বিশ্বকাপে দলীয় লড়াইয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্জনেও ‘পাখির চোখ’ ক্রিকেটারদের। অন্যকে ছুঁয়ে ফেলা কিংবা রেকর্ড ভাঙাগড়ার মেলা বসে লিগ পর্বে। দুই দফায় সেঞ্চুরির রেকর্ড। দেখা গেছে অতিমানবীয় ডাবল সেঞ্চুরি। চোখের সৌন্দর্য ছিল রেকর্ড রানতাড়ার দৃশ্য। সুবর্ণ সুযোগ মেলে মহারথীদের পাশে বসার।
বিশ্বকাপের লিগ পর্বে হয়েছে ৪৫ ম্যাচ। রানপ্রসবা বিশ্বকাপে বেশ কয়েকবারই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় রদবদল আসে। স্নায়ুক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছে বিরাট কোহলি-কুইন্টন ডি কক ও রাচিন রবীন্দ্রের মাঝে। কেউ একবার শীর্ষে উঠছেন তো, পরক্ষণে পিছলে পড়েছেন।
লিগ পর্বের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বিরাট কোহলি। ৯ ম্যাচে ৯৯ গড়ে করেছেন ৫৯৪ রান। দুটি সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে পাঁচটি হাফসেঞ্চুরি। সব মিলিয়ে ৫৯৪ রান করে সর্বোচ্চ রানের মালিক তিনিই। সেঞ্চুরি সংখ্যার দিক দিয়ে শচীন টেন্ডুলকারকে স্পর্শ করেন কোহলি। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দুজনের সেঞ্চুরির সংখ্যা ৪৯। এক আসরে ফিফটির সংখ্যার দিক থেকে শচীন এবং বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানের রেকর্ডেও ভাগ বসান কোহলি।
দুই নম্বরে কুইন্টন ডি কক। বিদায়ি বিশ্বকাপ ভালোভাবে রাঙাচ্ছেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক ব্যাটার। পঞ্চাশ পূর্ণ করা চারটি ইনিংসই সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়েছেন। ৬৫.৬৬ গড়ে করেছেন ৫৯১ রান। কোহলি থেকে তার মাত্র ৩ রান কম।
তালিকার পরের দুজনও ৫০০ রানের কোটা পার করেছেন। পাঁচ নম্বরে থাকা ডেভিড ওয়ার্নারের এক রানের জন্য ৫০০ রান পূর্ণ হয়নি। তিন নম্বরে থাকা রাচিন করেছেন ৫৬৫ রান। বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই কিউই ব্যাটার। নিজের প্রথম বিশ্বকাপেই পেয়েছেন তিন সেঞ্চুরি আর দুই হাফসেঞ্চুরি। চার নম্বরের থাকা রোহিত শর্মার রান ৫০৩। একটি সেঞ্চুরি ও চারটি হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন হিটম্যান। পাঁচে থাকা ওয়ার্নারের রান ৪৯৯। অস্ট্রেলিয়াকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলতে বড় ভূমিকা রয়েছে তার। দুই সেঞ্চুরি ও দুই হাফসেঞ্চুরি আছে ওয়ার্নারের নামের পাশে।