ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মাগুরা মহম্মদপুরে শিক্ষক আ. হান্নানের বিরুদ্ধে শিশু যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন নারী সাংবাদিকতার এক আলোকবর্তিকা শেখ হাসিনাকে কোনো দেশ গ্রহণ করেননি ভারত করেছে : আলতাফ হোসেন চৌধুরী গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিমের পাহাড় সমান দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে না কেন? সিরাজদিখানে রাতের অধারে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ বরগুনায় বিভিন্ন দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত ‘মব-সন্ত্রাস’ বন্ধসহ চার দাবিতে গাইবান্ধায় সিপিবির বিক্ষোভ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সেতু আছে, সড়ক নেই — চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী জরুরি বিভাগে ডাক্তার অনুপস্থিত, সেলাই করলেন ওয়ার্ড বয়! মাগুরার মহম্মদপুরে শিক্ষক হান্নানের ক্লাস বর্জনের অভিযোগ

বিআইডব্লিউটিএর ৬ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মামলায় চার্জ গঠনে হাই কোর্টের আদেশ!

স্টাফ রিপোর্টার :
২০১৭ সালে দায়েরকৃত একটি ক্রিমিনাল মামলায় নিন্ম আদালতে চার্জ গঠন করে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য আদেশ দিয়েছে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ। গত ১৬ নভেম্বর ২০২৩ হাই কোর্টের বিচারপতি শেখ মো: জাকির হোসেন ও এ কে এম জহিরুল হকের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ক্রিমিনাল মিস মামলা নং ৪৩৮৫৪/২০১৯।
মামলার বিবরনে জানাগেছে,গত ১৭/০৭/২০১৭ ইং তারিখে দুপুুর অনুমান ১২ টার সময় বিআইডব্লিউটিএ হিসাব বিভাগের রেকর্ড কীপার এবং বিআইডব্লিউটিএ এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জীব কুমার দাস সরকারী দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে বিআইডব্লিউটিএ এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের ৬ নেতা যথাক্রমে আসামী ১.আবুল হোসেন,২. মো: রফিকুল ইসলাম,৩. মো: আক্তার হোসেন,৪. নাজমুল কবীর মজুমদার,৫.মো: আলী হোসেন,৬.পান্না বিশ^াস গন সম্মিলিতভাবে বাদী সঞ্জীব কুমার দাসের কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। বাদী চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে ১ নং আসামীর হুকুমে ২ নং আসামী কাঠের ঢাসা দিয়ে বাদীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আঘাত করেন। উক্ত আঘাত বাদীর মাথায় লেগে রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় অন্যান্য আসামীরা বাদীকে কিল,ঘুসি, লাথি, চড়, থাপ্পর মেরে জখম করেন। একই সময়ে বাদীর পকেটে থাকা ৩৭০০ টাকা ৬ নং আসামী ছিনিয়ে নেন। এবং বাদীর গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ২ নং আসামী ছিনিয়ে নেন। ৩ নং আসামী বাদীর পকেটে থাকা একটি স্যামসং মোবাইল ছিনিয়ে নেন। ১ নং আসামী বাদীর প্যান্পের পকেটে থাকা কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ও জাতীয় পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেন। এ ছাড়া সব আসামীই বাদীকে কিল, চড়, থাপ্পর ও লাথি মেরে জখম করেন।
এর পর স্বাক্ষীরা বাদীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিতসা করান। সুস্থ্য হয়ে বাদী এ বিষয়ে ঢাকা মুখ্য মহাসগর আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সিআর ১৫৯৭/২০১৭। এই মামলাটি আদালত গ্রহন করত: তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দনের নিমিত্তে পিবিআইতে পাঠান। পিবিআই তদন্ত করে রিপোর্ট দিলে আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
পরবর্তীতে আসামীরা জামিনে মুক্তি পেলে মামলাটি বিচার কাজ শুরু হয়। বিচারিক আদালত চার্জ গঠনকালে একজন আসামীকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাকী ৫ জন আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করলে আসামী আবুল হোসেন উক্ত আদেশের প্রতি ক্ষূব্ধ হয়ে মহামান্য হাই কোর্টে ক্রিমিনাল মিস কেস দাখিল করেন। যার নং ৪৩৮৫৪/২০১৯। এই মিস মামলায় নিন্ম আদালতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। মিস কেসটি চুড়ান্ত শুনানীর জন্য অপেক্ষায় থাকে। সেটি দীর্ঘ ২ বছর পর গত ১৬ নভেম্বর ২০২৩ হাই কোর্টের বিচারপতি শেখ মো: জাকির হোসেন ও এ কে এম জহিরুল হকের দ্বৈত বেঞ্চ শুনানী করে বাদীর আবেদন খারিজ করে দিয়ে সব আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে মামলার বিচার কার্য সমাপ্ত করার জন্য নিন্ম আদালতকে আদেশ দেন। ফলে নিন্ম আদালতে মামলাটি বিচারে আর কোন বাঁধা নেই।
এ বিষয়ে একজন আইনজীবি জানান, এই মামলায় আসামীদের যদি নুন্যতম সাজাও হয় তবে তারা সরকারী চাকুরী হারাবেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মাগুরা মহম্মদপুরে শিক্ষক আ. হান্নানের বিরুদ্ধে শিশু যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

বিআইডব্লিউটিএর ৬ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মামলায় চার্জ গঠনে হাই কোর্টের আদেশ!

আপডেট টাইম : ০৭:২১:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার :
২০১৭ সালে দায়েরকৃত একটি ক্রিমিনাল মামলায় নিন্ম আদালতে চার্জ গঠন করে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য আদেশ দিয়েছে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ। গত ১৬ নভেম্বর ২০২৩ হাই কোর্টের বিচারপতি শেখ মো: জাকির হোসেন ও এ কে এম জহিরুল হকের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ক্রিমিনাল মিস মামলা নং ৪৩৮৫৪/২০১৯।
মামলার বিবরনে জানাগেছে,গত ১৭/০৭/২০১৭ ইং তারিখে দুপুুর অনুমান ১২ টার সময় বিআইডব্লিউটিএ হিসাব বিভাগের রেকর্ড কীপার এবং বিআইডব্লিউটিএ এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জীব কুমার দাস সরকারী দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে বিআইডব্লিউটিএ এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের ৬ নেতা যথাক্রমে আসামী ১.আবুল হোসেন,২. মো: রফিকুল ইসলাম,৩. মো: আক্তার হোসেন,৪. নাজমুল কবীর মজুমদার,৫.মো: আলী হোসেন,৬.পান্না বিশ^াস গন সম্মিলিতভাবে বাদী সঞ্জীব কুমার দাসের কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। বাদী চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে ১ নং আসামীর হুকুমে ২ নং আসামী কাঠের ঢাসা দিয়ে বাদীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আঘাত করেন। উক্ত আঘাত বাদীর মাথায় লেগে রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় অন্যান্য আসামীরা বাদীকে কিল,ঘুসি, লাথি, চড়, থাপ্পর মেরে জখম করেন। একই সময়ে বাদীর পকেটে থাকা ৩৭০০ টাকা ৬ নং আসামী ছিনিয়ে নেন। এবং বাদীর গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ২ নং আসামী ছিনিয়ে নেন। ৩ নং আসামী বাদীর পকেটে থাকা একটি স্যামসং মোবাইল ছিনিয়ে নেন। ১ নং আসামী বাদীর প্যান্পের পকেটে থাকা কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ও জাতীয় পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেন। এ ছাড়া সব আসামীই বাদীকে কিল, চড়, থাপ্পর ও লাথি মেরে জখম করেন।
এর পর স্বাক্ষীরা বাদীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিতসা করান। সুস্থ্য হয়ে বাদী এ বিষয়ে ঢাকা মুখ্য মহাসগর আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সিআর ১৫৯৭/২০১৭। এই মামলাটি আদালত গ্রহন করত: তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দনের নিমিত্তে পিবিআইতে পাঠান। পিবিআই তদন্ত করে রিপোর্ট দিলে আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
পরবর্তীতে আসামীরা জামিনে মুক্তি পেলে মামলাটি বিচার কাজ শুরু হয়। বিচারিক আদালত চার্জ গঠনকালে একজন আসামীকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাকী ৫ জন আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করলে আসামী আবুল হোসেন উক্ত আদেশের প্রতি ক্ষূব্ধ হয়ে মহামান্য হাই কোর্টে ক্রিমিনাল মিস কেস দাখিল করেন। যার নং ৪৩৮৫৪/২০১৯। এই মিস মামলায় নিন্ম আদালতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। মিস কেসটি চুড়ান্ত শুনানীর জন্য অপেক্ষায় থাকে। সেটি দীর্ঘ ২ বছর পর গত ১৬ নভেম্বর ২০২৩ হাই কোর্টের বিচারপতি শেখ মো: জাকির হোসেন ও এ কে এম জহিরুল হকের দ্বৈত বেঞ্চ শুনানী করে বাদীর আবেদন খারিজ করে দিয়ে সব আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে মামলার বিচার কার্য সমাপ্ত করার জন্য নিন্ম আদালতকে আদেশ দেন। ফলে নিন্ম আদালতে মামলাটি বিচারে আর কোন বাঁধা নেই।
এ বিষয়ে একজন আইনজীবি জানান, এই মামলায় আসামীদের যদি নুন্যতম সাজাও হয় তবে তারা সরকারী চাকুরী হারাবেন।