১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানীর মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে জড়ো হতে শুরু করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকজন সারিবদ্ধভাবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা বেশিরভাগ মানুষই শোকের প্রতীক কালো পোশাক পরে এসেছেন। তাদের হাতে ফুলের তোড়াসহ ছোট ছোট প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন দেখা যায়।
এর আগে সকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর জনসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। পরে দলে দলে যোগ দেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা মিছিল সহযোগে আসতে থাকেন।
আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। পৃথিবীর ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আলবদর, আলশামসরা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বাঙালি শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদেরা এই সুপরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হন। বুদ্ধিজীবী হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।