নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর খিলক্ষেত থানার বরুরা এলাকায় একটি পরিবারকে জিম্মি করে বসত বাড়ি ও মার্কেট দখলের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। জোর পূর্বক জমি দখল করার জন্য প্রকাশ্যে দিবালোকে ফিল্মি ষ্টাইলে প্রতিপক্ষকে সন্ত্রাসী দিয়ে লাঠিসোটা ও অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে জিম্মি করে বসত বাড়ি দখল করার অভিযোগ উঠেছে এক ভূমি খেকোর বিরুদ্ধে। এ সময় ওই বাড়ির মালিক মৃত জমির উদ্দিননের বৃদ্ধা স্ত্রী মিনারা বেগম ও তার দুই মেয়েকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গুম ও হত্যার হুমকি দিয়ে যায় সন্ত্রাসী বাহিনী। মৃত জমির উদ্দিননের বসত ভিটা ও বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে প্রায় ২০ বছর পূর্বে নির্মাণ করা জমির উদ্দিন মার্কেট দখল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, মৃত জমির উদ্দিন রেখে যাওয়া পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সোহেল রাজ, মাসুম রাজ, শিলা আক্তার ও সোহাগী আক্তার এই চার সন্তান ও তার বৃদ্ধা স্ত্রী দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত ওই সম্পত্তিতে বসত বাড়ি ও মার্কেট ভোগ দখল করে আসছেন। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, তার পিতার রেখে যাওয়া পৈতৃক সম্পত্তি ওয়ারিশ সুত্রে তারা চার ভাইবোন ও মা মালিক হন, অভাব অনটনের জন্য তাদের এক ভাই মাসুম রাজ তার ভাগে পাওয়া…. টুকু সম্পত্তি স্থানীয় ভূমি দস্যু বোরহান উদ্দিন এর নিকট বিক্রি করেন। কিছু দিন যেতে না যেতেই স্থানীয় প্রভাবশালী বোরহান উদ্দিন মৃত জমির উদ্দিননের পরিবারের পৈত্রিক ভিটা ও মার্কেট সহ সম্পূর্ণ সম্পত্তি দখলের পায়তারা করে যাচ্ছে এবং কয়েক দিন পর পর সন্ত্রাসীরদের নিয়ে ভাড়াটিয়া ও বাড়ির লোকজনদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে এবং বাড়ি ও দোকান ঘর ছেড়ে চলে যেতে হুমকি প্রধান করে। সন্ত্রাসী নিয়ে অন্যের বসত ভিটা ও মার্কেট দখলের বিষয়ে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বোরহান উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই এলাকার সরোয়ার হোসেন, স্বপন মৃধা, রেনু বেগমসহ স্থানীয় লোকজন জানান, হামলাকারী সন্ত্রাসীরা ১২ থেকে ১৫ জন নিয়মিত অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে এসে মৃত জমির উদ্দিননের রেখে যাওয়া বসত ভিটা ও মার্কেট দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, উক্ত অভিযুক্ত বোরহান উদ্দিন স্থানীয় এক ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীর শশুর হওয়ায় ভয়ে মুখ খুলছেনা এলাকাবাসী। তাছাড়া ঘটনার সাথে সাথে প্রাথমিক ভাবে থানায় গিয়ে জিডি করি এবং খিলক্ষেত থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তদন্ত করে গিয়ে অভিযুক্ত আসামিদের থানায় হাজির হতে একাধিকবার ফোন দিলেও তদন্তকারী কর্মকর্তাকে কোন্ পাত্তা দেয়নি । বর্তমানে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বহাল তবিয়তে রয়েছে । আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথা তোয়াককা না করায় ভুক্তভোগীরা বসত ভিটা, মার্কেট ও জীবন নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে জীবন যাপন করছেন, তবে এবিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চেয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার। চলমান………….