যেসব ব্যক্তি জিম্বাবুয়েতে গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করছে বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র সেসব ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি ঘোষণা করেছে দেশটি। ফলে, যে কেউ জিম্বাবুয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করেন- সেটা জিম্বাবুয়েতে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের নির্বাচন চলাকালীন এবং তারপরে হলেও- এই নীতির অধীনে মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন। গত সোমবার এক প্রেস বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিনকেন এমন ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছেন-এই ধরনের কাজের মধ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া নষ্ট করা বা নির্বাচনে কারচুপি, ভোটারদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা বা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেয়া, রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্যদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেয়া; গণতান্ত্রিক, শাসন বা মানবাধিকার সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনায় নিয়োজিত নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোর ক্ষমতা সীমিত করা; ভোটার, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক বা নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোকে হুমকি কিংবা শারীরিক সহিংসতার মাধ্যমে ভয় দেখানোর মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
ওই ধরনের ব্যক্তিরা ঘুষসহ দুর্নীতিমূলক কাজে জড়িত থাকতে পারেন যা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে; নির্বাচনী মামলার বিচারের সময় বিচারবিভাগের স্বাধীন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করে থাকতে পারেন কিংবা জিম্বাবুয়েতে মানবাধিকারের অপব্যবহার বা লঙ্ঘন করতে পারেন। ওই ধরনের ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এই বিধিনিষেধের অধীন হতে পারেন। যে কেউ জিম্বাবুয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করেন- সেটা জিম্বাবুয়েতে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের নির্বাচন চলাকালীন এবং তারপরে হলেও- এই নীতির অধীনে মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে: ভিসা নিষেধাজ্ঞার নীতি উক্ত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য হবে, জিম্বাবুয়ের সাধারণ জনগণের জন্য নয়। যুক্তরাষ্ট্র জিম্বাবুয়ের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন চায় এবং গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের সুরক্ষাকে শক্তিশালী করার জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জিম্বাবুয়ের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে।