তিনি বলেন, ভোট অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। এ ভোটে সবাইকে জিতে আসতে হবে। কাউকে জিতে আনার দায়িত্ব আমি নিতে পারবো না। আমি কারও চেহারা দেখে মনোনয়ন দেবো না। দেখেশুনে জনপ্রিয় ব্যক্তিদের নমিনেশন দেবো। এখানে যারা আছেন সবাই মনোনয়ন নাও পেতে পারেন। যাকে নমিনেশন দেবো, তার জন্য কাজ করতে হবে। নমিনেশন পান না পান নৌকার বিরোধিতা করা যাবে না।
রোববার (২২ অক্টোবর) রাতে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যারা নৌকার বিরোধিতা করবেন তাদের রাজনীতি চিরতরে শেষ। ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র করতে বিএনপি শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে আসতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। তারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সেই কারণে নির্বাচন বানচাল করতে পারলে একটি অনির্বাচিত সরকার এনে তাদের ইচ্ছেমতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
তিনি বলেন, বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করলে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। তারা আন্দোলন করতে চায় করবে। কোনো সমস্যা নেই। আমরা বাধা দেবো না। তবে অগ্নিসন্ত্রাস, ভাঙচুর করলে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা সব মোকাবিলা করে অভ্যস্ত। হেফাজত মোকাবিলা করেছি। জামায়াত-বিএনপি মোকাবিলা করেছি। এবারও করবো।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় প্রধান। তিনি বলেন, মনোনয়ন দেওয়া হবে বিভিন্ন জরিপের ভিত্তিতে, গ্রহণযোগ্য, জনপ্রিয়তা ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। তবে, সবাইকে প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
সংসদীয় দলের প্রধান শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদ ভবনের সরকারি দলের সভাকক্ষে এক ঘণ্টারও বেশি সময় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এতে সংসদ সদস্যদের মধ্যে মোতাহার হোসেন, শামীম ওসমান, নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, কাজী কেরামত আলী, আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন নদভী, রুবিনা আক্তার মিরা, অ্যারোমা দত্ত প্রমুখ বক্তব্য দেন।