ঢাকা ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আদমদীঘিতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুবদলের বৃক্ষরোপন পেশাজীবী পরিষদ পাবনা পৌরসভার উদ্যোগে রাসূল (সা:) প্রদর্শিত পানাহার পদ্ধতি শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত পাবনায় রনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে মানববন্ধন পলাশে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সা.)’র জশনে জুলুস সিরাজদিখানে ঈদে মিলাদুন্নবী ও জসনে জুলুস পালিত শরীয়তপুরে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীর নদীতে পাওয়া রেজাউল বয়াতির লাশের রহস্য উদঘাটন বাউফলে সেই মাদ্রাসার তালা ভাঙ্গার ভিডিও ভাইরাল, তদন্ত সম্পন্ন, দ্রুত ব্যবস্থা তারেক রহমানের ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার কর্মসূচি জনমনে আশা জাগিয়েছে : কফিলউদ্দিন আহমেদ ভোলায় মনপুরা আলোচিত গণধর্ষণ মামলায় ৩ আসামি গ্রেফতার

মিরপুরে হযরত শাহআলী মাজার শরীফে ওরসের নামে চলছে মাদক ও নাচ গান

স্টাফ রিপোর্টার :
রাজধানী মিরপুর-১ নম্বরে অবস্থিত হযরত শাহআলী (রাঃ) এর পবিত্র মাজার শরিফ, মাজার শরিফের পাশেয় রয়েছে মসজিদ। ওই পবিত্র মাজার শরিফ ও মসজিদের চারিদিক ঘিরে চলছে ওরসের নামে গান বাজনা ও নাচ এবং তার সাথে রয়েছে মাদকের সমারহ আর এমন দৃশ্য সারা রাত চলতে থাকে। এমন একটা পবিত্র স্থানে কি ভাবে ওই সব নাচ, গান ও মাদক চলে এ ব্যপারে মিরপুরের স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানান মিরপুরের কিছু অসাধু কতিপয় নাম মাত্র বাউল তারা ওরসে সময় স্টেজ তৈরী করে কিছু ছেলে মেয়ে দিয়ে সারারাত গানবাজনা ও নাচ চালায়। গানবাজনা নাচ দেখে শিল্পীদেরকে অনেক লোক হাজার হাজার টাকা দেয় এবং গান শেষে তাদের বেড পার্টনার হয়ে যায়।
বুধবার রাতে ঘুরে ঘুরে দেখা যায় মাজারে ছোট বড় মিলিয়ে ২০/২২ টি নাচ গানের স্টেজ আছে, প্রতিটা স্টেজে রয়েছে সুন্দরী সুন্দরী রমনী। আর ওই সকল রমনি দিয়ে স্টেজ মালিকেরা দুর দুরন্ত থেকে আসা লোকজনের নিকট থেকে হাজার হাজার টাকা আদাঁয় করছে। এছাড়া তাদের কিছু পার্সনাল ভাবে টাকা দেয়ার মক্কেল রয়েছে।
তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, ওই পার্সনাল মক্কেলরা তাদের পছন্দের রমনীদের প্রতি গানে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে থাকে। গান শেষে তাদের আবার বেড পার্টনার হয়ে থাকে বলে জানা যায়। এলাকাবাসি ও সুশিল সমাজ জানান মিরপুরের হযরত শাহ আলী মাজার শরীফ থেকে সকল নাচ,গান ও মাদক তুলে দিয়ে মাজার শরীফে পবিত্রতা রক্ষা করার সকলের প্রতি অনুরোধ করেন।
হযরত শাহআলী (রাঃ) ছিলেন হযরত আলীর বংশধর। হযরত ইমাম হোসাইন হতে ইমাম আলী নকীর পিতা পর্যন্ত তার পূর্বপুরুষগনের মধ্যে সকলেই বসবাস করতেন মদিনায়। তার বংশ হতে শাহ সৈয়দ সুলতান আলী সর্বপ্রথম বাগদাদে আসেন, যিনি ছিলেন ইমাম আলী নকীর ছোট ভাই। পরবর্তীতে তিনি দিল্লীর সুলতাদের আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন। বাগদাদের বাদশাহ সৈয়দ ফখরুদ্দিন রাজির জ্যেষ্ঠপুত্র ছিলেন সৈয়দ শাহ আলী বোগদাদী।
সৈয়দ শাহ আলী বাগদাদী ছিলেন তৎকালীন পাক-ভারত উপমহাদেশে আরবাঞ্চল হতে ধর্ম প্রচারার্থে আগত সুফি ব্যক্তিত্ব। তিনি একশত সঙ্গী নিয়ে এতদাঞ্চলে আগমন করেন। তার নামানুসারে বাংলাদেশের ঢাকা মিরপুর-১ নম্বরে রয়েছে সমাধি। আর ওই সমাধি ঘিরে চলছে অসাধু ব্যক্তিদের নোংরামি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আদমদীঘিতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুবদলের বৃক্ষরোপন

মিরপুরে হযরত শাহআলী মাজার শরীফে ওরসের নামে চলছে মাদক ও নাচ গান

আপডেট টাইম : ০৭:৫৯:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার :
রাজধানী মিরপুর-১ নম্বরে অবস্থিত হযরত শাহআলী (রাঃ) এর পবিত্র মাজার শরিফ, মাজার শরিফের পাশেয় রয়েছে মসজিদ। ওই পবিত্র মাজার শরিফ ও মসজিদের চারিদিক ঘিরে চলছে ওরসের নামে গান বাজনা ও নাচ এবং তার সাথে রয়েছে মাদকের সমারহ আর এমন দৃশ্য সারা রাত চলতে থাকে। এমন একটা পবিত্র স্থানে কি ভাবে ওই সব নাচ, গান ও মাদক চলে এ ব্যপারে মিরপুরের স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানান মিরপুরের কিছু অসাধু কতিপয় নাম মাত্র বাউল তারা ওরসে সময় স্টেজ তৈরী করে কিছু ছেলে মেয়ে দিয়ে সারারাত গানবাজনা ও নাচ চালায়। গানবাজনা নাচ দেখে শিল্পীদেরকে অনেক লোক হাজার হাজার টাকা দেয় এবং গান শেষে তাদের বেড পার্টনার হয়ে যায়।
বুধবার রাতে ঘুরে ঘুরে দেখা যায় মাজারে ছোট বড় মিলিয়ে ২০/২২ টি নাচ গানের স্টেজ আছে, প্রতিটা স্টেজে রয়েছে সুন্দরী সুন্দরী রমনী। আর ওই সকল রমনি দিয়ে স্টেজ মালিকেরা দুর দুরন্ত থেকে আসা লোকজনের নিকট থেকে হাজার হাজার টাকা আদাঁয় করছে। এছাড়া তাদের কিছু পার্সনাল ভাবে টাকা দেয়ার মক্কেল রয়েছে।
তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, ওই পার্সনাল মক্কেলরা তাদের পছন্দের রমনীদের প্রতি গানে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে থাকে। গান শেষে তাদের আবার বেড পার্টনার হয়ে থাকে বলে জানা যায়। এলাকাবাসি ও সুশিল সমাজ জানান মিরপুরের হযরত শাহ আলী মাজার শরীফ থেকে সকল নাচ,গান ও মাদক তুলে দিয়ে মাজার শরীফে পবিত্রতা রক্ষা করার সকলের প্রতি অনুরোধ করেন।
হযরত শাহআলী (রাঃ) ছিলেন হযরত আলীর বংশধর। হযরত ইমাম হোসাইন হতে ইমাম আলী নকীর পিতা পর্যন্ত তার পূর্বপুরুষগনের মধ্যে সকলেই বসবাস করতেন মদিনায়। তার বংশ হতে শাহ সৈয়দ সুলতান আলী সর্বপ্রথম বাগদাদে আসেন, যিনি ছিলেন ইমাম আলী নকীর ছোট ভাই। পরবর্তীতে তিনি দিল্লীর সুলতাদের আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন। বাগদাদের বাদশাহ সৈয়দ ফখরুদ্দিন রাজির জ্যেষ্ঠপুত্র ছিলেন সৈয়দ শাহ আলী বোগদাদী।
সৈয়দ শাহ আলী বাগদাদী ছিলেন তৎকালীন পাক-ভারত উপমহাদেশে আরবাঞ্চল হতে ধর্ম প্রচারার্থে আগত সুফি ব্যক্তিত্ব। তিনি একশত সঙ্গী নিয়ে এতদাঞ্চলে আগমন করেন। তার নামানুসারে বাংলাদেশের ঢাকা মিরপুর-১ নম্বরে রয়েছে সমাধি। আর ওই সমাধি ঘিরে চলছে অসাধু ব্যক্তিদের নোংরামি।