ঢাকা ০২:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কালিহাতীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী’র স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র  উপদেষ্টার শোক গাজীপুরে জামায়াতের কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সাভার আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রার্থী আলহাজ্ব মাদবর উপর সন্ত্রাসী হামলা গাজীপুরে সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময় গাজীপুরে কর্পোরেট কোম্পানি থেকে পোল্ট্রি শিল্পকে রক্ষায় আলোচনা সভা সিরাজদিখানে প্রবাসী যুবককে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা; ছিনিয়ে নিয়েছে টাকা- স্বর্ণালংকার গাজীপুরে বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১দফার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত পঞ্চগড়ে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) কর্তৃক শীত বস্ত্র বিতরণ আদমদীঘিতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

বিভাগীয় পদক্ষেপ জরুরী: নৌপরিবহন অধিদপ্তরে ৪ কর্মকর্তার লাগামহীন দুর্নীতি!

বিশেষ প্রতিবেদক :

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বাংলাদেশের স্থপতি স্বাধীনতার মহান কারিগর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া স্বপ্নের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠান নৌপরিবহন অধিদপ্তর যখন তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ঠিক তখনেই কুমিল্লার কুখ্যাত বিএনপি-জামাতপন্থী পরিবারের প্রাক্তন বিএনপির এমপির সন্তান এবং তারেক রহমানের একান্ত ঘরের মানুষ ২৪তম ব্যাচের বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা বদরুল হাসান লিটন (প্রাক্তন পরিচালক, নৌপরিবহন অধিদপ্তর), মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন (সহকারী পরিচালক) ও ফাওজিয়া রহমান (সহকারী কেমিষ্ট) এর লাগামহীন দুর্নীতি ও অসামাজিক কর্মকান্ডর কারণে আপনার অধিদপ্তর তথা বঙ্গবন্ধুর তৈরি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণসহ তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ের প্রতিবন্ধকথা সৃষ্টি করছে।

তাদের লাগামহীন দুর্নীতি ও অসামাজিক কর্মকান্ডর সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিন্মে তুলে ধরা হলো:

নৌপরিবহন অধিদপ্তরে ইজিআইএমএন্স প্রকল্পের ঠিকাদার এস.এম মনিরুজ্জামানের আত্মহত্যা সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান বদরুল হাসান লিটন (প্রাক্তন পরিচালক, নৌপরিবহন অধিদপ্তর) ও সদস্য ফাওজিয়া রহমান (সহকারী কেমিষ্ট) অভিযুক্তদের কাছ থেকে নগদ ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন না দিয়ে অভিযুক্তদের রক্ষা করার চেষ্টা করছেন যা তথ্য প্রমাণাদি ও পত্র পত্রিকার মাধ্যমে জানা যায়। কমিটি গঠনের ১ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও বদরুল হাসান লিটন ১ বছর হতে চললেও তদন্ত প্রতিবেদন না দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে বদলি নিয়ে পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থায় পরিচালক (পরিকল্পনা) হিসেবে যোগদান করেছেন। নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ইজিআইএমএন্স প্রকল্পের যেসব কর্মকর্তাদের (আশরাফ, নাজমুল, রিয়াজ ও মেজবাহ) কারণে এস.এম. মনিরুজ্জামান আত্মহত্যা করেন সে বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য ফাওজিয়ার সাথে প্রধান অভিযুক্ত উপ প্রকল্প পরিচালক (চাকুরীচ্যুত) আশরাফের সাথে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত রয়েছেন এবং পানামা সিডিসিধারীদেরকে বাংলাদেশী সিডিসি প্রদানের দালালী সহ অন্যান্য দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে বলে জানা যায়। আত্মহত্যা প্ররোচনায় আরেক অভিযুক্ত প্রকল্পের সহকারি পরিচালক (চাকুরীচ্যুত) নাজমুল টিটু মরহুম এস.এম মনিরুজ্জামানের মেরে দেওয়া টাকায় বাড়ী গাড়ী করেছেন।

এছাড়াও সে বিভিন্ন তারকা হোটেলে মদ্যপান ও একেক সময় একেক মেয়ে নিয়ে ফুর্তি /রাত্রি যাপন করায় তার স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যায়। অন্যদিকে মরহুম এস.এম মনিরুজ্জামানের স্ত্রী মারুফা ইয়াসমীন রোজী স্বামী হত্যার পর নিদারুণ আর্থিক সংকটে নিপতিত হয়ে সন্তানদের নিয়ে ঢাকা শহর থেকে গ্রামে গিয়ে আধা বেলা খেয়ে না খেয়ে করুন জীবন যাপন করছে। স্বামী হারা স্ত্রী ও বাবা হারা সন্তানরা কি এই বর্বতার কোন বিচার পাবে না? নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক মাহমুদা কি চাকুরীতে আছে কি নেই তা এক বিশাল প্রশ্ন? মাহমুদা কর্মরত থাকাকালীন সময়ে তার সাথে তৎকালীন পরিচালক বদরুল হাসান লিটন ও সহকারি পরিচালক মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের অত্যন্ত দৃষ্টিকটু সুসম্পর্ক ছিল। পরিচালক এবং সহকারি পরিচালক মিলে বৈদেশিক ছুঁটি অনুমোদন ছাড়াই নগদ ২০ হাজার এবং মাসিক বেতন চুক্তিতে মাহমুদাকে ইতালিতে প্রেরণ করে। অবৈধ ছুঁটিতে থাকাকালীন সময়ে মাহমুদার ব্যাংক হিসাবে জমা হওয়া বেতন সহকারি পরিচালক মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন মাহমুদার রেখে যাওয়া এ টি এম কার্ডের মাধ্যমে উত্তোলন করে তৎকালীন পরিচালকের সাথে ভাগাভাগি করে খায়। কর্মচারীদের ছুটি মঞ্জুর সহ হাজিরা খাতা পরিচালক এবং সহকারি পরিচালক প্রতিদিন চেক করেন এবং কেউ অনুপস্থিত থাকলে ব্যাখ্যা তলব করেন। তবে মাহমুদা দীর্ঘ ৮ মাস অনুপস্থিত থাকলেও তৎকালীন ডিজি কমোডোর জালাল এর কাছে ধরা খাওয়ার আগে পর্যন্ত টু শব্দটি পর্যন্ত উচ্চারণ করেন নাই। ধরা খাওয়ার পর মাহমুদাকে ইতালি থেকে ফেরত এনে যোগদান করানোর পর তার অবৈধভাবে নেওয়া বেতন কর্তন করা হয়। এর কিছুদিন পর আগের মতই গোপনে বহিঃ বাংলাদেশ ছুঁটির অনুমোদন ছাড়াই পুনরায় ইতালি প্রেরণ করে। এ বিষয়ে একটি তৎকালীন পরিচালকের অধিনস্থ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ফাওজিয়া রহমান (সহকারী কেমিষ্ট) দিয়ে একটি কমিটি গঠিত হলেও পরিচালকের দাপটে তারা তাদের রিপোর্ট প্রদান করতে পারেন নাই। মাহমুদার চাকুরীর ১৫ বছর পূর্তিতে সহকারি পরিচালক মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন তাকে পেনশন সহ অবসর প্রদান করবেন বলে ১০ লক্ষ টাকার চুক্তি হয়েছে বলে মাহমুদা নৌপরিবহন অধিদপ্তরের নিকটজনদের ইতালি থেকে ফোন করে জানিয়েছেন । তৎকালীন পরিচালক বদরুল হাসান লিটন ও মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরে নিয়োগ ও বদলি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেনবলে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয় যা যাচাই করে সত্যতা পাওয়া যায়। তৎকালীন পরিচালক বদরুল হাসান লিটন ও মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় হোটেল আল রাব্বি নামক একটি হোটেলের মালিক বনে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের দূর দূরান্ত আগত বিভিন্ন সেবা নিতে আসা লোকদের জন্য তারা স্পেশাল ডিসকাউন্ট প্রদান করেন বলে অনেকেই তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ।

মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন নিজের মালিকানাধীন একটি টয়োটা হাইএস মাইক্রোবাসকে নৌপরিবহন অধিদপ্তরে ভাড়া দিয়েছেন যা তার নিজের বাসার গ্যারেজে থাকে এবং তাকে আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহার হয়। মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ইন্সপেক্টরদের বরাদ্দকৃত মোটর সাইকেল গুলোর মধ্য হতে মহাপরিচালক মহোদয়ের পিএস মুনতা হেনার নামে বরাদ্দকৃত মোটরসাইকেলটি অবৈধভাবে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন যা সবাই দেখলেও তার ক্ষমতার ভয়ে প্রকাশ করছে না। নদনদীর পানিকে দূষণমুক্ত রাখতে বিশ্ব ব্যাংকের ঋণের টাকায় পরিবেশ প্রকল্পের আওতায় নারায়ণগঞ্জে বিশাল ভবন সহ পরিবেশ পরীক্ষাগার প্রতিষ্ঠা করা হয় যাতে ফাওজিয়া রহমান (সহকারী কেমিষ্ট)কে নিয়োগ প্রদ

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিহাতীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী’র স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল

বিভাগীয় পদক্ষেপ জরুরী: নৌপরিবহন অধিদপ্তরে ৪ কর্মকর্তার লাগামহীন দুর্নীতি!

আপডেট টাইম : ০৫:৩৫:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

বিশেষ প্রতিবেদক :

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বাংলাদেশের স্থপতি স্বাধীনতার মহান কারিগর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া স্বপ্নের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠান নৌপরিবহন অধিদপ্তর যখন তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ঠিক তখনেই কুমিল্লার কুখ্যাত বিএনপি-জামাতপন্থী পরিবারের প্রাক্তন বিএনপির এমপির সন্তান এবং তারেক রহমানের একান্ত ঘরের মানুষ ২৪তম ব্যাচের বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা বদরুল হাসান লিটন (প্রাক্তন পরিচালক, নৌপরিবহন অধিদপ্তর), মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন (সহকারী পরিচালক) ও ফাওজিয়া রহমান (সহকারী কেমিষ্ট) এর লাগামহীন দুর্নীতি ও অসামাজিক কর্মকান্ডর কারণে আপনার অধিদপ্তর তথা বঙ্গবন্ধুর তৈরি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণসহ তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ের প্রতিবন্ধকথা সৃষ্টি করছে।

তাদের লাগামহীন দুর্নীতি ও অসামাজিক কর্মকান্ডর সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিন্মে তুলে ধরা হলো:

নৌপরিবহন অধিদপ্তরে ইজিআইএমএন্স প্রকল্পের ঠিকাদার এস.এম মনিরুজ্জামানের আত্মহত্যা সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান বদরুল হাসান লিটন (প্রাক্তন পরিচালক, নৌপরিবহন অধিদপ্তর) ও সদস্য ফাওজিয়া রহমান (সহকারী কেমিষ্ট) অভিযুক্তদের কাছ থেকে নগদ ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন না দিয়ে অভিযুক্তদের রক্ষা করার চেষ্টা করছেন যা তথ্য প্রমাণাদি ও পত্র পত্রিকার মাধ্যমে জানা যায়। কমিটি গঠনের ১ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও বদরুল হাসান লিটন ১ বছর হতে চললেও তদন্ত প্রতিবেদন না দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে বদলি নিয়ে পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থায় পরিচালক (পরিকল্পনা) হিসেবে যোগদান করেছেন। নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ইজিআইএমএন্স প্রকল্পের যেসব কর্মকর্তাদের (আশরাফ, নাজমুল, রিয়াজ ও মেজবাহ) কারণে এস.এম. মনিরুজ্জামান আত্মহত্যা করেন সে বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য ফাওজিয়ার সাথে প্রধান অভিযুক্ত উপ প্রকল্প পরিচালক (চাকুরীচ্যুত) আশরাফের সাথে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত রয়েছেন এবং পানামা সিডিসিধারীদেরকে বাংলাদেশী সিডিসি প্রদানের দালালী সহ অন্যান্য দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে বলে জানা যায়। আত্মহত্যা প্ররোচনায় আরেক অভিযুক্ত প্রকল্পের সহকারি পরিচালক (চাকুরীচ্যুত) নাজমুল টিটু মরহুম এস.এম মনিরুজ্জামানের মেরে দেওয়া টাকায় বাড়ী গাড়ী করেছেন।

এছাড়াও সে বিভিন্ন তারকা হোটেলে মদ্যপান ও একেক সময় একেক মেয়ে নিয়ে ফুর্তি /রাত্রি যাপন করায় তার স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যায়। অন্যদিকে মরহুম এস.এম মনিরুজ্জামানের স্ত্রী মারুফা ইয়াসমীন রোজী স্বামী হত্যার পর নিদারুণ আর্থিক সংকটে নিপতিত হয়ে সন্তানদের নিয়ে ঢাকা শহর থেকে গ্রামে গিয়ে আধা বেলা খেয়ে না খেয়ে করুন জীবন যাপন করছে। স্বামী হারা স্ত্রী ও বাবা হারা সন্তানরা কি এই বর্বতার কোন বিচার পাবে না? নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক মাহমুদা কি চাকুরীতে আছে কি নেই তা এক বিশাল প্রশ্ন? মাহমুদা কর্মরত থাকাকালীন সময়ে তার সাথে তৎকালীন পরিচালক বদরুল হাসান লিটন ও সহকারি পরিচালক মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের অত্যন্ত দৃষ্টিকটু সুসম্পর্ক ছিল। পরিচালক এবং সহকারি পরিচালক মিলে বৈদেশিক ছুঁটি অনুমোদন ছাড়াই নগদ ২০ হাজার এবং মাসিক বেতন চুক্তিতে মাহমুদাকে ইতালিতে প্রেরণ করে। অবৈধ ছুঁটিতে থাকাকালীন সময়ে মাহমুদার ব্যাংক হিসাবে জমা হওয়া বেতন সহকারি পরিচালক মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন মাহমুদার রেখে যাওয়া এ টি এম কার্ডের মাধ্যমে উত্তোলন করে তৎকালীন পরিচালকের সাথে ভাগাভাগি করে খায়। কর্মচারীদের ছুটি মঞ্জুর সহ হাজিরা খাতা পরিচালক এবং সহকারি পরিচালক প্রতিদিন চেক করেন এবং কেউ অনুপস্থিত থাকলে ব্যাখ্যা তলব করেন। তবে মাহমুদা দীর্ঘ ৮ মাস অনুপস্থিত থাকলেও তৎকালীন ডিজি কমোডোর জালাল এর কাছে ধরা খাওয়ার আগে পর্যন্ত টু শব্দটি পর্যন্ত উচ্চারণ করেন নাই। ধরা খাওয়ার পর মাহমুদাকে ইতালি থেকে ফেরত এনে যোগদান করানোর পর তার অবৈধভাবে নেওয়া বেতন কর্তন করা হয়। এর কিছুদিন পর আগের মতই গোপনে বহিঃ বাংলাদেশ ছুঁটির অনুমোদন ছাড়াই পুনরায় ইতালি প্রেরণ করে। এ বিষয়ে একটি তৎকালীন পরিচালকের অধিনস্থ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ফাওজিয়া রহমান (সহকারী কেমিষ্ট) দিয়ে একটি কমিটি গঠিত হলেও পরিচালকের দাপটে তারা তাদের রিপোর্ট প্রদান করতে পারেন নাই। মাহমুদার চাকুরীর ১৫ বছর পূর্তিতে সহকারি পরিচালক মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন তাকে পেনশন সহ অবসর প্রদান করবেন বলে ১০ লক্ষ টাকার চুক্তি হয়েছে বলে মাহমুদা নৌপরিবহন অধিদপ্তরের নিকটজনদের ইতালি থেকে ফোন করে জানিয়েছেন । তৎকালীন পরিচালক বদরুল হাসান লিটন ও মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরে নিয়োগ ও বদলি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেনবলে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয় যা যাচাই করে সত্যতা পাওয়া যায়। তৎকালীন পরিচালক বদরুল হাসান লিটন ও মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় হোটেল আল রাব্বি নামক একটি হোটেলের মালিক বনে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের দূর দূরান্ত আগত বিভিন্ন সেবা নিতে আসা লোকদের জন্য তারা স্পেশাল ডিসকাউন্ট প্রদান করেন বলে অনেকেই তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ।

মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন নিজের মালিকানাধীন একটি টয়োটা হাইএস মাইক্রোবাসকে নৌপরিবহন অধিদপ্তরে ভাড়া দিয়েছেন যা তার নিজের বাসার গ্যারেজে থাকে এবং তাকে আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহার হয়। মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ইন্সপেক্টরদের বরাদ্দকৃত মোটর সাইকেল গুলোর মধ্য হতে মহাপরিচালক মহোদয়ের পিএস মুনতা হেনার নামে বরাদ্দকৃত মোটরসাইকেলটি অবৈধভাবে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন যা সবাই দেখলেও তার ক্ষমতার ভয়ে প্রকাশ করছে না। নদনদীর পানিকে দূষণমুক্ত রাখতে বিশ্ব ব্যাংকের ঋণের টাকায় পরিবেশ প্রকল্পের আওতায় নারায়ণগঞ্জে বিশাল ভবন সহ পরিবেশ পরীক্ষাগার প্রতিষ্ঠা করা হয় যাতে ফাওজিয়া রহমান (সহকারী কেমিষ্ট)কে নিয়োগ প্রদ