘুরে দেখা যায় মাজারে ছোট বড় মিলিয়ে ২০/২২ টি নাচ গানের স্টেজ আছে, প্রতিটা স্টেজে রয়েছে সুন্দরী সুন্দরী রমনী। আর ওই সকল রমনি দিয়ে স্টেজ মালিকেরা দুর দুরন্ত থেকে আসা লোকজনের নিকট থেকে হাজার হাজার টাকা আদাঁয় করছে। এছাড়া তাদের কিছু পার্সনাল ভাবে টাকা দেয়ার মক্কেল রয়েছে।
তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, ওই পার্সনাল মক্কেলরা তাদের পছন্দের রমনীদের প্রতি গানে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে থাকে। গান শেষে তাদের আবার বেড পার্টনার হয়ে থাকে বলে জানা যায়। এলাকাবাসি ও সুশিল সমাজ জানান মিরপুরের হযরত শাহ আলী মাজার শরীফ থেকে সকল নাচ,গান ও মাদক তুলে দিয়ে মাজার শরীফে পবিত্রতা রক্ষা করার সকলের প্রতি অনুরোধ করেন।
হযরত শাহআলী (রাঃ) ছিলেন হযরত আলীর বংশধর। হযরত ইমাম হোসাইন হতে ইমাম আলী নকীর পিতা পর্যন্ত তার পূর্বপুরুষগনের মধ্যে সকলেই বসবাস করতেন মদিনায়। তার বংশ হতে শাহ সৈয়দ সুলতান আলী সর্বপ্রথম বাগদাদে আসেন, যিনি ছিলেন ইমাম আলী নকীর ছোট ভাই। পরবর্তীতে তিনি দিল্লীর সুলতাদের আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন। বাগদাদের বাদশাহ সৈয়দ ফখরুদ্দিন রাজির জ্যেষ্ঠপুত্র ছিলেন সৈয়দ শাহ আলী বোগদাদী।
সৈয়দ শাহ আলী বাগদাদী ছিলেন তৎকালীন পাক-ভারত উপমহাদেশে আরবাঞ্চল হতে ধর্ম প্রচারার্থে আগত সুফি ব্যক্তিত্ব। তিনি একশত সঙ্গী নিয়ে এতদাঞ্চলে আগমন করেন। তার নামানুসারে বাংলাদেশের ঢাকা মিরপুর-১ নম্বরে রয়েছে সমাধি। আর ওই সমাধি ঘিরে চলছে অসাধু ব্যক্তিদের নোংরামি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি নথি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে: ভূমি উপদেষ্টা

মিরপুরে হযরত শাহআলী মাজার শরীফে ওরসের নামে চলছে মাদক ও নাচ গান

আপডেট টাইম : ০৭:৫৯:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার :
রাজধানী মিরপুর-১ নম্বরে অবস্থিত হযরত শাহআলী (রাঃ) এর পবিত্র মাজার শরিফ, মাজার শরিফের পাশেয় রয়েছে মসজিদ। ওই পবিত্র মাজার শরিফ ও মসজিদের চারিদিক ঘিরে চলছে ওরসের নামে গান বাজনা ও নাচ এবং তার সাথে রয়েছে মাদকের সমারহ আর এমন দৃশ্য সারা রাত চলতে থাকে। এমন একটা পবিত্র স্থানে কি ভাবে ওই সব নাচ, গান ও মাদক চলে এ ব্যপারে মিরপুরের স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানান মিরপুরের কিছু অসাধু কতিপয় নাম মাত্র বাউল তারা ওরসে সময় স্টেজ তৈরী করে কিছু ছেলে মেয়ে দিয়ে সারারাত গানবাজনা ও নাচ চালায়। গানবাজনা নাচ দেখে শিল্পীদেরকে অনেক লোক হাজার হাজার টাকা দেয় এবং গান শেষে তাদের বেড পার্টনার হয়ে যায়।
বুধবার রাতে ঘুরে ঘুরে দেখা যায় মাজারে ছোট বড় মিলিয়ে ২০/২২ টি নাচ গানের স্টেজ আছে, প্রতিটা স্টেজে রয়েছে সুন্দরী সুন্দরী রমনী। আর ওই সকল রমনি দিয়ে স্টেজ মালিকেরা দুর দুরন্ত থেকে আসা লোকজনের নিকট থেকে হাজার হাজার টাকা আদাঁয় করছে। এছাড়া তাদের কিছু পার্সনাল ভাবে টাকা দেয়ার মক্কেল রয়েছে।
তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, ওই পার্সনাল মক্কেলরা তাদের পছন্দের রমনীদের প্রতি গানে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে থাকে। গান শেষে তাদের আবার বেড পার্টনার হয়ে থাকে বলে জানা যায়। এলাকাবাসি ও সুশিল সমাজ জানান মিরপুরের হযরত শাহ আলী মাজার শরীফ থেকে সকল নাচ,গান ও মাদক তুলে দিয়ে মাজার শরীফে পবিত্রতা রক্ষা করার সকলের প্রতি অনুরোধ করেন।
হযরত শাহআলী (রাঃ) ছিলেন হযরত আলীর বংশধর। হযরত ইমাম হোসাইন হতে ইমাম আলী নকীর পিতা পর্যন্ত তার পূর্বপুরুষগনের মধ্যে সকলেই বসবাস করতেন মদিনায়। তার বংশ হতে শাহ সৈয়দ সুলতান আলী সর্বপ্রথম বাগদাদে আসেন, যিনি ছিলেন ইমাম আলী নকীর ছোট ভাই। পরবর্তীতে তিনি দিল্লীর সুলতাদের আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন। বাগদাদের বাদশাহ সৈয়দ ফখরুদ্দিন রাজির জ্যেষ্ঠপুত্র ছিলেন সৈয়দ শাহ আলী বোগদাদী।
সৈয়দ শাহ আলী বাগদাদী ছিলেন তৎকালীন পাক-ভারত উপমহাদেশে আরবাঞ্চল হতে ধর্ম প্রচারার্থে আগত সুফি ব্যক্তিত্ব। তিনি একশত সঙ্গী নিয়ে এতদাঞ্চলে আগমন করেন। তার নামানুসারে বাংলাদেশের ঢাকা মিরপুর-১ নম্বরে রয়েছে সমাধি। আর ওই সমাধি ঘিরে চলছে অসাধু ব্যক্তিদের নোংরামি।