আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন দীর্ঘদিনের পুরনো রাজনৈতিক জোট ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত গণভবনে বৈঠকটি চলমান ছিল। বৈঠকে অংশ নিতে সন্ধ্যার পর গণভবনে প্রবেশ করেন শরিক জোট নেতারা।
বৈঠকের বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে অবস্থিত শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৈঠকের আগে জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোট শরিকদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। শরিকরা একাদশ সংসদের তুলনায় দ্বাদশে বেশি আসন চাইবেন। সেসব নিয়ে দর-কষাকষি হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, দাখিল করা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই আজ সোমবার শেষ হয়েছে। নির্বাচনের জন্য কোন আসনে কোন প্রার্থী বৈধতা পাচ্ছেন তাও পরিষ্কার হয়েছে। এমন দিনেই শরিকদের নিয়ে বৈঠকে বসছে আওয়ামী লীগ।
গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ভোট হবে ৭ জানুয়ারি। এবারের ভোটেও নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগতভাবে ভোট করার কথা জানিয়ে ১৪ দলের ছয়টি দল নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে। এদিন তফসিল ঘোষণার পর মাত্র দুটি আসন ছেড়ে ২৯৮ আসনেই প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই দুই আসন হলো জাসদের হাসানুল হক ইনুর কুষ্টিয়া-২ ও জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমানের নারায়ণগঞ্জ-৫।
এবার ১৪ দলের শরীকদের জন্য আওয়ামী লীগ কতটি আসনে ছাড় দেবে তা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ২০০৪ সালে গঠিত হয় ১৪ দলীয় জোট। এই জোটে রয়েছে- জাসদ (ইনু), সাম্যবাদী দল, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাপ, গণআজাদী লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, বাসদ, তরিকত ফেডারেশন, জেপি।
তফসিল অনুযায়ী, যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। জোটের শরিকদের আসন ছাড় দিলে ওই দিনের আগেই নৌকার প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিতে। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। আর ওই দিন থেকেই প্রার্থীরা প্রচার শুরু করতে পারবেন।