স্টাফ রিপোর্টার :
হিউম্যান এইড এর তদন্ত রিপোর্টের প্রতিবেদনের প্রক্ষিতে জানা যায় বিগত ৪০ বছোরেরও অধিক সময় ধরে ঢাকা, দোহার, নারিশা খালপাড়ের মরহুম মো. আলী হোসেন খালাসি এর স্ত্রী-সন্তান উত্তরাধিকারের অধিকার হারিয়েছে। একটি সম্ভ্রান্ত স্বচ্ছন্দ পরিবারকে দুর্বল- অসহায় করে বিপন্নতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে। এর প্রতিকার চেয়ে খালাসি পরিবারের সর্বোকনিষ্ঠ সন্তান মো. কাউসার হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল এর বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। সেই সূত্র ধরে হিউম্যান এইড এর কেন্দ্রীয় তদন্ত টীম ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ঘটনাস্থলে গমন করেন । ঘটনাস্থলে গমনের পূর্বে সংস্থাটি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ হেড কোয়ার্টার, দূর্নীতি দমন কমিশন, ঢাকা জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ইত্যাদি) অভিযোগপত্র দাখিলসহ তদন্তের অনুমতি নেন।ঘটনাস্থলের থানায় অবগতির জন্য উপস্থিত হলে হিউম্যান এইড এর মহাসচিব ও তদন্ত টীম লীডার সেহলী পারভীন মহোদয় স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন:
এদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নানা ধরনের পঞ্চায়েত করে মীমাংসা করা, টাকার বিনিময়ে ঘটনার নিষ্পত্তি করার গুঞ্জন রয়েছে। কিন্তু হিউম্যান এইড নিজে কোনো বিচার করে না। নিজে কোনো ঘটনার নিষ্পত্তি বা মীমাংসার দায়িত্ব নেয় না। হিউম্যান এইড প্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং গণমাধ্যমকে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত রিপোর্ট দিয়েএকটি ন্যায় বিচারের উদ্দেশ্য সহযোগিতা করে থাকে।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন ভয়েজ অব আমেরিকার প্রতিনিধি আল ফারুক খান। এশিয়ান টিভি প্রতিনিধি, বিজয় টিভির প্রতিনিধি, নববাংলাসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ। আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ হেড কোয়ার্টার এর প্রতিনিধি এবং হিউম্যান এইড এর স্থানীয় সদস্য বাশার মৃধা, মাসুদ পারভেজ ও কেন্দ্রীয় তদন্ত সদস্যবৃন্দ।
ঘটনার রাজসাক্ষী দোহার থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রজব আলী মোল্লা জানালেন, পাকিস্তান সময় থেকে এই অবধি সকল ঘটনা।
মরহুম মো.আলী হোসেন খালাসি, দোহার- নারিশা খালপাড় নিবাসী ১৯৬৮ সালে রাজধানীর জনৈক জমিদার মিলন সাহেবের কাছ থেকে ফকিরেরপুলের আল-আমিন মেশিনারিজ নামীয় একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নিজের নামে ক্রয় করেন। তখন তার বড়ো ছেলে গিয়াসউদ্দিন খোকন এর বয়স ছিলো ৫/৬। আলী হোসেন খালাসির চার ছেলে তিন মেয়ে রয়েছে। ১৯৮৩ সালে এই প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে “পদ্মা গ্লাস হাউস” রাখা হয়। সে সময় খোকন একটু বড়ো হয় এবং পিতার সাথে ব্যবসা বুঝতে শুরু করে। ১৯৮৮ সালে অগ্রণী ব্যাংকের গুলিস্তান শাখায় একটি লোন ছিলো এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির। লোনটি পরিবারের পক্ষ থেকে আলী হোসেন খালাসির মেজো ছেলে আর বড়ো ছেলে পরিশোধ করে। কিন্তু ৯০ এর পর খালাসি সাহেব দেখতে পান তার দোকানের কোনো লিগ্যাল পেপারস নেই। তিনি মাঝেমাঝেই ঘনিষ্ঠ দু এক জনের কাছে কেঁদে কেঁদে বলতেন। হিউম্যান এইড তাদের সাথেও কথা বলেছে। কিন্তু পরিবারের সামাজিক মর্যাদার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে তার আর এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। গুমরে গুমরে কেঁদেছেন এবং ২০০২ সালের ৮ মার্চ হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। ২০১৫ সালে অন্যান্য ছেলেরা বিদেশ থেকে এলে পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তির খোজ খবর নিতে গিয়ে সকলে বুঝতে পারে শুধু এই ব্যবসায়-ই নয় পারিবারিক বিভিন্ন অর্থ-সম্পত্তির জাল-জালিয়াতিতে খোকন ব্যস্ত। বিগত ৪০ বছরের পারিবারিক ব্যবসার লভ্যাংশ দিয়ে ঢাকায় ৬ তলা বাড়ি করেছে। সেই বাড়িতে দুইজন স্ত্রীও আছে।নব্বই ঊর্ধ বয়সী গর্ভধারিণী মাকেও পর্যন্ত তার স্বামীর অধিকার ভোগ করতে দেয়নি গিয়াসউদ্দিন খোকন। মো. আলী হোসেন খালাসির বাকি ছয় সন্তান পৈতৃক সম্পত্তি ফিরে পাবার জন্য বিনীত অনুরোধ করেছেন হিউম্যান এইড কে। অগাধ সম্পত্তি আর অর্থ উপার্জনের বৈধতার প্রমান দিতে না পারায় ২০২২ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তদন্তে আরও অনেক ঘটনার উদ্ঘাটন বাকি রয়েছে।
সহজসরল অধিকার বঞ্চিত মানুষগুলো ৪০ বছোর পর জীবনের শেষে এসে পৈতৃক সম্পত্তি ভোগের উদ্দেশ্য আজ এই লড়াইয়ে নামেনি; এই লড়াই মূলত মিথ্যের সাথে সত্যের লড়াই।
হিউম্যান এইড এর তদন্ত চলবে……………………