ঢাকা ০২:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বড় প্রতিবন্ধকতা আরাকান আর্মি- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে রফতানি হলো ২৭৩ মেট্রিক টন আলু পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে তৈরি বস্ত্রের প্রসারে কাজ করতে হবে-উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান শেওড়াপাড়ায় চাপাতি ঠেকিয়ে ছিনতাইয়ের ভিডিও ভাইরাল, একজন গ্রেপ্তার মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার কাফনের কাপড় বেঁধে গণমিছিলে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা আমিনুল হকের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এনসিপি অপপ্রচার করছে- বিএনপি শাহআলীতে পূর্বশক্রতার জের ধরে মারামারির ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের মাঝে গরু বিতরণ জয়পুরহাটে পর্নোগ্রাফি মামলায় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে গ্রেফতার

‘তফশিল হলেও নির্বাচন হবে না’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘তফশিল জারি হলেও নির্বাচন হবে না। হতে দেওয়া হবে না।’

বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের তফশিল জারির পর এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ প্রতিক্রিয়া জানান।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষা প্রধানমন্ত্রীর ভাষারই প্রতিফলন। তফশিল জারির মাধ্যমে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছেন তিনি।’

রিজভী বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার ভাষণে বলেছেন- অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবেন। একথা ডাহা মিথ্যা, ভন্ডামিপূর্ণ এবং মেকি। শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন বিশ্বাস করা চোরাবালিতে পড়ার সামিল।’

তিনি বলেন, ‘সরকার আবারও একদলীয় নির্বাচন করার নীলনকশা করছে। আর ইসি হচ্ছে তার নির্ভরতার আস্থাস্থল। বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিশিরাতের ভোটে নির্বাচিত সরকারের আজ্ঞাবহ সিলেকশন। এই কমিশনের মূল উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগ সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনা। এই কমিশন যদি নিরপেক্ষ হতো তাহলে জনমত উপেক্ষা করে তফশিল জারি করত না। তফশিল জারি হলেই নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।’

রিজভী বলেন, ‘দেশে একটি ভীতিকর যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে একতরফা নির্বাচনের এই তথাকথিত তফশিল-রঙ্গ জনগণ মানে না। এই নীলনকশার নির্বাচনের তফশিলে বাংলাদেশের মাটিতে কোনো নির্বাচন হবে না। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল-বিএনপির পক্ষ থেকে আমি সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে আবারও হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, এই অবিমৃষ্যকারিতার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে যে ভয়াবহ অচলাবস্থা ও চরম রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হবে তার পুরো দায়ভার তাদেরই বহন করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের চলমান অগ্নিগর্ভ আন্দোলন আরও তীব্র, আরও কঠিন থেকে কঠিনতর হবে এবং অতি দ্রুতই আওয়ামী সরকারের পতন ঘটবে, ইনশাআল্লাহ। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার পর এই সম্পূর্ণ অবৈধ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সবার বিচার করবে জনগণ।’

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বড় প্রতিবন্ধকতা আরাকান আর্মি- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

‘তফশিল হলেও নির্বাচন হবে না’

আপডেট টাইম : ০৫:১০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘তফশিল জারি হলেও নির্বাচন হবে না। হতে দেওয়া হবে না।’

বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের তফশিল জারির পর এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ প্রতিক্রিয়া জানান।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষা প্রধানমন্ত্রীর ভাষারই প্রতিফলন। তফশিল জারির মাধ্যমে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছেন তিনি।’

রিজভী বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার ভাষণে বলেছেন- অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবেন। একথা ডাহা মিথ্যা, ভন্ডামিপূর্ণ এবং মেকি। শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন বিশ্বাস করা চোরাবালিতে পড়ার সামিল।’

তিনি বলেন, ‘সরকার আবারও একদলীয় নির্বাচন করার নীলনকশা করছে। আর ইসি হচ্ছে তার নির্ভরতার আস্থাস্থল। বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিশিরাতের ভোটে নির্বাচিত সরকারের আজ্ঞাবহ সিলেকশন। এই কমিশনের মূল উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগ সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনা। এই কমিশন যদি নিরপেক্ষ হতো তাহলে জনমত উপেক্ষা করে তফশিল জারি করত না। তফশিল জারি হলেই নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।’

রিজভী বলেন, ‘দেশে একটি ভীতিকর যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে একতরফা নির্বাচনের এই তথাকথিত তফশিল-রঙ্গ জনগণ মানে না। এই নীলনকশার নির্বাচনের তফশিলে বাংলাদেশের মাটিতে কোনো নির্বাচন হবে না। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল-বিএনপির পক্ষ থেকে আমি সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে আবারও হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, এই অবিমৃষ্যকারিতার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে যে ভয়াবহ অচলাবস্থা ও চরম রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হবে তার পুরো দায়ভার তাদেরই বহন করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের চলমান অগ্নিগর্ভ আন্দোলন আরও তীব্র, আরও কঠিন থেকে কঠিনতর হবে এবং অতি দ্রুতই আওয়ামী সরকারের পতন ঘটবে, ইনশাআল্লাহ। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার পর এই সম্পূর্ণ অবৈধ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সবার বিচার করবে জনগণ।’