ঢাকা ০৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সোনালী ব্যাংকে আইটি কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করে ভারতীয় পণ্যের বাজার সৃষ্টি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিচার হওয়া উচিত- শিবির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব কোনো ধরনের হুমকির মধ্যে নেই- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা টাঙ্গাইলে কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা গাজীপুরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত আমার সন্তান ভয়ে বাড়িতে আসতে পারেনা, বিচার চাই গাজীপুরে কুরআন অপমানকারী শুভ সরকারের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টার সাথে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ সরকারি নথি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে: ভূমি উপদেষ্টা সিরাজদিখানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল

‘তফশিল হলেও নির্বাচন হবে না’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘তফশিল জারি হলেও নির্বাচন হবে না। হতে দেওয়া হবে না।’

বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের তফশিল জারির পর এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ প্রতিক্রিয়া জানান।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষা প্রধানমন্ত্রীর ভাষারই প্রতিফলন। তফশিল জারির মাধ্যমে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছেন তিনি।’

রিজভী বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার ভাষণে বলেছেন- অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবেন। একথা ডাহা মিথ্যা, ভন্ডামিপূর্ণ এবং মেকি। শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন বিশ্বাস করা চোরাবালিতে পড়ার সামিল।’

তিনি বলেন, ‘সরকার আবারও একদলীয় নির্বাচন করার নীলনকশা করছে। আর ইসি হচ্ছে তার নির্ভরতার আস্থাস্থল। বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিশিরাতের ভোটে নির্বাচিত সরকারের আজ্ঞাবহ সিলেকশন। এই কমিশনের মূল উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগ সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনা। এই কমিশন যদি নিরপেক্ষ হতো তাহলে জনমত উপেক্ষা করে তফশিল জারি করত না। তফশিল জারি হলেই নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।’

রিজভী বলেন, ‘দেশে একটি ভীতিকর যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে একতরফা নির্বাচনের এই তথাকথিত তফশিল-রঙ্গ জনগণ মানে না। এই নীলনকশার নির্বাচনের তফশিলে বাংলাদেশের মাটিতে কোনো নির্বাচন হবে না। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল-বিএনপির পক্ষ থেকে আমি সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে আবারও হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, এই অবিমৃষ্যকারিতার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে যে ভয়াবহ অচলাবস্থা ও চরম রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হবে তার পুরো দায়ভার তাদেরই বহন করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের চলমান অগ্নিগর্ভ আন্দোলন আরও তীব্র, আরও কঠিন থেকে কঠিনতর হবে এবং অতি দ্রুতই আওয়ামী সরকারের পতন ঘটবে, ইনশাআল্লাহ। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার পর এই সম্পূর্ণ অবৈধ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সবার বিচার করবে জনগণ।’

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সোনালী ব্যাংকে আইটি কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করে ভারতীয় পণ্যের বাজার সৃষ্টি

‘তফশিল হলেও নির্বাচন হবে না’

আপডেট টাইম : ০৫:১০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘তফশিল জারি হলেও নির্বাচন হবে না। হতে দেওয়া হবে না।’

বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের তফশিল জারির পর এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ প্রতিক্রিয়া জানান।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষা প্রধানমন্ত্রীর ভাষারই প্রতিফলন। তফশিল জারির মাধ্যমে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছেন তিনি।’

রিজভী বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার ভাষণে বলেছেন- অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবেন। একথা ডাহা মিথ্যা, ভন্ডামিপূর্ণ এবং মেকি। শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন বিশ্বাস করা চোরাবালিতে পড়ার সামিল।’

তিনি বলেন, ‘সরকার আবারও একদলীয় নির্বাচন করার নীলনকশা করছে। আর ইসি হচ্ছে তার নির্ভরতার আস্থাস্থল। বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিশিরাতের ভোটে নির্বাচিত সরকারের আজ্ঞাবহ সিলেকশন। এই কমিশনের মূল উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগ সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনা। এই কমিশন যদি নিরপেক্ষ হতো তাহলে জনমত উপেক্ষা করে তফশিল জারি করত না। তফশিল জারি হলেই নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।’

রিজভী বলেন, ‘দেশে একটি ভীতিকর যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে একতরফা নির্বাচনের এই তথাকথিত তফশিল-রঙ্গ জনগণ মানে না। এই নীলনকশার নির্বাচনের তফশিলে বাংলাদেশের মাটিতে কোনো নির্বাচন হবে না। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল-বিএনপির পক্ষ থেকে আমি সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে আবারও হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, এই অবিমৃষ্যকারিতার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে যে ভয়াবহ অচলাবস্থা ও চরম রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হবে তার পুরো দায়ভার তাদেরই বহন করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের চলমান অগ্নিগর্ভ আন্দোলন আরও তীব্র, আরও কঠিন থেকে কঠিনতর হবে এবং অতি দ্রুতই আওয়ামী সরকারের পতন ঘটবে, ইনশাআল্লাহ। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার পর এই সম্পূর্ণ অবৈধ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সবার বিচার করবে জনগণ।’