ঢাকা ১০:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মির্জাগঞ্জে বিএনপি নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা নওগাঁয় দুই সাংবাদিককে নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপি ফজলে করিম আটক আবারও উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলি: ২জন নিহত কালিহাতী পপুলার হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শুভ উদ্বোধন পঞ্চগড়ে আগাছানাশক ছিটিয়ে ধানক্ষেত নষ্ট করার অভিযোগ ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত পুলিশ বাহিনী গড়তে চাই- নওগাঁর নবাগত পুলিশ সুপার শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজির অপসারণের দাবিতে কালিহাতীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন টাঙ্গাইলে গারো-কোচ সম্প্রদায়ের মানববন্ধন: ইউজিন নকরেকসহ ১১ জনের মুক্তির দাবি পত্নীতলায় নির্যাতনের পর সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা

মার্চে দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটবে: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সামনে নির্বাচন। বিএনপি চিন্তা করেছিল নির্বাচন হবে না। এখন নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। একসময় বলেছিল নির্বাচন হতে দেবে না। উসকানি আছে নির্বাচন ঠেকাও। নির্বাচনের শিডিউল হয়ে গেছে। এখন তারা মনে করছে নির্বাচন হয়েই যাবে। তাই তারা মার্চের দিকে দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটাবে। এটা হচ্ছে তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা। এটা শুধু দেশের নয়, বাইরের দেশেরও পরিকল্পনা। যেভাবেই হোক দুর্ভিক্ষ ঘটাতে হবে।’

আজ শুক্রবার দুই দিনের গোপালগঞ্জ সফরের দ্বিতীয় দিনে নিজ নির্বাচনি এলাকা কোটালীপাড়ায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বিএনপির আন্দোলন নিয়ে বলেছেন, ‘আমরা এখন দেখতে পারছি আন্দোলনের নামে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো। পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, হানাদার বাহিনীর প্রেতাত্মা তাদের ওপর ভর করেছে। পুলিশকে যেভাবে মাটিতে ফেলে পেটাল, এর চেয়ে জঘন্য কাজ মনে হয় আর হতে পারে না। তাকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা, সে যখন বেহুশ হয়ে গেছে মৃতপ্রায়- তার মাথা থেকে হেলমেট ফেলে দিয়ে মাথায় কোপাল, মারল। কোন দেশে আমরা বাস করি।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা কে যে ভোটারদের অধিকার কাড়বে। ভোটারদের অধিকার কাড়ার ক্ষমতা তাদের নেই। নির্বাচনে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যারা আগুন দিতে যাবে, তাদের ধরে পুলিশে সোপর্দ করতে হবে। প্রত্যন্ত এলাকায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যদি আগুনসন্ত্রাসী বেশি হয়, তাহলে তাদের আগুনেই ফেলে দিতে হবে।’

কোটালীপাড়াবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বাবা-মা, ভাইবোন সবাইকে হারিয়েছি। আপনাদের ভালোবাসা, আস্থা, বিশ্বাস সবচেয়ে বড় পাওয়া। যাদের নমিনেশন দিয়েছি তারা আসন পায় একটি। আমার হলো ৩০০ আসনের দায়িত্ব। তাই আমি বলতে পারি আমার মতো সৌভাগ্য কারও নেই। আমার মতো এলাকা নিয়ে ভাবতে হয় না, চিন্তাও করতে হয় না তাদের। আমি জানি না আর কোনো প্রার্থী সৌভাগ্যবান কি না, যতটা আমি। একটা দায়মুক্ত করে রেখেছেন। আমি স্বাধীনভাবে সারা বাংলাদেশের মানুষের জন্য চিন্তা করতে পারি, কাজ করতে পারি যার সুফলটা সবাই পায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৯ থেকে আমরা এ পর্যন্ত একটানা সরকারে আছি। অন্তত আজ এইটুকু বলতে পারি বাংলাদেশটা বদলে গেছে। বাংলাদেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নতি হয়েছে এখন আর খাদ্যের হাহাকারটা নেই। খাদ্য নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি। চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পেরেছি। শিক্ষার সুযোগ আমরা সৃষ্টি করেছি। ঠিক যা জাতির পিতা চেয়েছিলেন। একটানা সরকারে থাকতে না পারলে আমাদের উন্নয়ন দৃশ্যমান হতো না।’

সভায় আগামী নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের দিকনির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের ‍উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খোন্দকার, শেখ হেলাল ‍উদ্দিন, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, শেখ সারহান নাসেন তন্ময়সহ কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন। পরে তিনি নিজ বাসভবনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে সেখানে তিনি রাত্রিযাপন করেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে বিএনপি নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা

মার্চে দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৬:৫০:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সামনে নির্বাচন। বিএনপি চিন্তা করেছিল নির্বাচন হবে না। এখন নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। একসময় বলেছিল নির্বাচন হতে দেবে না। উসকানি আছে নির্বাচন ঠেকাও। নির্বাচনের শিডিউল হয়ে গেছে। এখন তারা মনে করছে নির্বাচন হয়েই যাবে। তাই তারা মার্চের দিকে দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটাবে। এটা হচ্ছে তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা। এটা শুধু দেশের নয়, বাইরের দেশেরও পরিকল্পনা। যেভাবেই হোক দুর্ভিক্ষ ঘটাতে হবে।’

আজ শুক্রবার দুই দিনের গোপালগঞ্জ সফরের দ্বিতীয় দিনে নিজ নির্বাচনি এলাকা কোটালীপাড়ায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বিএনপির আন্দোলন নিয়ে বলেছেন, ‘আমরা এখন দেখতে পারছি আন্দোলনের নামে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো। পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, হানাদার বাহিনীর প্রেতাত্মা তাদের ওপর ভর করেছে। পুলিশকে যেভাবে মাটিতে ফেলে পেটাল, এর চেয়ে জঘন্য কাজ মনে হয় আর হতে পারে না। তাকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা, সে যখন বেহুশ হয়ে গেছে মৃতপ্রায়- তার মাথা থেকে হেলমেট ফেলে দিয়ে মাথায় কোপাল, মারল। কোন দেশে আমরা বাস করি।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা কে যে ভোটারদের অধিকার কাড়বে। ভোটারদের অধিকার কাড়ার ক্ষমতা তাদের নেই। নির্বাচনে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যারা আগুন দিতে যাবে, তাদের ধরে পুলিশে সোপর্দ করতে হবে। প্রত্যন্ত এলাকায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যদি আগুনসন্ত্রাসী বেশি হয়, তাহলে তাদের আগুনেই ফেলে দিতে হবে।’

কোটালীপাড়াবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বাবা-মা, ভাইবোন সবাইকে হারিয়েছি। আপনাদের ভালোবাসা, আস্থা, বিশ্বাস সবচেয়ে বড় পাওয়া। যাদের নমিনেশন দিয়েছি তারা আসন পায় একটি। আমার হলো ৩০০ আসনের দায়িত্ব। তাই আমি বলতে পারি আমার মতো সৌভাগ্য কারও নেই। আমার মতো এলাকা নিয়ে ভাবতে হয় না, চিন্তাও করতে হয় না তাদের। আমি জানি না আর কোনো প্রার্থী সৌভাগ্যবান কি না, যতটা আমি। একটা দায়মুক্ত করে রেখেছেন। আমি স্বাধীনভাবে সারা বাংলাদেশের মানুষের জন্য চিন্তা করতে পারি, কাজ করতে পারি যার সুফলটা সবাই পায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৯ থেকে আমরা এ পর্যন্ত একটানা সরকারে আছি। অন্তত আজ এইটুকু বলতে পারি বাংলাদেশটা বদলে গেছে। বাংলাদেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নতি হয়েছে এখন আর খাদ্যের হাহাকারটা নেই। খাদ্য নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি। চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পেরেছি। শিক্ষার সুযোগ আমরা সৃষ্টি করেছি। ঠিক যা জাতির পিতা চেয়েছিলেন। একটানা সরকারে থাকতে না পারলে আমাদের উন্নয়ন দৃশ্যমান হতো না।’

সভায় আগামী নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের দিকনির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের ‍উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খোন্দকার, শেখ হেলাল ‍উদ্দিন, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, শেখ সারহান নাসেন তন্ময়সহ কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন। পরে তিনি নিজ বাসভবনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে সেখানে তিনি রাত্রিযাপন করেন।