ঢাকা ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কে এই শরীফ জহির? এলডিসি দেশগুলোর জন্য ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দে ইইউ-এর সমর্থন চাইল বাংলাদেশ কক্সবাজার সফরকালে যৌথ বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে সালাউদ্দিন চৌধুরী ডিসেম্বরে ভারতের সাথে এফওসি বৈঠক, এজেন্ডা এখনো চূড়ান্ত নয় গাজীপুরে ঝুকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রীজের দাবীতে মানববন্ধন গাজীপুরে ২১০ পিস ইয়াবা ও সাড়ে ১১ লাখ টাকাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার প্রকল্পের টাকা হরিলুটের অভিযোগ ইউএনও এবং পিআইও’র বিরুদ্ধে ফরিদপুরে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা, জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার আদমদীঘিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রধান শিক্ষক নিহত খালেদা জিয়া যে কোনো সময়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য যেতে পারেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিএনপি মাহুত ছাড়া পাগলা হাতিতে পরিনত হয়েছে—জাহাঙ্গীর কবির নানক

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি :

আপনারা মাহুত ছাড়া পাগলা হাতিতে পরিনত হয়ে গেছেন। আপনাদের নেতৃত্ব দেয় দন্ডিত খালেদা জিয়া, মৃত্যু পথযাত্রী। আপনাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ দেশের মানুষ যাতে শান্তিতে থাকতে না পারে তার জন্য বিদেশ থেকে চক্রান্ত করছে। জনগণ আপনাদের সাথে কখনো ছিল না, এখনো নাই, ভবিষ্যতেও থাকবে না। আগামী দ্বাদশ নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। আমরা সংবিধানকে রক্ষা করবো, আগামী নির্বাচনে শান্তি থাকবে, সৌহার্দ থাকবে। আমরা এদেশকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমরা কিন্তু এখনো মাঠে নামি নাই। ২০১৪ সালের মতো আবারো যদি আগুন সন্ত্রাস চলে তাহলে হাত ভেঙ্গে দেওয়া হবে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাজীপুরের কালীগঞ্জে শহীদ মো. ময়েজউদ্দিন আহমেদ এর ৩৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরনসভায় বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আবু বকর চৌধুরীর সঞ্চালনায় স¥রণ সভায় বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এমপি, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহীদের কন্যা মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্ল্যাহ মন্ডল।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. আশরাফী মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল গণি ভুইয়া, কালীগঞ্জ উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ, থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান, কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এস এম রবিন হোসেন, গাজীপুর জেলা পরিষদের সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন, সাবেক সদস্য তাছলিমা রহমান লাভলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরিফ হোসেন খান কনক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শর্মিলা রোজারিও, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জুয়েনা আহমেদ, উপজেলা মহিলা যুবলীগ সভাপতি পিয়ারা বেগম শান্তাসহ জেলা, মহানগর ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ ময়েজউদ্দিন ১৯৩০ সালে ১৭ মার্চ গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলাধীন মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়হরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপির বাবা। শহীদ ময়েজউদ্দিন ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা করার জন্য গঠিত ‘মুজিব তহবিলের’ আহ্বায়ক ছিলেন। একজন বিচক্ষণ আইনজীবী ও রাজনীতিক হিসেবে অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে ওই ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ময়েজউদ্দিন উল্লেখযোগ্য সময় ধরে বৃহত্তর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ এবং ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে গাজীপুর-কালীগঞ্জ নির্বাচনী এলাকা থেকে যথাক্রমে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজে জড়িত ছিলেন। ১৯৭৭ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ রেডক্রস (বর্তমানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট) সোসাইটির নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি একাধারে বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি)’র মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শহীদ ময়েজউদ্দিনের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে ধাপে ধাপে গড়ে উঠা প্রবল গণআন্দোলনে অবশেষে সামরিক শাসক ও শাসনের পতন ঘটে। গণতন্ত্রের জয় হয়। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে গৌরবময় ভূমিকা পালন করায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সব্বোর্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান “স্বাধীনতা পদক”-এ ভূষিত করেন। ১৯৮৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সারাদেশে ২২ দল আহূত হরতালের আহ্বান করে। ওইদিন গাজীপুরের কালীগঞ্জে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মিছিলে শহীদ ময়েজউদ্দিন নেতৃত্ব দেন। ওই সময় কালীগঞ্জ বাজার এলাকায় কতিপয় সন্ত্রাসী তাঁর ওপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই তিনি শাহাদাৎ বরণ করেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কে এই শরীফ জহির?

বিএনপি মাহুত ছাড়া পাগলা হাতিতে পরিনত হয়েছে—জাহাঙ্গীর কবির নানক

আপডেট টাইম : ০৫:২৯:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি :

আপনারা মাহুত ছাড়া পাগলা হাতিতে পরিনত হয়ে গেছেন। আপনাদের নেতৃত্ব দেয় দন্ডিত খালেদা জিয়া, মৃত্যু পথযাত্রী। আপনাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ দেশের মানুষ যাতে শান্তিতে থাকতে না পারে তার জন্য বিদেশ থেকে চক্রান্ত করছে। জনগণ আপনাদের সাথে কখনো ছিল না, এখনো নাই, ভবিষ্যতেও থাকবে না। আগামী দ্বাদশ নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। আমরা সংবিধানকে রক্ষা করবো, আগামী নির্বাচনে শান্তি থাকবে, সৌহার্দ থাকবে। আমরা এদেশকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমরা কিন্তু এখনো মাঠে নামি নাই। ২০১৪ সালের মতো আবারো যদি আগুন সন্ত্রাস চলে তাহলে হাত ভেঙ্গে দেওয়া হবে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাজীপুরের কালীগঞ্জে শহীদ মো. ময়েজউদ্দিন আহমেদ এর ৩৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরনসভায় বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আবু বকর চৌধুরীর সঞ্চালনায় স¥রণ সভায় বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এমপি, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহীদের কন্যা মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্ল্যাহ মন্ডল।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. আশরাফী মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল গণি ভুইয়া, কালীগঞ্জ উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ, থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান, কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এস এম রবিন হোসেন, গাজীপুর জেলা পরিষদের সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন, সাবেক সদস্য তাছলিমা রহমান লাভলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরিফ হোসেন খান কনক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শর্মিলা রোজারিও, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জুয়েনা আহমেদ, উপজেলা মহিলা যুবলীগ সভাপতি পিয়ারা বেগম শান্তাসহ জেলা, মহানগর ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ ময়েজউদ্দিন ১৯৩০ সালে ১৭ মার্চ গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলাধীন মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়হরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপির বাবা। শহীদ ময়েজউদ্দিন ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা করার জন্য গঠিত ‘মুজিব তহবিলের’ আহ্বায়ক ছিলেন। একজন বিচক্ষণ আইনজীবী ও রাজনীতিক হিসেবে অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে ওই ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ময়েজউদ্দিন উল্লেখযোগ্য সময় ধরে বৃহত্তর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ এবং ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে গাজীপুর-কালীগঞ্জ নির্বাচনী এলাকা থেকে যথাক্রমে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজে জড়িত ছিলেন। ১৯৭৭ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ রেডক্রস (বর্তমানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট) সোসাইটির নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি একাধারে বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি)’র মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শহীদ ময়েজউদ্দিনের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে ধাপে ধাপে গড়ে উঠা প্রবল গণআন্দোলনে অবশেষে সামরিক শাসক ও শাসনের পতন ঘটে। গণতন্ত্রের জয় হয়। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে গৌরবময় ভূমিকা পালন করায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সব্বোর্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান “স্বাধীনতা পদক”-এ ভূষিত করেন। ১৯৮৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সারাদেশে ২২ দল আহূত হরতালের আহ্বান করে। ওইদিন গাজীপুরের কালীগঞ্জে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মিছিলে শহীদ ময়েজউদ্দিন নেতৃত্ব দেন। ওই সময় কালীগঞ্জ বাজার এলাকায় কতিপয় সন্ত্রাসী তাঁর ওপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই তিনি শাহাদাৎ বরণ করেন।