ঢাকা ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম টাঙ্গাইলে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি গঠিত সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত  স্টার লাইন বাসের ধাক্কায় মাইক্রোবাস উল্টে নিহত ৪ গণধিকার পরিষদ জাতীয় সরকারকে সমর্থন করে- গাজীপুরে রাশেদ খান পঞ্চগড়ে আট দফা দাবিতে চা চাষীদের মানববন্ধন গাজীপুরে কাউন্সিলরের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকতি মির্জাগঞ্জের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান পুনর্গঠনের দাবি মেম্বারদের কালিহাতীতে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নব কমিটির সভাপতি মফিদুল, সম্পাদক শফিক ১০ জেলা রেজিস্ট্রার সহ পদোন্নতি পাওয়া ১০ সাব রেজিস্ট্রারকে জেলা রেজিস্ট্রার পদে বদলি

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সক্ষমতা জোরদার করণ প্রকল্পে অকল্পনীয় দুর্নীতি: ডিজি ডা: এমদাদুল হক তালুকদারের দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে না কেন?

বিশেষ প্রতিবেদক :

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সক্ষমতা জোরদারকরণ প্রকল্পের অকল্পনীয় দুর্নীতি করেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন সাবেক পিডি ও বর্তমান মহাপরিচালক ডা: মো: এমদাদুল হক তালুকদার । দুর্নীতি দমন কমিশনে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা পড়লেও সেটাকে ধামা চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এখন তার সব থেকে বড় যোগ্যতা তিনি নাকি প্রধানমন্ত্রীর এলাকার লোক। সেই যোগ্যতাতেই মাত্র ৭ মাস আগে পেয়েছিলেন অধিদপ্তরের দ্বিতীয় শীর্ষ পদ পরিচালক প্রশাসন।

এ ছাড়া প্রভাব খাঁটিয়ে হয়েছিলেন সক্ষমতা জোরদারকরণ প্রকল্পের পিডি। তিনি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে কায়েম করেছেন একক রাজত্ব। এ নিয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। কর্মকর্তা কর্মচারিদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তিনি মহাপরিচালকের চেয়ারে বসে সীমাহীন অদক্ষতার পরিচয় দিচ্ছন। যে কারণে গোটা অধিদপ্তরের চেইন অব কমান্ড ভেংগে পড়েছে। কর্মকর্তাদের মধ্যে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। মহাপরিচালকের বিরুদ্ধেই একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় তিনি অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।

ফলে বিভিন্ন প্রকল্পের পিডিরা অবলীলায় প্রকল্পের অর্থ লোপাট করে যাচ্ছেন। ভাগ্যবান এই কর্মকর্তার নাম ডা: মো: এমদাদুল হক তালুকদার। গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়ায় তার জন্ম। বর্তমানে তিনি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে কর্মরত আছেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে, মহাপরিচালক ডাঃ মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ অবসরে যান। এরপরই পরিচালক প্রশাসন ডা: মো: এমদাদুল হক তালুকদার মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পান। তিনি মন্ত্রী, সচিব ও গোপালগঞ্জের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার বাসায় ধর্ণা দিয়ে কেবলমাত্র প্রধান মন্ত্রীর এলাকার লোক হিসাবে মহাপরিচালক পদে চলতি দায়িতবে নিয়োগ পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারি। যদিও তিনি ছাত্র জীবনে জাতীয় ছাত্র সমাজ করতেন এবং তার স্ত্রী জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী ড. টি আই এ ফজলে রাব্বী চৌধুরীর ভাগনে। তার পরিবারের অন্য সদস্যরা বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত।

ডা: মো: এমদাদুল হক তালুকদার ঢাকা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিসাবে টানা ৬ বছর দায়িত্বে ছিলেন। এসময় তিনি নানা প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় গড়ে তোলেন। খামারিদের কাছ থেকে ভয়বীতি দেখিয়ে টাকা আদায় ছাড়াও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিভিন্ন খাদ্য ও ওষুধ উতপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহন করার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ দিকে গত মাসের মধ্যভাগে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সক্ষমতা জোরদার করণ প্রকল্পে সুনির্দিষ্ট আর্থিক অনিযম-দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে। সেই অভিযোগটি এখন প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। ওই অভিযোগে বলা হয়েছে যে, তিনি প্রকল্প পরিচালকের ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অবকাঠামোগত কাজ না করেই ক্রয়খাতে অতি মনোনিবেশ করেছেন। গত তিন বছরে প্রকল্পের কাজ হয়েছে মাত্র ৫% ।

এটা তার অদক্ষতা ও অযোগ্যতার কারনেই হয়েছে। এই তিন বছরে তিনি প্রকল্পের অবকাঠামোগত কাজ না করে কেনাকাটার কাজের টেন্ডার আহবান করে বেশুমার দুর্নীতি করেছেন। তিনি অনুমোদিত এপিপি অনুযায়ী ২০ কোটি ২৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মালামালা ক্রয়ের টেন্ডার আহবান করেন। এছাড়া বিবিধ খাতে মালামাল যেমন, আসবাবপত্র, এসি,কম্পিউটার,ফটোকপিয়ার,কার্পেট,ল্যাপটপ,বই পুস্তক ক্রয় খাতে আরো ৫ কোটি টাকা খরচ করেন। দুদকে জমাকৃত ওই অভিযোগের বর্ণনায় আরো জানা যায় যে, তিনি তার নিজ অফিসের জন্য নানা সামগ্রী ও জ¦ালানী ক্রয় দেখিয়ে কমপক্ষে ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন। যা সরেজমিনে তদন্ত করলেই ধরা পড়বে। এছাড়া ঠিকাদারদের কাছ থেকে পার্সেন্টেজ গ্রহন করে কার্যাদেশ প্রদান ও বদলী বাণিজ্যের জোরাল অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। গত তিন বছরে তিনি অধিদপ্তর থেকে প্রায় শত কোটি টাকা অবৈধপথে উপার্জন করেছেন এমন দাবী তুলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযোগকারীগন। এই ঘটনাগুলো দ্রত তদন্ত করার জন্য দুদক চেয়ারম্যানের দ্রত পদক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। এই একই অভিযোগ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী,সচিব, রাষ্ট্রিয় গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রধান মন্ত্রীর দপ্তরেও প্রেরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মহাপরিচালক ডা: মো: এমদাদুল হক তালুকদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। তার অফিসে ফোন করলে বলা হয় স্যার মন্ত্রণালয়ে আছেন। যে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এতোগুলো আর্থিক দুর্নীতি,অযোগ্যতা, অদক্ষতা ও অসাদাচরণের অভিযোগ রয়েছে তাকে মহাপরিচালক পদের চলতি দায়িত্বে কিভাবে নিয়োগ দেওয়া হলো তা নিয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নানা কথা চালাচালি হচ্ছে। তিনি এখন রেগুলার ডিজি হওয়ার জন্য (গ্রেড-১) উঠে পড়ে লেগেছেন। আর এজন্য দুদুকের ছাড়পত্রের লক্ষ্যে মন্ত্রনালয়কে ম্যানেজ করে মন্ত্রণালয় হতে বিগত ১৩/৯/২৩ ইং তারিখে ৫৩৬ নং স্মারকে পত্র দিয়েছে। উদ্দেশ্য গ্রেড-১ পাওয়ার পর চুক্তি ভিওিক নিয়োগ লাভ।

তথ্যমতে তিনি বর্তমানে এমন নিলর্জ্জভাবে দুনীতিতে নিমজ্জিত যে একজন ৩য় শ্রেনীর কর্মচারী বদলী হতেও তাকে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ঘুস দেয়া লাগে। তার স্ত্রী সাবেক উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকতা কর্মচারীদের বেতনের ও বোনাসের ৩৬ লক্ষ টাকা আত্মসাত করার পরেও দার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তিনি সক্ষমতা জোরদার করণ প্রকল্পের পিডি থাকাকালে যে সব অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন এবং বর্তমানে মহাপরিচালক হয়ে যে সব দুর্নীতি করে যাচ্ছেন সেগুলো তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী তুলেছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দেশ প্রেমিক কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সক্ষমতা জোরদার করণ প্রকল্পে অকল্পনীয় দুর্নীতি: ডিজি ডা: এমদাদুল হক তালুকদারের দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে না কেন?

আপডেট টাইম : ০৯:২২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিশেষ প্রতিবেদক :

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সক্ষমতা জোরদারকরণ প্রকল্পের অকল্পনীয় দুর্নীতি করেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন সাবেক পিডি ও বর্তমান মহাপরিচালক ডা: মো: এমদাদুল হক তালুকদার । দুর্নীতি দমন কমিশনে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা পড়লেও সেটাকে ধামা চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এখন তার সব থেকে বড় যোগ্যতা তিনি নাকি প্রধানমন্ত্রীর এলাকার লোক। সেই যোগ্যতাতেই মাত্র ৭ মাস আগে পেয়েছিলেন অধিদপ্তরের দ্বিতীয় শীর্ষ পদ পরিচালক প্রশাসন।

এ ছাড়া প্রভাব খাঁটিয়ে হয়েছিলেন সক্ষমতা জোরদারকরণ প্রকল্পের পিডি। তিনি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে কায়েম করেছেন একক রাজত্ব। এ নিয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। কর্মকর্তা কর্মচারিদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তিনি মহাপরিচালকের চেয়ারে বসে সীমাহীন অদক্ষতার পরিচয় দিচ্ছন। যে কারণে গোটা অধিদপ্তরের চেইন অব কমান্ড ভেংগে পড়েছে। কর্মকর্তাদের মধ্যে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। মহাপরিচালকের বিরুদ্ধেই একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় তিনি অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।

ফলে বিভিন্ন প্রকল্পের পিডিরা অবলীলায় প্রকল্পের অর্থ লোপাট করে যাচ্ছেন। ভাগ্যবান এই কর্মকর্তার নাম ডা: মো: এমদাদুল হক তালুকদার। গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়ায় তার জন্ম। বর্তমানে তিনি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে কর্মরত আছেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে, মহাপরিচালক ডাঃ মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ অবসরে যান। এরপরই পরিচালক প্রশাসন ডা: মো: এমদাদুল হক তালুকদার মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পান। তিনি মন্ত্রী, সচিব ও গোপালগঞ্জের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার বাসায় ধর্ণা দিয়ে কেবলমাত্র প্রধান মন্ত্রীর এলাকার লোক হিসাবে মহাপরিচালক পদে চলতি দায়িতবে নিয়োগ পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারি। যদিও তিনি ছাত্র জীবনে জাতীয় ছাত্র সমাজ করতেন এবং তার স্ত্রী জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী ড. টি আই এ ফজলে রাব্বী চৌধুরীর ভাগনে। তার পরিবারের অন্য সদস্যরা বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত।

ডা: মো: এমদাদুল হক তালুকদার ঢাকা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিসাবে টানা ৬ বছর দায়িত্বে ছিলেন। এসময় তিনি নানা প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় গড়ে তোলেন। খামারিদের কাছ থেকে ভয়বীতি দেখিয়ে টাকা আদায় ছাড়াও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিভিন্ন খাদ্য ও ওষুধ উতপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহন করার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ দিকে গত মাসের মধ্যভাগে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সক্ষমতা জোরদার করণ প্রকল্পে সুনির্দিষ্ট আর্থিক অনিযম-দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে। সেই অভিযোগটি এখন প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। ওই অভিযোগে বলা হয়েছে যে, তিনি প্রকল্প পরিচালকের ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অবকাঠামোগত কাজ না করেই ক্রয়খাতে অতি মনোনিবেশ করেছেন। গত তিন বছরে প্রকল্পের কাজ হয়েছে মাত্র ৫% ।

এটা তার অদক্ষতা ও অযোগ্যতার কারনেই হয়েছে। এই তিন বছরে তিনি প্রকল্পের অবকাঠামোগত কাজ না করে কেনাকাটার কাজের টেন্ডার আহবান করে বেশুমার দুর্নীতি করেছেন। তিনি অনুমোদিত এপিপি অনুযায়ী ২০ কোটি ২৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মালামালা ক্রয়ের টেন্ডার আহবান করেন। এছাড়া বিবিধ খাতে মালামাল যেমন, আসবাবপত্র, এসি,কম্পিউটার,ফটোকপিয়ার,কার্পেট,ল্যাপটপ,বই পুস্তক ক্রয় খাতে আরো ৫ কোটি টাকা খরচ করেন। দুদকে জমাকৃত ওই অভিযোগের বর্ণনায় আরো জানা যায় যে, তিনি তার নিজ অফিসের জন্য নানা সামগ্রী ও জ¦ালানী ক্রয় দেখিয়ে কমপক্ষে ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন। যা সরেজমিনে তদন্ত করলেই ধরা পড়বে। এছাড়া ঠিকাদারদের কাছ থেকে পার্সেন্টেজ গ্রহন করে কার্যাদেশ প্রদান ও বদলী বাণিজ্যের জোরাল অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। গত তিন বছরে তিনি অধিদপ্তর থেকে প্রায় শত কোটি টাকা অবৈধপথে উপার্জন করেছেন এমন দাবী তুলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযোগকারীগন। এই ঘটনাগুলো দ্রত তদন্ত করার জন্য দুদক চেয়ারম্যানের দ্রত পদক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। এই একই অভিযোগ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী,সচিব, রাষ্ট্রিয় গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রধান মন্ত্রীর দপ্তরেও প্রেরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মহাপরিচালক ডা: মো: এমদাদুল হক তালুকদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। তার অফিসে ফোন করলে বলা হয় স্যার মন্ত্রণালয়ে আছেন। যে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এতোগুলো আর্থিক দুর্নীতি,অযোগ্যতা, অদক্ষতা ও অসাদাচরণের অভিযোগ রয়েছে তাকে মহাপরিচালক পদের চলতি দায়িত্বে কিভাবে নিয়োগ দেওয়া হলো তা নিয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নানা কথা চালাচালি হচ্ছে। তিনি এখন রেগুলার ডিজি হওয়ার জন্য (গ্রেড-১) উঠে পড়ে লেগেছেন। আর এজন্য দুদুকের ছাড়পত্রের লক্ষ্যে মন্ত্রনালয়কে ম্যানেজ করে মন্ত্রণালয় হতে বিগত ১৩/৯/২৩ ইং তারিখে ৫৩৬ নং স্মারকে পত্র দিয়েছে। উদ্দেশ্য গ্রেড-১ পাওয়ার পর চুক্তি ভিওিক নিয়োগ লাভ।

তথ্যমতে তিনি বর্তমানে এমন নিলর্জ্জভাবে দুনীতিতে নিমজ্জিত যে একজন ৩য় শ্রেনীর কর্মচারী বদলী হতেও তাকে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ঘুস দেয়া লাগে। তার স্ত্রী সাবেক উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকতা কর্মচারীদের বেতনের ও বোনাসের ৩৬ লক্ষ টাকা আত্মসাত করার পরেও দার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তিনি সক্ষমতা জোরদার করণ প্রকল্পের পিডি থাকাকালে যে সব অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন এবং বর্তমানে মহাপরিচালক হয়ে যে সব দুর্নীতি করে যাচ্ছেন সেগুলো তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী তুলেছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দেশ প্রেমিক কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা।